X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতিতে নিউ মিডিয়া ও গণমাধ্যমের ভূমিকা সবসময় ইতিবাচক নয়

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৮ নভেম্বর ২০১৭, ২১:০৪আপডেট : ১৮ নভেম্বর ২০১৭, ২১:০৯

সংস্কৃতিতে নিউ মিডিয়া ও গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়ে সেশনে বক্তারা বর্তমানে সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদানকে কেবল নিউ মিডিয়াই নয়, গণমাধ্যমগুলোও ভীষণভাবে প্রভাবিত করে থাকে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই এসব মাধ্যম ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারছে না। তাদের উপস্থাপনার ঢঙ অনেক বিষয়কেই নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে। এ ধরনের একপাক্ষিক প্রবণতা ক্ষতিকর।

লিট ফেস্টের শেষ দিন শনিবার (১৮ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় বাংলা একাডেমির লনে ‘হুজ কালচার ইজ ইট অ্যানিওয়ে?’ শীর্ষক এক সেশনে বক্তারা এসব কথা বলেন। কেলি ফ্যালকনারের সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন লিওনেল শ্রিভার, লরেন্স অসবর্ন ও করন মহাজন। সেশনে আরও উপস্থিত ছিলেন উৎসবের অন্যতম পরিচালক কাজী আনিস আহমেদ।

সেশন শুরু করেন কাজী আনিস আহমেদ। অতিথিদের দর্শকদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন তিনি। পরে কেলির সঞ্চালনায় প্রাণবন্ত আলোচনায় উঠে আসে সমসাময়িক সংস্কৃতিতে নিউ মিডিয়ার প্রভাব এবং তার ফলে বিভিন্ন অঞ্চলের সংস্কৃতি পরিবর্তিত হওয়ার সব প্রসঙ্গ। তাদের আলোচনায় বিশেষ করে উঠে আসে নতুন আন্দোলন বা কর্মসূচিগুলোতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ভূমিকা নিয়ে। এসব আন্দোলন বা কর্মসূচিগুলোর একটি বড় অংশই নেতিবাচক বার্তা বহন করে বলে জানান বক্তারা।

বক্তারা বলেন, বর্তমানে সংস্কৃতির বিভিন্ন উপাদানকে কেবল নিউ মিডিয়াই নয়, গণমাধ্যমগুলোও ভীষণভাবে প্রভাবিত করে থাকে। তবে অনেক ক্ষেত্রেই এসব মাধ্যম ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারছে না। তাদের উপস্থাপনার ঢঙ অনেক বিষয়কেই নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করছে। শুধু তাই নয়, গণমাধ্যম কাদের গুরুত্ব দিচ্ছে, সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণ হিসেবে লরেন্স বলেন, পশ্চিমা পত্রিকাগুলো স্বভাবতই মধ্যপ্রাচ্যের বা মুসলিম সাহিত্যিকদের গুরুত্ব দিতে চায় না। এই ধরনের একপাক্ষিক যেকোনও প্রবণতাই ক্ষতিকর।

বক্তারা আরও বলেন, এ ধরনের নেতিবাচক পরিস্থিতি লেখকদের ওপরও গুরুতর প্রভাব ফেলে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অনেক লেখকই স্বাধীনভাবে লেখার সাহস দেখান না বা বিভিন্ন কারণে দেখাতে পারেন না। তবে লেখকদের জন্য এই নেতিবাচক ঘটনাগুলোর ইতিবাচকও দিকও আছে। সাহিত্য সৃষ্টির জন্য যে অনুপ্রেরণার প্রয়োজন, তার গুরুত্বপূর্ণ উৎস হতে পারে এই নেতিবাচক ঘটনাপ্রবাহ। পাশাপাশি গণমাধ্যম ও সাহিত্যের বিনিয়োগ কোথা থেকে হচ্ছে, সেটিও গুরুত্বপূর্ণ।

পাশাপাশি আরেকটি স্বস্তিদায়ক ব্যাপারের কথা বলেন করন মহাজন। তিনি বলেন, ‘ঐতিহাসিকভাবে কোনও ধরনের উগ্রপন্থী আন্দোলন বা কর্মসূচিই বেশিদিন স্থায়ী হয় না।’ শ্রিভার অবশ্য বিষয়টি আরেকটি দৃষ্টিকোণ থেকেও ব্যাখ্যা করেন। বলেন, ‘সব প্রজন্মের মধ্যেই আগের প্রজন্মের প্রতিষ্ঠিত ধারা ও প্রথা ভেঙে ফেলার প্রবণতা থাকে। এই প্রক্রিয়া শেষ হলেই সমস্যাগুলো অনেকখানি প্রশমিত হয়ে যাওয়ার কথা।’

/টিআর/
সম্পর্কিত
রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান ঢাকা লিট ফেস্টের
পর্দা নামলো ঢাকা লিট ফেস্টের
ডিএসসি দক্ষিণ এশীয় সাহিত্য পুরস্কার পেলেন শ্রীলঙ্কার আনুক আরুদপ্রাগাসাম
সর্বশেষ খবর
ছাত্রলীগের ‘অনুরোধে’ গ্রীষ্মকালীন ছুটি পেছালো রাবি প্রশাসন
ছাত্রলীগের ‘অনুরোধে’ গ্রীষ্মকালীন ছুটি পেছালো রাবি প্রশাসন
সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত বেড়ে ৯
সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত বেড়ে ৯
বার্সেলোনার সঙ্গে থাকছেন জাভি!
বার্সেলোনার সঙ্গে থাকছেন জাভি!
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী