X
শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
১৩ বৈশাখ ১৪৩১

ঈদের আগেই বাড়ি যাবে তোফা ও তহুরা

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২৩ আগস্ট ২০১৭, ১৮:৪২আপডেট : ২৩ আগস্ট ২০১৭, ১৯:০৬

হাসপাতালের বেডে মায়ের পাশে তোফা ও তহুরা কোমরের দিকে জোড়া লেগে জন্ম নিয়েছিল তোফা ও তহুরা। চলতি মাসে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে অপারেশনের মাধ্যমে ১০ মাস বয়সী শিশুদুটিকে আলাদা করা হয়। চিকিৎসকদের নিবিড় তত্ত্বাবধানে ধীরে ধীরে সুস্থও হয়ে উঠেছে তারা। এখন প্রস্তুতি চলছে হাসপাতাল ছাড়ার। চিকিৎসকরা আশাবাদী,কোরবানির ঈদের আগেই বাড়ি যাবে তোফা ও তহুরা।

ঢামেক হাসপাতালের শিশু সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সাহনুর ইসলাম বুধবার (২৩ আগস্ট) বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তোফা ও তহুরা শঙ্কামুক্ত থাকলেও সেটি আমরা এখনই বলতে চাচ্ছি না। ওরা বাড়ি ফেরা না পর্যন্ত ওদের আমরা শঙ্কামুক্ত বলতে চাই না। তবে ওরা দুজনই এখন অনেক ভালো আছে, সুস্থ রয়েছে। ওদের আইসিইউ থেকে স্থানান্তর করে কেবিনেও দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, আগামী সপ্তাহ নাগাদ ওদের ছুটি দিতে পারবো,বাড়ি ফিরবে মেয়ে দুটি।’ অধ্যাপক সাহনুর ইসলামের তত্ত্বাবধায়নেই রয়েছে তোফা ও তহুরা।

হাসপাতালের বেডে তোফা শিশুদুটির জন্ম হয়েছিল কোমরের কাছে পেছনের দিক থেকে সংযুক্ত হয়ে। তারা যেভাবে জোড়া লেগে জন্মগ্রহণ করেছিল চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় তাকে পাইগোপেগাস বলা হয়। পাইগোপেগাস শিশু পৃথক করার ঘটনা বাংলাদেশে এই প্রথম বলে জানান চিকিৎসকরা। প্রায় ৯ ঘন্টার অপারেশন শেষে তাদের আলাদা করা হয়।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের ঝিনিয়া গ্রামের রাজু মিয়ার স্ত্রী সাহিদা বেগম নিজ বাড়িতে স্বাভাবিকভাবেই তোফা-তহুরার জন্ম দেন। কোমরের কাছে জোড়া ছাড়া শিশু দুটির সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গই ছিল আলাদা। শুধু প্রস্রাব-পায়খানার রাস্তা ছিল একটি।

হাসপাতালের বেডে তহুরা গত বছরের ৮ অক্টোবর ঢামেকে অপারেশনের মাধ্যমে তাদের পায়ুপথ আলাদা করা হয়। পরে গত ১ আগস্ট দ্বিতীয়বারের মতো অস্ত্রোপচার করে তাদের শরীর আলাদা করা হয়। ওইদিন সকাল ৮টায় শুরু হয় জটিল ও ঝুঁকিপূর্ণ এ অস্ত্রোপচার। বিকাল পাঁচটায় শিশু দুটিকে সফলভাবে আলাদা করেন চিকিৎসকরা। গত ১৬ আগস্ট তোফা ও তহুরার অস্ত্রোপচারের সেলাই কাটা হয়।

অধ্যাপক ডা. সাহনুর ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘‌ওরা শারীরিকভাবে ভালো আছে, মায়ের বুকের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য স্বাভাবিক খাবারও খাচ্ছে। যেসব জটিলতা ছিল, এখন সেগুলোর কিছুই নেই। তবুও ওদের আমরা পুরোপুরি শঙ্কামুক্ত বলছি না, একেবারে বাড়ি না যাওয়া পর্যন্ত।’ কবে নাগাদ তোফা ও তহুরা বাড়ি যেতে পারবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আশা করছি, আগামী সপ্তাহ নাগাদ ওদের ছুটি দিতে পারবো।’ 

 

 

 

 

জেএ/এএম
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
সাদি মহম্মদ: ভাইয়ের কান্না, বন্ধুর স্মৃতি, সতীর্থদের গানে স্মরণ…
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
খালি বাসায় ফ্যানে ঝুলছিল কিশোরী গৃহকর্মীর লাশ
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
গরমে রেললাইন বেঁকে যাওয়ার শঙ্কায় ধীরে চলছে ট্রেন
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
মন্দিরে সেলফি তুলতে গিয়ে প্রদীপে দগ্ধ নারীর মৃত্যু
সর্বাধিক পঠিত
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
পুলিশের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
সরকারি না হলেও সলিমুল্লাহ কলেজে অধ্যাপক ১৪ জন
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
মৌসুমের সব রেকর্ড ভেঙে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়
এগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
ঈদের ছবিএগিয়েছে ‘ওমর’, চমকে দিলো ‘লিপস্টিক’!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!
হোটেল রুম থেকে এই ৫ জিনিস নিয়ে আসতে পারেন ব্যাগে ভরে!