X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

ডিএসসিসি’র কর খেলাপিদের মালামাল ক্রোক হচ্ছে

শাহেদ শফিক
২০ জুলাই ২০১৭, ১৬:৩৩আপডেট : ২০ জুলাই ২০১৭, ১৬:৪০

ডিএসসিসি পরিমাণ মতো রাজস্ব আয় না হওয়ায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কর খেলাপিদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। এসব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নির্ধারিত সময় বেঁধে দিয়ে চিঠি দেওয়া হবে। ওই সময়ের মধ্যে যদি কেউ কর পরিশোধ না করেন, তাহলে আইন অনুযায়ী তাদের মালামাল ক্রোক করা হবে। ডিএসসিসি’র সংশ্লিষ্ট সূত্র বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসসিসি’র প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী সরদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,  ‘দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার কর খেলাপিদের বিষয়ে মেয়র একটি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। সে অনুযায়ী একটি তালিকা তৈরি করতে আঞ্চলিক অফিসগুলোকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে। দুই-এক দিনের মধ্যে সব কার্যালয়ে চিঠি চলে যাবে। তালিকায় খেলাপিদের তিনটি স্তরে (কম খেলাপি, মধ্যম খেলাপি এবং বড় খেলাপি) ভাগ করা হবে। এরপর নির্ধারিত সময় বেঁধে দিয়ে সবাইকে চিঠি দেওয়া হবে। তারা যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বকেয়া কর পরিশোধ না করেন, তাহলে আইনগত ব্যবস্থা অনুসরণ করে মালামাল ক্রোক করা হবে।’

সূত্র জানায়, দক্ষিণ সিটি এলাকার ২৩-২৪টি বড় প্রতিষ্ঠান সিটি করপোরেশনের নামে ‘অযথা’ মামলা দিয়ে ট্যাক্স দেওয়া বন্ধ রেখেছে। করপোরেশনের শীর্ষ ব্যক্তিরা মনে করেন, এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের তালিকা তৈরি করে তাদের নাম ও ঠিকানা গণমাধ্যমে প্রকাশ করলে, অন্তত লোক লজ্জার ভয়ে হলেও ট্যাক্স পরিশোধে আগ্রহী হবে। এরপরেও যদি তারা ট্যাক্স পরিশোধ না করে, তাহলে আইন অনুযায়ী মালামাল ক্রোক করতে হবে।

সিটি করপোরেশনের রাজস্ব আয়ের প্রধান উৎস হচ্ছে হোল্ডিং ট্যাক্স। কিন্তু সংস্থার আওতাধীন বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সিটি করপোরেশনের ট্যাক্স পরিশোধ করছে না। কেউ কেউ ট্যাক্সের বিরুদ্ধে আদালতে মামলাও করেছেন। সম্প্রতি ট্যাক্স পুনঃমূল্যায়নের উদ্যোগ নিলে বিষয়টির বিরুদ্ধে আদালতে রিট করা হয়। এরপর সেই উদ্যোগও বন্ধ হয়ে যায়।

ডিএসসিসি’র বিগত অর্থবছরগুলোতে দেখা গেছে, নানা কারণে হোল্ডিং ট্যাক্স থেকে আয়ের লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারেনি সিটি করপোরেশন। গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এ খাতে আয় ধরা হয়েছিল ৫০০ কোটি টাকা। কিন্তু আয় হয়েছে মাত্র ১৯৫ কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে আয় ধরা হয়২৮৫ কোটি টাকা। কিন্তু আয় হয়েছে ১৮০ কোটি টাকা। তারও আগের অর্থবছরে (২০১৪-১৫)আয় ধরা হয়েছিল ২৫৫ টাকা। কিন্তু আয় হয়েছে ১৭৪ কোটি ২০ লাখ টাকা। 

ডিএসসিসি সূত্র জানিয়েছে, সদ্যবিদায়ী (১০১৬-১৭) অর্থবছরে তিন হাজার ১৮৩ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিল ডিএসসিসি। এতে নিজস্ব খাত থেকে আয় ধরা হয়েছে এক হাজার ৬১৬ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। এরমধ্যে পুরো অর্থবছরে আয় হয়েছে ৫১৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। যা নিজস্ব বাজেট আয়ের মাত্র ৩৭ দশমিক ২৭ শতাংশ।

জানতে চাইলে ডিএসসিসি’র প্রধান  রাজস্ব কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী সরদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘রাজস্ব ঘাটতির অন্যতম কারণ হচ্ছে হোল্ডিং ট্যাক্স। আমরা ট্যাক্স পুনঃমূল্যায়নের হিসাব করেই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলাম। কিন্তু আদালতের একটি রিটের কারণে তা বন্ধ হয়ে গেছে। তাছাড়া অনেকেই পৌর কর দিচ্ছেন না। এখন বড়বড় কর খেলাপিদের তালিকা করে মালামাল ক্রোকসহ আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা হচ্ছে।’

/এপিএইচ/

আরও পড়ুন: বেরোবির সাবেক উপাচার্য ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার কারাগারে

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী
ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী
ইউরোপা লিগ থেকে বিদায়ের ভালো দিক দেখছেন লিভারপুল কোচ
ইউরোপা লিগ থেকে বিদায়ের ভালো দিক দেখছেন লিভারপুল কোচ
রাশিয়ায় বোমারু বিমান বিধ্বস্ত
রাশিয়ায় বোমারু বিমান বিধ্বস্ত
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সীমান্তরক্ষীদের নিতে জাহাজ আসবে এ সপ্তাহেই
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা সীমান্তরক্ষীদের নিতে জাহাজ আসবে এ সপ্তাহেই
সর্বাধিক পঠিত
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
সয়াবিন তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
ডিএমপির ৬ কর্মকর্তার বদলি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
পিএসসির সদস্য ড. প্রদীপ কুমারকে শপথ করালেন প্রধান বিচারপতি
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন
পরীমনির বিরুদ্ধে ‘অভিযোগ সত্য’, গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন