প্রাথমিক সমাপনীর গণিতের পরীক্ষা হয় রবিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে। তবে বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) থেকে প্রশ্ন ফাঁসের গুজব শোনা যায়। শুধু গুজব নয়, ওইদিন রাত থেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ভিডিও শেয়ারিং সাইট ইউটিউবে প্রশ্ন পাওয়া গেছে। ফেসবুকে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের ছবিসহ অনেকে স্ট্যাটাসও দিয়েছেন। বাংলা ট্রিবিউনের হাতেও ফাঁস হওয়া প্রশ্ন এসেছে―যার সঙ্গে পরীক্ষা হওয়ার প্রশ্নের ৭০ শতাংশ মিল পাওয়া গেছে।
প্রশ্ন শুধু ফেসবুকে নয়, ইউটিউবেও পাওয়া গেছে। সেখানে উত্তরসহ ভিডিও করে ছাড়া হয়েছে। রবিবার সকালে যে প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়, সে প্রশ্নের সঙ্গে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের প্রায় ৭০ ভাগ মিল রয়েছে।
দুটি প্রশ্নপত্র মিলিয়ে দেখা গেছে, ১ নম্বরে ২৪টি প্রশ্নের মধ্যে ১৪টি এবং ২ নং প্রশ্নের ১০টির ৯টির মিল পাওয়া গেছে। বড় প্রশ্নের ক্ষেত্রে ৩ নং এর দ্বিতীয় প্রশ্ন, ৪নং এর দু’টি প্রশ্নই, ৫নং এর দ্বিতীয় প্রশ্ন, ৭ নং এর প্রথম প্রশ্ন, ৮নং এর সব প্রশ্ন , ৯নং এর প্রথম প্রশ্নের সঙ্গে পুরোটাই মিল রয়েছে।
এই মিল শুধু বাংলা মাধ্যমেই নয়, ইংরেজি মাধ্যমের প্রশ্নেও একই মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
মোহাম্মদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে আসা পরীক্ষার্থীর অভিভাবক সায়েম রহমানের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় শুক্রবার রাতে প্রশ্ন ফেসবুকে পেয়েছেন তিনি।
তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রশ্ন নিতে চাই না, কিন্তু বাচ্চার আবদারের কথা চিন্তা করে নেই। কারণ তার বন্ধুবান্ধব প্রায় সবাই প্রশ্ন দেখেই প্রস্তুতি নিয়েছে। এই অবস্থায় যদি না দেই আমার ছেলের রেজাল্ট খারাপ হয়ে যাবে। পরীক্ষার পরে প্রশ্ন মিলিয়ে দেখি বেশিরভাগই মিলে গেছে।’
আরেক অভিভাবক নার্গিস আরা বলেন, ‘প্রাথমিক বিভাগের পাবলিক পরীক্ষা এমনিতে বাচ্চাদের ওপর একটা বড় মানসিক চাপ, তার ওপর আবার প্রশ্ন ফাঁস। অনেক দুর্ভাগ্যের মধ্যে বাস করি আমরা।’
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আব্দুল মান্নান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে এখনও কিছু জানি না। তবে প্রশ্ন ফাঁস হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’