X
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
৬ বৈশাখ ১৪৩১

দোকান কর্মচারীকে ঢাবি হলে আটকে রেখে নির্যাতন, চাঁদা দাবি

বাংলা ট্রিবিউ্রন রিপোর্ট
২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৩:৪২আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭, ০৩:৪৬

দোকান কর্মচারী গিয়াস উদ্দিনের শরীরে নির্যাতনের চিহ্ন রাজধানীর চানখাঁরপুলে বনফুল মিষ্টি ও বেকারি দোকানের একজন কর্মচারীকে হলে আটকে রেখে চাঁদা দাবি ও নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।

শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে গিয়াস উদ্দিন নামে ওই কর্মচারীকে মোটরসাইকেলে করে দোকান থেকে তুলে এনে হলে আটকে রাখেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এদের মধ্যে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞানবিষয়ক উপসম্পাদক মো. আরিফুল ইসলাম জিসান ও হল শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম রাকিবুল হাসানের জড়িত থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের একটি সূত্র জানায়, দুপুরে আরিফুল ইসলাম হলের এক সাবেক নেতাকে নিয়ে চানখাঁরপুলের দোকানে খেতে যান। সেখানে দোকানের ভেতরে সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডা হলে ওই কর্মচারীকে ধরে হলে নিয়ে আসা হয়।

বনফুল নামে ওই দোকানের মালিক আল আমিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দোকানের ভেতরে দু’জন ছাত্র সিগারেট ধরালে গিয়াস উদ্দিন তাদের বারণ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে বিকাল পাঁচটার দিকে ওই দু’জনের একজনসহ ১০-১২ জন ছাত্র এসে গিয়াসকে মারধর করে তুলে নিয়ে যায়।’

হল ছাত্রলীগের একটি সূত্র জানায়, জিসানের নেতৃত্বে গিয়াসকে যারা তুলে এনেছেন, তারা সবাই হল শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ও হলের সভাপতি শাহরিয়ার সিদ্দিকের অনুসারী।

দোকান মালিক আল আমিন বলেন, ‘আমি ফেরাতে গেলে আমাকেও মারধর করা হয়েছে। পরে আমাদের দু’জনকেই মোটরসাইকেলে বসিয়ে ফজলুল হক হলে নিয়ে যায় তারা। সেখানে আমাকে চড়-থাপড় দেয় ও সিগারেটের আগুন দিয়ে ঘাড়ে ছ্যাকা দেয়।'

পরে গিয়াস উদ্দিনকে আটকে রাখা হয় এবং আল আমিনকে এক লাখ টাকা দিয়ে গিয়াস উদ্দিনকে ছাড়িয়ে নিতে বলা হয়। এর মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে গিয়াসকে ছেড়ে দেওয়া হয়। মৎস্য ভবনের সামনে থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেওয়া হয়। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট খোঁচার আঘাত দেখা গেছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফজলুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার সিদ্দিক বলেন, ‘আমি ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলেছি। কিন্তু তারা কারও নাম বলতে পারছেন না। কাউকে চিনতে পারলে আমি সহযোগিতা করবো।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর অধ্যাপক এম আমজাদ আলী বলেন, ‘আমি ঘটনা জানতে পেরে আবাসিক শিক্ষককে খোঁজ নিতে বলেছি। কিন্তু তিনি যাওয়ার আগেই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জিসান নামে একজনের সম্পৃক্ততার কথা শুনেছি। আবাসিক শিক্ষক আমাকে জানিয়েছেন, দোকানের কর্মচারী ছাত্রদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছে।’

আরিফুর রহমান ঘটনার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি হলে এসে বিষয়টি শুনেছি। কারা এই কাজ করেছে জানি না। আমি নিজেও তাদের খুঁজছি।’ আরেক অভিযুক্ত এস এম রাকিবুল হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

আরও পড়ুন: রাজধানীতে ইয়াবা নিয়ে বাবা-মা, দুই ভাইসহ আটক ছয়

 

/আরজে/এপিএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
শিশু হাসপাতালে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না: ফায়ার সার্ভিস
শিশু হাসপাতালে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না: ফায়ার সার্ভিস
ভোট দিতে এসে কেউ উৎফুল্ল, অনেকেই ক্ষুব্ধ!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনভোট দিতে এসে কেউ উৎফুল্ল, অনেকেই ক্ষুব্ধ!
বায়ার্নের নজরে থাকা নাগেলসমানের সঙ্গে জার্মানির নতুন চুক্তি
বায়ার্নের নজরে থাকা নাগেলসমানের সঙ্গে জার্মানির নতুন চুক্তি
নড়াইলে ‘সুলতান মেলা’ উপলক্ষে আর্ট ক্যাম্প
নড়াইলে ‘সুলতান মেলা’ উপলক্ষে আর্ট ক্যাম্প
সর্বাধিক পঠিত
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
নিজ বাহিনীতে ফিরে গেলেন র‍্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার মঈন
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
আমানত এখন ব্যাংকমুখী
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
বৈধ পথে রেমিট্যান্স কম আসার ১০ কারণ
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইসরায়েলি হামলা কি প্রতিহত করতে পারবে ইরান?
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!
ইরানে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল!