X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়ে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর আতঙ্ক

আমানুর রহমান রনি
১৮ আগস্ট ২০১৭, ২২:৪৪আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০১৭, ২২:৪৯

ধর্ষণ রাজধানীর পল্লবীতে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রীর (১৪) স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছে তার পরিবার। ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করলেও সম্মানের ভয়ে তারা এখন স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিয়ে আতঙ্কে রয়েছেন। মান-সম্মানের ভয়ে শিক্ষার্থীর পরিবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে সম্মত হয়নি। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গত বুধবার (১৬ আগস্ট) রাতে পল্লবীর ই-ব্লকের মর্নিং গ্লোরি স্কুলের স্কুলের সহকারী শিক্ষক সুজন (২৪) ওই স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রীকে নোট দেয়ার কথা বলে রাতে স্কুলে অপেক্ষা করতে বলে।  রাত ৮টার দিকে যখন সব শিক্ষার্থীরা চলে যায়, তখন অফিস কক্ষ আটকে রেখে ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ করে সুজন। স্কুল শিক্ষার্থীর চিৎকারে আশেপাশের লোকজন সুজনকে ধরে পুলিশে দেয়। এ ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে এই ঘটনায় একটি মামলা করেন। ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) থানায় মামলা রেকর্ড হয়। এজাহারে বাদী উল্লেখ করেন, তার মেয়ে পল্লবীর মর্নিং গ্লোরি স্কুলের নবম শ্রেণিতে লেখাপড়া করে। স্কুলের সহকারী শিক্ষক মো. সুজন (২৪) বিগত কয়েক দিন ধরে আমার মেয়েকে স্কুলে কোচিং করার সময় বিভিন্ন খারাপ প্রস্তাব দিয়ে উক্ত্যক্ত করে। গত ১৬ আগস্ট বিকাল অনুমানিক ৬টার দিকে স্কুলে আমার মেয়ে কোচিং করার জন্য যায়। কোচিং শেষে রাত্র অনুমানিক ৮টার দিকে অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে বাসা ফেরার প্রস্তুতি নেয়। তখন সুজন, কোচিংয়ের নোট দেওয়ার কথা বলে আমার মেয়েকে অপেক্ষা করতে বলে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমার মেয়ে স্কুলের অফিস রুমে গেলে সুজন অফিস রুমের দরজা আটকে ধর্ষণ করে।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, মেয়ের চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন সুজনকে আটক করে পুলিশে দেয়।

স্কুল ছাত্রীর বাবা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যেখানে মেয়ের সবচেয়ে বেশি নিরাপদ থাকার কথা সেখানেই এমন ঘটনা। আমরা বিচারের জন্য পুলিশের কাছে গেছি। আদালতে যাবো। পুলিশ যা করার করবে।’

এই ঘটনায় দোষী শিক্ষকের বিচার দাবি করে স্কুলছাত্রীর বাবা আরও বলেন, ‘আমরা বিচার চাই। কেন এমন ঘটলো?’

পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাদন ফকির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে এই ঘটনায় মামলা করেছে। আমার বৃহস্পতিবার আসামি সুজনকে আদালতে পাঠালে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বর্তমানে সে কারাগারে রয়েছে।’

ওসি আরও বলেন, ‘মেয়েটির বয়স মাত্র ১৪ বছর। আমরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গতকাল হাসপাতালে পাঠাতে চেয়েছি, কিন্তু সে ও তার পরিবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে সম্মত না। তারা এখন আরও মান-সম্মানের ভয় পাচ্ছে। আমরা সব ধরনের আইনি সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি তাদের।’

/এসএমএ/

সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
২৬ বছরের বন্ধুত্বের স্মৃতিচারণ করলেন মামুনুল
২৬ বছরের বন্ধুত্বের স্মৃতিচারণ করলেন মামুনুল
ভ্যাটেই মিলবে রাজস্ব, অথচ ভ্যাট বাড়াতে অনীহা
ভ্যাটেই মিলবে রাজস্ব, অথচ ভ্যাট বাড়াতে অনীহা
বাংলাদেশে দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগের ফল দৃশ্যমান হচ্ছে
গ্লোবাল স্কিলস ফোরামে বক্তারাবাংলাদেশে দক্ষতা উন্নয়নে বিনিয়োগের ফল দৃশ্যমান হচ্ছে
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোট কাল
ভারতের লোকসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় দফার ভোট কাল
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা