X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলেই থাকা উচিত: ড. কামাল হোসেন

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৯ মে ২০১৭, ১৫:৪৩আপডেট : ২৯ মে ২০১৭, ১৬:০৫

ড. কামাল হোসেন (ফাইল ছবি)

উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের বদলে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলে থাকা উচিত বলে মনে করেন ড. কামাল হোসেন। তিনি মনে করেন, ষোড়শ সংশোধনী সুপ্রিম কোর্টের মর্যাদা খাটো করেছে।  ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিল শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরি হিসাবে মতামত উপস্থাপন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ষোড়শ সংশোধনী সুপ্রিম কোর্টের মর্যাদা খাটো করেছে। উদ্দেশ্য দেখা যাচ্ছে বলেই হাইকোর্ট বিভাগ এরইমধ্যে এই সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। অর্থাৎ এটাই দেখা যাচ্ছে যে, যখন কোনও রকমের আইন বা সংশোধনী সংবিধানের পরিপন্থী হয় তখন দেখতে হয় কোনটা প্রাধান্য পাবে। এক্ষেত্রে তিনি সংবিধানই প্রাধান্য পাবে বলে সিদ্ধান্ত দেন।


সোমবার ষোড়শ সংশোধনীর বিষয়ে শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরি হিসাবে মতামত উপস্থাপন শেষে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাব দেন ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ষোড়শ সংশোধনী মৌলিক কাঠামোয় আঘাত করেছে। এটা বিচার বিভাগের স্বাধীনতাকে খর্ব করেছে। 

ষোড়শ সংশোধনীকে সংবিধানের পরিপন্থী মনে করেন কিনা—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ড. কামাল বলেন, ‘পরিপন্থী হয়েছে। আমি এই সাবমিশন রেখেছিলাম, সেগুলো হাইকোর্ট মেনে নিয়েছে। আজ আমি সেইগুলোই বললাম।’

তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধান হলো দেশের সর্বোচ্চ আইন। সেখানে কার কী ক্ষমতা তা নির্ধারণ করা আছে।

এর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘সংবিধানে বলা আছে নির্বাহী বিভাগ কী করতে পারে, আইন বিভাগ কী করতে পারে। আর বিচার বিভাগের দায়িত্ব হলো সবাই নিজের সীমারেখার মধ্যে থাকছে কিনা, তা দেখা। যদি সীমা লঙ্ঘন করে থাকে, তখন বিচার বিভাগ বলে যে, না এখানে সীমা লঙ্ঘিত হয়েছে। এটাই সংবিধানের সবচেয়ে মৌলিক দিক, যদি সংবিধানের সীমা নির্ধারণ না করা হয়। যদি রাষ্ট্র অঙ্গ মনে করে যে, তার ক্ষমতার কোনও সীমা নাই, তখন সংবিধানিক শাসন আর থাকে না।’

ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘মৌলিক কাঠামোতে কেউ হাত দিতে পারে না। এটাই হলো সংবিধানিক শাসনের বৈশিষ্ট্য। অনেকগুলো জিনিস আছে যেখানে কেউ হাত দিতে পারে না। নির্বাচিত প্রতিনিধি যাদের আইন প্রণয়নের দায়িত্ব, সেটাও কিন্তু সীমার মধ্যে। তারা এ কথা বলতে পারেন না যে আমরা নির্বাচিত হয়ে এসেছি তাই আমরা সংবিধানের মৌলিক কাঠামোতে হাত দিতে পারি।’

বিচারপতি অপসারণে ক্ষমতা কী কারণে সংসদের হাতে দিয়েছিলেন? তখন কী চিন্তা করেছিলেন-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, তখন আমরা ইন্ডিয়া-ইংল্যান্ড দেখে ভেবেছিলাম যে এটা আমরা করতে পারি। ওরাও এই ধারণা থেকে করেছে যে, একজন বিচারকের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে তার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত দিতে হবে। তখন তারাও ভেবেছিল, আমরাও ভেবেছিলাম, ক্ষমতাটা এখানে (সংসদে) দেওয়া যায়।

বিচারক অপসারণে কী বিধান থাকা উচিৎ বলে আপনারা মনে করছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেটা ছিল সেটাই, সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল। ষোড়শ সংশোধনী না থাকলে আমাদের যেটা ছিল সেটাই থাকবে। সেটার ওপর সর্বোচ্চ আদালতের রায়ও আছে।

/এমটি/ইউআই/টিএন/

 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
‘ডে আফটার টুমরো’ নয়, টুডে
‘ডে আফটার টুমরো’ নয়, টুডে
জিম্মি মুক্তির বিষয়ে আন্তরিক হলেও গাজায় আগে যুদ্ধবিরতি চায় হামাস
জিম্মি মুক্তির বিষয়ে আন্তরিক হলেও গাজায় আগে যুদ্ধবিরতি চায় হামাস
হাসিনা-তাভিসিন আন্তরিক বৈঠক, থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ দলিল স্বাক্ষর
হাসিনা-তাভিসিন আন্তরিক বৈঠক, থাইল্যান্ডের সঙ্গে ৫ দলিল স্বাক্ষর
৯ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে চুয়েট, হলে থাকতে পারবেন শিক্ষার্থীরা
৯ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকবে চুয়েট, হলে থাকতে পারবেন শিক্ষার্থীরা
সর্বাধিক পঠিত
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
মৈত্রী ট্রেনে তল্লাশি, মুদ্রা পাচারের অভিযোগে আটক দুই বাংলাদেশি
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী