X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেশনাল ডিগ্রি: প্রশ্নের মুখে মান ও ভর্তি প্রক্রিয়া

মাহাদী আল হাসনাত
৩১ জুলাই ২০১৭, ২১:৩৩আপডেট : ৩১ জুলাই ২০১৭, ২১:৪৯

সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এখন চালু হয়েছে সান্ধ্যকালীন মাস্টার্স ও প্রফেশনাল কোর্স (ছবি- রাজিব ধর) পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনেক বিভাগেই এখন শুরু হয়েছে সান্ধ্যকালীন মাস্টার্স ও প্রফেশনাল ডিগ্রি। এই খাত থেকে অনেক আয় হয় বিভাগগুলোর। তবে প্রশ্ন উঠেছে কোর্সগুলোর মান নিয়ে। অনেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর অভিযোগ, শুধু টাকার কারণে পরিশ্রম ছাড়াই এই ডিগ্রিগুলো অর্জন করা যাচ্ছে।
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বিভাগই এখন বিভিন্ন ধরনের ডিগ্রি চালু করেছে। আর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রির জন্য সেসব বিভাগে আবেদনও করছেন অসংখ্য শিক্ষার্থী। এসব কোর্সের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা দাবি করেন, এই কোর্সের ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও উপকৃত হবেন। কারণ আয়কৃত অর্থ বিভাগের উন্নয়নেই ব্যয় করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক কামাল উদ্দিন অবশ্য এসব ডিগ্রির বিপক্ষে কথা বলছেন। ১৭ জুন সিনেট বৈঠকে তিনি এই বিষয়ে অভিযোগ তুলে বলেন, ‘এসব ব্যবসায়ীর মতো শিক্ষকরা হয়তো শিক্ষা ও জ্ঞানের মর্যাদা বোঝেন না কিংবা ভুলে গেছেন। বেশকিছু সান্ধ্যকালীন কোর্স চালু হয়েছে। এগুলো রোগের মতো ছড়িয়ে পড়ছে।’
২০০২ সাল থেকে ঢাবির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের নয়টি শাখায় প্রফেশনাল মার্স্টার্স শুরু হয়েছে। প্রত্যেকটি কোর্সে প্রতি সেমিস্টারে অন্তত ৬০ জন শিক্ষার্থী ভর্তি হয়। সেটা বছরে তিনবার। এজন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে গুণতে হয় আড়াই লাখ টাকা। আনুষঙ্গিক খরচ মিলে সেটা দাঁড়ায় তিন লাখে। কোনও বিষয়ে অকৃতকার্য হলে ফের ভর্তির টাকা দিতে হয় শিক্ষার্থীদের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও জাহাঙ্গীনগর, জগন্নাথ ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়েও এমন কোর্স চালু করা হয়েছে।
কোর্সগুলোর ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনুমোদন দিলেও এখনও বিশেষ কিছু প্রক্রিয়া বাকি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মতে, এসব কোর্স থেকে আয়কৃত ৩০ শতাংশ অর্থ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় কোষাগারে জমা হবে। বাকি টাকা বিভাগের জন্য বরাদ্দ হবে। তবে মাঝে মাঝে কর্তৃপক্ষকে না জানিয়েই কয়েকটি বিভাগ এমন কোর্স চালিয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘প্রভাবশালী ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানরা উপাচার্যের কাছ থেকে এমন কোর্সের অনুমতি নিয়ে নিলেও এগুলো পর্যবেক্ষণ করার কেউ নেই।’ ঢাবির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের মাস্টার্স প্রোগ্রাম সম্পূর্ণ স্বচ্ছ। আমরা বার্ষিক অডিট রিপোর্টও জমা দেই। এই কোর্সগুলো থেকে প্রাপ্ত অর্থের ৩০ শতাংশেই কেন্দ্রীয় ফান্ডে চলে যায়, আর ৫ শতাংশ যায় ডিনের অফিসে। বাকি ৬৫ শতাংশ বিভাগের উন্নয়ন কাজে ব্যয় হয়।’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদে ২০১১ সাল থেকে মাস্টার্স প্রোগাম চালু হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট এর অনুমোদন দেওয়ার পর আরও কয়েকটি বিভাগ সান্ধ্যকালীন কোর্স শুরু করেছে। কারণ এগুলো খুবই লাভজনক। জাবির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আবুল হোসেন বলেন, ‘সান্ধ্যকালীন এসব কোর্সের জন্য কিছু নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। তবে এখনও সিন্ডিকেটে এখনও অনুমোদন দেওয়া হয়নি। সিন্ডিকেট থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ফারাজানা ইসলামের নেতৃত্বাধীন একটি কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।’
প্রথমে জাবি কর্তৃপক্ষ সবগুলো বিভাগ ও অনুষদকে এসব কোর্স থেকে ১৮-২০ শতাংশ অর্থ কেন্দ্রীয় ফান্ডে জমা দেওয়ার কথা বলেছিল। এখন সেটা ২৫ শতাংশ দিতে হয়। এই টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামো উন্নয়ন ও অন্যান্য কার্যক্রমে ব্যয় করা হয় বলে জানান অধ্যাপক আবুল হোসেন।

শিক্ষকদের সমর্থন
কয়েকবছর আগেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দোষারোপ করা হতো যে, তারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস নেন। কিন্তু এখন সেই চিত্র একদম পাল্টে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রফেশনাল কোর্সগুলো চালু হওয়ার পর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোভনীয় প্রস্তাবও ফিরিয়ে দিচ্ছেন কেউ কেউ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, ‘তাদের অনেক সহপাঠীরা আমলা কিংবা করপোরেট চাকরি করে অনেক অর্থ উপার্জন করে। আর এ বাস্তবতায় হতাশ হয়ে পড়েন শিক্ষকরা। ঢাবি ও জাবি কর্তৃপক্ষের মতে, এসব কোর্স থেকে শিক্ষকরা তাদের সময় ও পদ অনুযায়ী প্রতি সেমিস্টারে ৭০ হাজার থেকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত উপার্জন করতে পারেন।’
ঢাবির ফিন্যান্সের অধ্যাপক মাহমুদ ওসমান ইমাম বলেন, ‘এসব কোর্স থেকে সবাই লাভবান হচ্ছে। শ্রেণিকক্ষেও এসি ও প্রজেক্টর বসানো সম্ভব হচ্ছে। শিক্ষকরাও তাদের সময়ের বিনিময়ে টাকা পাচ্ছেন।’ তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় এসব কোর্স থেকে প্রাপ্ত টাকা থেকেই শিক্ষকদের বেতন দেয়।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঢাবির একজন এমবিএ শিক্ষার্থী বলেন, ‘এই কোর্স থেকে আসলে কিছুই লাভ হয় না। শুধু চাকরির বাজারে এই সার্টিফিকেট কাজে আসে। শিক্ষার্থীদের ৭০ শতাংশের নিচে উপস্থিতি থাকলে ১০ হাজার টাকা দিতে হয়। পরীক্ষায় উপস্থিত না হলে ৫ হাজার টাকা দিতে হয় আর মিডটার্ম না দিলে দিতে হয় ১ হাজার ৫০০ টাকা।’

ব্যবসায় প্রশাসনের ডিন অধ্যাপক রুবাইয়াত বলেন, ‘এখানে টাকাই বড় বিষয় নয়। উচ্চশিক্ষার ফলে আদতে আমাদের দেশেরই লাভ হচ্ছে। শিক্ষক হিসেবে আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।’

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সান্ধ্যকালীন কোর্সগুলোতে অনেক শিক্ষার্থীই ভর্তি হচ্ছে (ছবি- রাজিব ধর) নেই কোনও ভর্তি পরীক্ষা
প্রতিবছর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজার হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি হলেও তাদের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। তাদের ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে সন্তুষ্ট নয় অনেক শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও শিক্ষাবিদরা। তারা মনে করেন, এই কোর্সগুলোর ভর্তি প্রক্রিয়ায় আরও সচেতন হওয়া উচিত। ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ভর্তিচ্ছু হয়ে কথা বলার সময় জানা যায়, কর্তৃপক্ষ ভর্তির ও পড়াশোনার জন্য নোটসহ সবকিছু সরবরাহ করবে। এক কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা আপনাকে সব দেব। দুশ্চিন্তার কিছু নেই।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত ও অর্থনীতিসহ কয়েকটি বিভাগে শিক্ষার্থীরা কোনও ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াই ভর্তি হয়ে গেছেন। প্রশাসনও এই বিষয়ে বেশ উদাসীন। গণিত বিভাগ থেকে তিনটি ব্যাচ বের হয়ে গেছে। আর বর্তমানের সপ্তম ব্যাচ কোনও রকম পরীক্ষা ছাড়াই ভর্তি হয়েছে।
একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘শিক্ষকরা আসলে মানসম্মত শিক্ষার ব্যাপারে আগ্রহী নন। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেট ছাড়া আর কোনও ইতিবাচক বিষয় নেই এখানে। শিক্ষার্থীরা তাদের টাকা দেন, ফলে পাস করার ব্যাপারে তাদের চিন্তা করতে হয় না।’
জাবির অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. নুরুল হক বলেন, ‘মৌখিক পরীক্ষাসহ অন্যান্য পর্যালোচনা করেই শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়। তাদের মান নিয়ে কোনও প্রশ্ন নেই। যেহেতু আমাদের কোর্স নতুন। তাই শিক্ষার্থীর সংখ্যাও কম। আমরা এজন্য ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছি না।’

সাধারণ শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের এসব মাস্টার্স ও প্রফেশনাল কোর্সের কারণে সবেচেয় বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। কয়েকজন অভিযোগ করেন, শিক্ষকরা এখন শুধু প্রফেশনাল ডিগ্রিতে সময় দিতে চান। স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘‘এসব ‘টাকার বিনিময়ে সার্টিফিকেটের’ কারণে চাকরির বাজারে সাধারণ শিক্ষার্থীরা বিপদে পড়বেন।’’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রায়হান রিনে বলেন, ‘শিক্ষকরা বিশেষ কোর্সে ব্যস্ত থাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।’ তিনি দাবি করেন, ‘প্রফেশনাল কোর্সের কারণে প্রতিবছর ২০-৩০ জন সাধারণ শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হচ্ছেন। বিপরীতে প্রফেশনাল কোর্সের শিক্ষার্থীরা খুব ভালো ফল করছেন। অর্থাৎ শিক্ষকরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের দেখাশোনা করতে ব্যর্থ হচ্ছেন।’ তিনি বলেন, ‘একজন সাধারণ শিক্ষার্থীকে ভর্তি হওয়ার জন্য কয়েক হাজার শিক্ষার্থীর সঙ্গে লড়াই করতে হয়। কিন্তু সান্ধ্যকালীন কোর্সের শিক্ষার্থীদের সেই ঝক্কি পোহাতে হয় না। ’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়ন প্রেসিডেন্ট তুহিন কান্তি দাস বলেন, ‘শিক্ষকরা সাধারণ কোর্সগুলোতে এখন মনোযোগী নয়। অনেক সময় কোর্স শেষ না করেই পরীক্ষার তারিখ দেন।’

মঞ্জুরি কমিশন কী করছে?
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এই বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে চায়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্বায়ত্তশাসিত বলে কিছু করা সম্ভব হয় না বলে জানিয়েছেন এক কর্মকর্তা। ইউজিসি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আমরা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে এমন নজরদারি করতে পারি না। আর তারা আমাদের কাছে কোনও নির্দেশনাও চায়নি।’ ইউজিসির আইনি সীমাবদ্ধতাও রয়েছে বলে জানান তিনি।

তবে ইউজিসির মতে, কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া এতটা শিথিল করা উচিত নয়। সান্ধ্যকালীন কোর্সের জন্য নতুন শিক্ষক নেওয়ার আহ্বান জানান প্রফেসর আব্দুল মান্নান। তিনি বলেন, ‘ভর্তি প্রক্রিয়া ও বেতন সাধারণ শিক্ষার্থীদর মতোই হওয়া উচিত। এগুলো আলাদা শিক্ষক দিয়ে চালানো উচিত।’


তবে ঢাবি প্রশাসন জানায়, তারা পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করছে এবং সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর কামাল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি রক্ষায় কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
(ঢাকা ট্রিবিউন থেকে অনূদিত)

আরও পড়ুন-

হঠাৎ এনসিটিবি কার্যালয়ে শিক্ষামন্ত্রী

ঢাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ধাক্কাধাক্কি: তদন্ত কমিটিতে শিক্ষার্থী প্রতিনিধি রাখার দাবি

/এমএইচ/টিএন/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
টিভিতে আজকের খেলা (২৬ এপ্রিল, ২০২৪)
টিভিতে আজকের খেলা (২৬ এপ্রিল, ২০২৪)
ট্রাকেই পচে যাচ্ছে ভারত থেকে আনা আলু, বাজারে ৫৫ টাকা কেজি
ট্রাকেই পচে যাচ্ছে ভারত থেকে আনা আলু, বাজারে ৫৫ টাকা কেজি
দুর্বৃত্তের হামলায় গুরুতর আহত যুবলীগ নেতা
দুর্বৃত্তের হামলায় গুরুতর আহত যুবলীগ নেতা
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ককে দল থেকে বহিষ্কার
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা
খুলনায় এযাবৎকালের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা