X
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
৩ বৈশাখ ১৪৩১

‘পোশাক কারখানায় ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার না থাকলে ব্যবস্থা’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২২ আগস্ট ২০১৭, ১৯:০১আপডেট : ২২ আগস্ট ২০১৭, ১৯:১৪

মাদার্স অ্যাট ওয়ার্কের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর কোনোটিতে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার ও শিশুদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ডে কেয়ার সেন্টার না থাকলে সেই কারখানার বিরুদ্ধে সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক। শ্রম মন্ত্রণালয়ের ইনস্পেকশন বিভাগকে দেওয়া তাৎক্ষণিক নিদের্শনায় তিনি এ কথা বলেন।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ইউনিসেফের যৌথ উদ্যোগ আয়োজিত ‘মাদার্স অ্যাট ওর্য়াক’ শীর্ষক উদ্যোগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রতিটি তৈরি পোশাক কারখানায় একটি করে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার এবং ডে কেয়ার সেন্টার গড়ে তুলতে হবে। কোনও কারখানা এ আইন না মানলে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। যেসব ফ্যাক্টরিতে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার এবং ডে কেয়ার সেন্টার থাকবে না, তাদের বিরুদ্ধে আমি ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিচ্ছি।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘সবাইকে আইন জানতে হবে, আইন মেনে চলতে হবে। পোশাক কারখানার কর্মীদেরও নিজেদের অধিকার সম্পর্কে জানতে হবে। তবেই অধিকার আদায় করা যাবে।’ মাদার্স অ্যাট ওয়ার্কের লক্ষ্য সর্ম্পকে তিনি বলেন, ‘কর্মক্ষেত্রে নারী শ্রমিকদের তাদের শিশুদের বুকের দুধ খাওয়ানোর বিষয়ে প্রচারণা চালানো হবে।’
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সময়োচিত ‘মার্দাস অ্যাট ওর্য়াক’ উদ্যোগটি চলতি মাসেই প্রধানমন্ত্রীর পুষ্টি বিষয়ক জাতীয় পরিকল্পনার আওয়াত অনুমোদিত হয়েছে। এ ধরনের উদ্যোগ বাংলাদেশে এই প্রথম।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, পোশাক কারখানায় সত্তর থেকে পঁচাত্তর শতাংশ নারী শ্রমিকের বয়স ১৮ থেকে ৩৫। এসব কর্মীদের মধ্যে যারা মা, তাদের ও তাদের সন্তানদের পুষ্টি নিশ্চিত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। আর ভবিষ্যত প্রজন্মকে কর্মক্ষম করে গড়ে তুলতে চাইল শিশুর জন্মের পর কমপক্ষে প্রথম একশ দিন মায়ের বুকের দুধ খাওয়া নিশ্চিত করতে হবে।
আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কান্ট্রি ডিরেক্টর শ্রীনিবাস রেড্ডি বলেন, ‘মায়ের দুধ খাওয়ানোকে উৎপাদনের অন্তরায় হিসেবে দেখলে চলবে না। বরং যেসব মায়েরা তাদের সন্তানকে বুকের দুধ খাওয়ান, কর্মক্ষেত্রে তাদের স্থায়িত্ব বেশি এবং এর মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তিকে কর্মক্ষেত্রে ধরে রাখা সম্ভব।’
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রাথমিকভাবে ডিবিএল ও ভিশন অ্যাপারেলস নামে দু’টি পোশাক কারাখানায় এ উদ্যোগটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে। দেশের বাকি কারখানাগুলোতেও কর্মরত সব মা ও সন্তানদের কাছেও এই কর্মসূচি পৌঁছে দিতে হবে।
ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি এডয়ার্ড বেগবেদার বলেন, ‘জনসংখ্যার একটি ক্রমবর্ধমান অংশ হচ্ছে কর্মজীবী নারী। তৈরি পোশাকখাতে প্রায় ৩২ লাখ নারী কাজ করেন। তাদের অনেকেই মা। তাই তাদের জন্য এ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।’
জনস্বাস্থ্য পুষ্টি ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মুজহারুল ইসলাম বলেন, ‘‘এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য ‘মাদার্স অ্যাট ওয়ার্ক’ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, প্রধানমন্ত্রী যে পুষ্টি নীতিমালা অনুমোদন করেছেন, সেখানে সবার পুষ্টি নিশ্চিত করার কথা বলা আছে। তাই পোশাক কারখানাগুলোতেও এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে দু’টি পোশাক কারখানার ৯ জন মায়ের হাতে ব্রেস্ট ফিডিং কিট দেওয়া হয়। এই কিট ব্যবহার করে তারা বুকের দুধ সংরক্ষণ করে সন্তানকে নিয়ম অনুযায়ী খাওয়াতে পারবেন।

আরও পড়ুন-
মেডিক্যালে ভর্তি: অনলাইনে আবেদন শুরু ২৪ আগস্ট

/জেএ/টিআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
‘সাংগ্রাই জলোৎসব’ যেন পাহাড়ে এক মিলন মেলা
‘সাংগ্রাই জলোৎসব’ যেন পাহাড়ে এক মিলন মেলা
পাঁচ উপায়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা
বাজেট ২০২৪-২৫পাঁচ উপায়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনা
টাকা ভাগাভাগি নিয়ে কাউন্সিলর-যুবলীগ নেতার সংঘর্ষে যুবক নিহত
টাকা ভাগাভাগি নিয়ে কাউন্সিলর-যুবলীগ নেতার সংঘর্ষে যুবক নিহত
অনিবন্ধিত ও অবৈধ নিউজ পোর্টাল বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
অনিবন্ধিত ও অবৈধ নিউজ পোর্টাল বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
সর্বাধিক পঠিত
ঘরে বসে আয়ের প্রলোভন: সবাই সব জেনেও ‘চুপ’
ঘরে বসে আয়ের প্রলোভন: সবাই সব জেনেও ‘চুপ’
ডাবের পানি খাওয়ার ১৫ উপকারিতা
ডাবের পানি খাওয়ার ১৫ উপকারিতা
ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো ১৩ জনের
ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো ১৩ জনের
প্রকৃতির লীলাভূমি সিলেটে পর্যটকদের ভিড়
প্রকৃতির লীলাভূমি সিলেটে পর্যটকদের ভিড়
‘মাঠে আমার শরীর কেউ স্পর্শ করতে পারেনি’
‘মাঠে আমার শরীর কেউ স্পর্শ করতে পারেনি’