নিয়োগ অবৈধসহ বিভিন্ন অভিযোগ থেকে ছাড় পেয়ে এমপিওভুক্ত হলেন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২৫৬ শিক্ষক। শিক্ষা মন্ত্রণালয় এসব শিক্ষকদের এমপিওভুক্ত করতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছে। মাউশি’র পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ শামছুল হুদা বাংলা ট্রিবিউনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মাউশির সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ গত ২৭ সেপ্টেম্বর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) মহাপরিচালককে দেশের ৩০টি জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ২৫৬ জন শিক্ষককে এমপিওভুক্তির নির্দেশ দেয়। গত ২৩ আগস্ট দুর্নীতি দমন কশিন (দুদক) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক প্রতিবেদনে জানায়, ২৫৬ শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুদকের কোনও মামলা নেই। দুদকের এই ছাড়ের পর মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে ২৫৬ শিক্ষককে এমপিওভুক্ত করতে নির্দেশ দেয় মন্ত্রণালয়।
দীর্ঘদিন ধরে এমপি বন্ধ থাকা এসব শিক্ষকদের মধ্যে রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার কালীদাস খালী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সুকান্ত কুমার সাহাও রয়েছেন। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পর ২০১৩ সালের মে ও জুন মাসের বেতন উত্তোলন করি। এরপর এমপিও থেকে আমার নাম বাদ পড়ে। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি নিয়োগ অবৈধ বলে আমার নাম এমপিও থেকে বাদ যায়। সহকর্মী সহকারী শিক্ষক মো. আমিরুল ইসলামের নামও বাদ পড়ে। পরে জানতে পারি নিয়োগ অবৈধসহ বিভিন্ন অভিযোগে ২৫৬ জন শিক্ষকের এমপিও বন্ধ হয়েছে। আমারা জানি না আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ কিভাবে হলো। বৈধভাবেই নিয়োগ পেয়েছি। বেতনও উঠিয়েছি। দীর্ঘদিন বেতন ছাড়াই শিক্ষকতা করছি আমরা। অনেক কষ্টের পর পর ভালো সংবাদ পেয়েছি, এটাই বড় কথা।’
আরও পড়ুন:
দীর্ঘমেয়াদে রোহিঙ্গারা থাকলে যে সংকটের মুখোমুখি হবে দেশ
কোনও অনিয়ম হলেই ব্যবস্থা: ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি