X
বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

যেভাবে উদ্ধার হলো শিশু হৃদয়

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২১ অক্টোবর ২০১৭, ১৭:২১আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০১৭, ১৭:৩৩

লাশ কামাল হোসেন পেশায় রিকশা চালক। তার স্ত্রী রোজিনা বেগম অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। টানাটানির সংসারে তাদের ছিল তিন সন্তান। এর মধ্যে মেজ সন্তান হৃদয়। সে ছিল কামাল-রোজিনা দম্পতির চোখের মণি। তিন বছরের সেই নাড়ি ছেড়া ধনকে হারিয়েছেন তারা। লাশও পাওয়া হতো না। শেষমেষ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সহায়তায় উদ্ধার হলো শিশুটির মরদেহ।
নিখোঁজের সাত দিন পর হৃদয়ের লাশ এলাকার একটি খাল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুর আড়াইটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ও স্থানীয়রা মিলে রাজধানীর মুগদর মান্ডা খাল থেকে হৃদয়ের মৃতদেহ উদ্ধার করেন।
ফায়ার সার্ভিসের সদর দফতরের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার রাসেল শিকদার বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ফায়ার সার্ভিসের ঢাকা ডিভিশনের সহকারী পরিচালক মাসুদুর রহমান আখন্দের নেতৃত্বে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল হৃদয় নিখোঁজের দিন থেকে সার্বক্ষণিক নজরদারি রেখেছিলেন। শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে মান্ডা খাল থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করা হয়।
মুগদা মান্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খায়রুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘হৃদয় নিখোঁজ হওয়ার প্রথম দিন থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা কাজ করছেন। গত ১৯ অক্টোবর তারা উদ্ধারকাজ আপাতত স্থগিত রাখেন। তখন তাদের অনুমতি নিয়ে আমরা স্থানীয়রা খোঁজাখুঁজি শুরু করি। শুক্রবার রাতে খোঁজার জন্য ভেকু নিয়ে আসি। আজ (শনিবার) দুপুরে কাজ শুরুর আধঘণ্টার মধ্যে হৃদয়ের লাশ উদ্ধার করা হয়।’

এ প্রসঙ্গে ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক সালাউদ্দিন বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসে এস্কেলেটর বা ভেকু ব্যবহারের চর্চা নেই। স্থানীয় নেতাকর্মীরা শুক্রবার রাতে ভেকু নিয়ে এসে শনিবার দুপুরে কাজ শুরু করেন। এরপরই হৃদয়ের লাশ পেয়েছি।’

গত ১৫ অক্টোবর বিকালে বন্ধুদের সঙ্গে খেলতে গিয়ে পাশের খালের পানিতে পড়ে মুহূর্তের মধ্যে তলিয়ে যায় হৃদয়। খালের পানিতে প্রচুর ময়লা থাকায় ওই সময় ফায়ার সার্ভিস দীর্ঘ সময় চেষ্টা চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি।

নিখোঁজের পরপর হৃদয়কে উদ্ধারে ওয়াসা ও সিটি করপোরেশনকে জানানো হলেও কোনও সহযোগিতা করেননি বলে অভিযোগ তার মা রোজিনা বেগমের। এ কারণে শুক্রবার (২০ অক্টোবর) তিনি বাদী হয়ে মান্ডা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমাসসহ পাঁচ জনের নাম উল্লেখ করে মুগদা থানায় ফৌজধারী কার্যবিধির ৩০৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন।

মান্ডা ইউপির চেয়ারম্যান আলমাস ছাড়াও মামলার অন্য আসামিরা হলেন— বাড়ির মালিক সফিউল আলম তনয়, তার মা নূরে জান্নাত, কেয়ারটেকার পারভীন আক্তার, ওয়াসার উপ-সহকারী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম ও জসিম উদ্দিন।

মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, রোজিনা বেগমের মামলার ভিত্তিতেই ময়নাতদন্তের জন্য শিশুটিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন-
মুগদায় খালে পড়ে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার

মুগদায় খালে পড়ে শিশু নিখোঁজ

/আরজে/জেএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
মার্কিন কংগ্রেসে ইউক্রেনের বহুল প্রতীক্ষিত সহায়তা প্যাকেজ পাস
মার্কিন কংগ্রেসে ইউক্রেনের বহুল প্রতীক্ষিত সহায়তা প্যাকেজ পাস
এক্সপ্রেসওয়েতে বাস উল্টে প্রাণ গেলো একজনের, আহত ১০
এক্সপ্রেসওয়েতে বাস উল্টে প্রাণ গেলো একজনের, আহত ১০
বেসিস নির্বাচনে ১১ পদে প্রার্থী ৩৩ জন
বেসিস নির্বাচনে ১১ পদে প্রার্থী ৩৩ জন
সিঙ্গাপুরে রডচাপায় বাংলাদেশি তরুণের মৃত্যু
সিঙ্গাপুরে রডচাপায় বাংলাদেশি তরুণের মৃত্যু
সর্বাধিক পঠিত
মিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিমিশা-ডিপজলদের শপথ শেষে রচিত হলো ‘কলঙ্কিত’ অধ্যায়!
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
জরিপ চলাকালীন জমির মালিকদের জানাতে হবে: ভূমিমন্ত্রী
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক
ব্যাংক একীভূতকরণ নিয়ে নতুন যা জানালো বাংলাদেশ ব্যাংক