মানুষ ও যানবাহনের চাপ করতে শুরু করেছে রাজধানী ঢাকার সড়কে। গত দুদিনে তীব্র যানজট থাকলেও শুক্রবার দুপুরের পর থেকে যাত্রীরা এই যানজট থেকে কিছুটা মুক্তি পাচ্ছেন। ঢাকার প্রধান সড়কগুলোতে যানবাহনের চাপ কম দেখা গেলেও বাস,রেল ও লঞ্চ টার্মিনালগামী সড়কগুলোতে এখনও কিছুটা চাপ রয়েছে। বিকালের পর ঢাকা আরও ফাঁকা হয়ে যাবে।
শুক্রবার সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, আগের মতো যানবাহনের চাপ নেই। সড়কগুলো অনেকটা ফাঁকা। ট্রাফিক পুলিশের ব্যস্ততাও কম। দুই-এক মিনিট পরপরই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে সিগনালগুলো। যানজটের হিসাব মাথায় রেখে যারা সময় হাতে নিয়ে বাসা থেকে বের হয়েছেন, তারা নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই স্টেশনে পৌঁছে গেছেন।
বিকাল সাড়ে পাঁচটার লঞ্চ ধরার জন্য গাজীপুর থেকে সদরঘাটের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার বাসিন্দা এনায়েত উল্যাহ। সকাল ৯টার দিকে তিনি গাজীপুর থেকে বাসে ওঠেন। তার ধারণা ছিল পথে যানজট থাকবে। কিন্তু তিনি মাত্র দেড় ঘণ্টার মধ্যে সড়রঘাটে পৌঁছে যান। এনায়েত উল্যাহ বাংলা ট্রিবিউনকে এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘ভেবে ছিলাম ঈদ উপলক্ষে রাস্তায় একটু জ্যাম থাকবে। কিন্তু তা হয়নি। অন্যদিনের চেয়ে রাস্তায় চাপ অনেক কম। তাই অল্প সময়ের মধ্যেই সদরঘাটে চলে এসেছি।’
বৃহস্পতিবার (২২ জুন) ছিল সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস। ওই দিন বিকালেই সড়ক, রেল ও নৌ-পথে অনেকেই বাড়ি ফেরা শুরু করেছেন। গত রাত থেকে আজ শুক্রবার (২৩ জুন) সকালের মধ্যে অধিকাংশ কর্মজীবী মানুষ বাড়ি ফিরে গেছেন। ফলে শুক্রবার দুপুরের দিকে রাজধানীর সড়কগুলো অনেকটা ফাঁকা দেখা গেছে। শুধুমাত্র স্টেশনকেন্দ্রীক যাত্রীদের কিছুটা ভিড় দেখা গেছে।
তবে সদরঘাট থেকে দূরপাল্লার অধিকাংশ লঞ্চ ছাড়ে বিকালে। বৃহস্পতিবার অফিস শেষ করে যানজটের কারণে অনেকেই লঞ্চ ধরতে পারেননি। একারণে অনেকেই সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছেন ঈদযাত্রা করবেন আজ শুক্রবার (২৩ জুন)। ফলে সকাল থেকে সদরঘাটে যাত্রীদের বাড়তি চাপ দেখা গেছে।
দুপুরের দিকে গাবতলী, সায়েদাবাদ ও গুলিস্তান এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, সড়কগুলো অনেকটাই ফাঁকা। বাসগুলো যাত্রী ভর্তি করে গন্তব্যে রওনা দিয়েছে। আবার ঈদে বাড়তি ভোগান্তি এড়াতে অনেকেই পরিবার পরিজনকে মধ্য রমজানের দিকেই বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
ভোর থেকে বাস টার্মিনালগুলোতে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে। সকালে রাজধানীর টেকনিক্যাল মোড় থেকে যানবাহনের জট শুরু হয়। আমিনবাজার পর্যন্ত এ যানজট তীব্র ছিল। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের চাপ কমে আসলে যানজটও কমে যায়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে গাবতলী বাস টার্মিনালের সামনের রাস্তা প্রায় ফাঁকা হয়ে যায়।
এদিকে, রাজধানীর গুলিস্তান, পল্টন, কাকরাইল, দৈনিক বাংলা, কমলাপুর, ফার্মগেট, কাওরানবাজার, শাহবাগ, মোহাম্মদপুর, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, যাত্রাবাড়ীসহ বেশিরভাগ এলাকায় যানবাহনের চাপ কম দেখা গেছে।
/এসএস/ এপিএইচ/
