X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৪ চৈত্র ১৪৩০

ঢাবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারার মামলা প্রত্যাহারের দাবি

ঢাবি প্রতিনিধি
১৬ জুলাই ২০১৭, ১৩:৩৭আপডেট : ১৬ জুলাই ২০১৭, ২২:৪৬

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. ফাহমিদুল হকের বিরুদ্ধে ৫৭ ধারায় দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। রবিবার (১৬ জুলাই) সকাল ১০টায় অপরাজেয় বাংলার সামনে মানববন্ধনটি অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে ঢাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক সামিনা লুৎফা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক মো. তানজীমউদ্দিন খান, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক দেবাশীষ কুণ্ডু, বাংলা বিভাগের শিক্ষক ড. মোহাম্মদ আজম, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও সাবেক তথ্য কমিশনার সাদেকা হালিম, সাংবাদিক সুশান্ত সিনহা ও সাখাওয়াত আল-আমিন এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন। তবে মানববন্ধনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের কোনও শিক্ষককে দেখা যায়নি।

প্রসঙ্গত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাহমিদুল হকের বিরুদ্ধে একই বিভাগের আরেক অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহমেদ গত ১৩ জুলাই তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘এমসিজে সিক্সথ ব্যাচ ডিইউ’ নামক ৬৯ সদস্যের একটি ফেসবুক গ্রুপে গত ৩ জুলাই ড. ফাহমিদুল হকের দেওয়া একটি পোস্টকে কেন্দ্র করে এই মামলা হয়।

মানববন্ধনে তানজীমউদ্দিন খান বলেন, ‘শক্তি দুই ধরনের। একটা শুভশক্তি, অন্যটা অশ্লীল। ৫৭ ধারার মতো কালো আইন অশ্লীল শক্তিরই পৃষ্ঠপোষক। মামলাকারী শিক্ষকের কাছে প্রশ্ন, উনি কি নিজের মান রক্ষা করতে চাইছেন, নাকি অন্যের মান নস্যাৎ করতে চাইছেন? নৈতিকতা চর্চার আড়ালে এটা একটা ভণ্ডামি। প্রশাসন অবশ্যই বিষয়টি জানত, তারা কেন অভ্যন্তরীণ সমাধানের পথে গেলেন না?’

সামিনা লুৎফা বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কোনও মঞ্চ নয়, বরং ট্যাক্সের টাকায় গড়ে ওঠা গৌরব। কালো আইন ৫৭ ধারা ব্যবহার করে শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষকের মামলা বিশ্ববিদ্যালয়কে লজ্জিত করেছে। নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য যে শিক্ষক কালো আইন ব্যবহার করেন, তাকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’

সাদেকা হালিম বলেন, ‘৫৭ ধারার আশ্রয় নিয়ে কাদা ছোঁড়াছুড়ির মাধ্যমে তিনি (ড. মনসুর) নিজেকে ছোট করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। প্রাতিষ্ঠানিক সমাধানের দিকে না গিয়ে তিনি মামলার দিকে কেন গেলেন?’

ড. মোহাম্মদ আজম বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে মামলার যে সংস্কৃতি চালু হলো, এর মাধ্যমে বৃহত্তর মানহানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর বিচার কে করবে? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি সমাধান করুক।’

মানববন্ধনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন সংহতি জানিয়ে এতে অংশগ্রহণ করেন।

/এমটি/এমও/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
‘উচিত শিক্ষা’ দিতে পঙ্গু বানাতে গিয়ে ভাইকে হত্যা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে মানবাধিকার উইং চালুর পরামর্শ সংসদীয় কমিটির
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
পণ্ড হলো না পরাগের শ্রম, দিল্লিকে হারালো রাজস্থান
বাসের পেছনের অংশ খোয়া যাচ্ছে কেন?
বাসের পেছনের অংশ খোয়া যাচ্ছে কেন?
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
নিউ ইয়র্কে পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি তরুণ নিহত, যা জানা গেলো
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
সমুদ্রসৈকতে জোভান-সাফার ‘অনন্ত প্রেম’!
মন্ত্রীর অপেক্ষায় তরমুজ বিক্রিতে দেরি, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা
মন্ত্রীর অপেক্ষায় তরমুজ বিক্রিতে দেরি, ক্ষুব্ধ ক্রেতারা