X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

উল্টো পথে জবির বাস চলতে বাধা দেওয়ায় সার্জেন্টকে মারধর

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৭ জুলাই ২০১৭, ২২:৫৪আপডেট : ১৭ জুলাই ২০১৭, ২৩:১১

 

উল্টো পথে জবির বাস চলতে বাধা দেওয়ায় সার্জেন্টকে মারধর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) তিনটি বাস উল্টো পথে যেতে বাধা দেওয়ায় এক সার্জেন্টকে পেটালেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। পরবর্তী সময়ে পুলিশের অন্য সদস্যরা এগিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনটি বাসই পরে নিয়মমাফিক নির্ধারিত পথেই চলে। সোমবার বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের (রমনা জোন) সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আলাউদ্দিন  বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার বিষয়টি জবির প্রক্টরিয়াল বডিকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হবে।’

পুলিশ সূত্র জানায়, সোমবার বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটর পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করছিলেন সার্জেন্ট কায়সার হামিদ। বিকেল ৫টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনটি বাস বাংলামোটর সিগন্যাল থেকে উল্টোপথে সোনারগাঁও ক্রসিংয়ের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় সার্জেন্ট কায়সার হামিদ বাধা দেন। পরে বাস থেকে শিক্ষার্থীরা নেমে এসে সার্জেন্ট কায়সারকে পেটালেন। খবর পেয়ে বাংলামোটর পয়েন্টে দায়িত্বরত অন্য ট্রাফিক কর্মকর্তারা এগিয়ে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশ বাসগুলোকে সোজাপথে যেতে বাধ্য করলে শিক্ষার্থীরা পিছু হটে।

পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, ‘বিকেলের দিকে রাস্তায় অনেক বেশি গাড়ির চাপ থাকে। এরপর শাহবাগ থেকে ফার্মগেট সড়কটিতে অনেক বেশি গাড়ি থাকে। এ সময় উল্টোপথে গাড়ি চললে যানজট অনেক বেড়ে যায়। এ কারণেই জগন্নাথের বাসগুলোকে উল্টোপথে যেতে বাধা দেওয়া হয়। কিন্তু শিক্ষার্থীরা একজোট হয়ে সার্জেন্টের ওপর হামলা করেন।’

পুলিশ জানায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলো প্রায় সময়ই ব্যস্ত সড়কে উল্টোপথে চলাচলের চেষ্টা করে। অনেক কর্মকর্তারাই তা দেখেও না দেখার ভান করে। কিন্তু এভাবে প্রতিদিন চলতে থাকলে যানজট নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব হয়ে পড়বে। সাধারণত বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসগুলোকে দেখে অনেক প্রাইভেটকারচালকরাও তাদের পিছু নেন। এতে সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে পড়ে পুলিশকে গালাগালি করেন। এর প্রতিকার হওয়া জরুরি।

/এনএল/ এমএনএইচ/

 

 

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় মাদ্রাসাশিক্ষকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
ছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় মাদ্রাসাশিক্ষকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
রেসিপি: মসুরের ডাল দিয়ে হাতে মাখা পুঁই শাক
রেসিপি: মসুরের ডাল দিয়ে হাতে মাখা পুঁই শাক
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান পাকিস্তান ও ইরানের
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান পাকিস্তান ও ইরানের
মুক্তিযোদ্ধা চাচাকে হত্যা, ভাতিজার যাবজ্জীবন
মুক্তিযোদ্ধা চাচাকে হত্যা, ভাতিজার যাবজ্জীবন
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প বাংলাদেশের পর্দায়
আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প বাংলাদেশের পর্দায়