সুপ্রিম কোর্টের সামনে থেকে সরিয়ে নেওয়া গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্য অ্যানেক্স ভবনের সামনে পুনঃস্থাপন কোনও অবস্থায় মেনে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে হেফাজতে ইসলাম। হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে নিজেও বলেছেন, এই মূর্তি তিনি পছন্দ করেননি, তিনিও সেখানে মূর্তি চান না। তারপরও মূর্তি স্থাপন করা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অশ্রদ্ধা ও অসম্মান করা হবে। এর মধ্যদিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে কলঙ্কিত করা হচ্ছে।’
এদিকে, শনিবার (২৭ মে) রাত ৮টা থেকে গ্রিক দেবী থেমিসের ভাস্কর্য অ্যানেক্স ভবনের সামনে পুনঃস্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। মৃণাল হক বলেন, ‘আজ সকালেই ভাস্কর্যটি পুনঃস্থাপন করতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ পাই। এরপর রাত আটটা থেকে ভাস্কর্য পুনঃস্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।
প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী বলেন, ‘ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ধোকা দেওয়া হয়েছে। এক স্থান থেকে সরিয়ে অন্য স্থানে স্থাপন করে জনগণকে ধোকা দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী যে বিষয়টি চান না, সেটি কিভাবে আবার স্থাপন করা হচ্ছে?’
অন্যদিকে, গ্রীক দেবীর ভাস্কর্য স্থায়ীভাবে সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়ে চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে হেফাজতের ইসলাম বিক্ষোভ করে। এছাড়া সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রীক দেবী থেমিসের ভাস্কর্য অপসারণে শোকরিয়া ও সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে সমাবেশ ও মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। হেফাজতে ইসলাম হাটহাজারী শাখার সাধারণ সম্পাদক মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল পূর্ব সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, হাটহাজারী উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও হেফাজত নেতা মাওলানা নাছির উদ্দীন মুনির, উত্তর জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর মুহাম্মদ ইদরিস, মাওলানা ইমরান সিকদার, মাওলানা কামরুল ইসলাম, মাওলানা এরশাদ সিকদার, মুহাম্মদ ফুরকান সিকদার, মাওলানা হাবীবুল্লাহ প্রমুখ।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ‘আমরা শুরু থেকেই বার বার বলে আসছি যে, সরকারের ভেতরে ঘাপটি মেরে বসে থাকা কতিপয় নাস্তিক্যবাদী ভুল পরামর্শ দিয়ে সরকারকে তৌহিদী জনতার প্রতিপক্ষ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। এই অপশক্তিকে ঘাড় থেকে সরাতে পারলে ইসলাম বিদ্বেষী ভাবমূর্তি থেকে সরকার বেরিয়ে আসতে সহায়ক হবে বলে আমরা মনে করি।’
/সিএ/এসএমএ/