X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

শতকোটি টাকার হোল্ডিং ট্যাক্স বাকি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর

শাহেদ শফিক
২৭ নভেম্বর ২০১৭, ২০:৫১আপডেট : ২৯ নভেম্বর ২০১৭, ১৪:৫০

শতকোটি টাকার হোল্ডিং ট্যাক্স বাকি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর হোল্ডিং ট্যাক্স (গৃহকর) আদায়ে বেকায়দায় রয়েছে রাজধানী ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। অনেক সাধারণ নাগরিকের পাশাপাশি খোদ সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও বছরের পর বছর হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করছে না। সরকারের এমন ৩৫টি মন্ত্রণালয় থেকে শুধু ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনেরই (ডিএসসিসি) পাওনা সাড়ে ৬০ কোটি টাকার বেশি। উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এ বছর এখনও পাওনার হিসাব হালনাগাদ না করলেও এ দুই সিটির শতকোটি টাকার ওপরে পাওনা রয়েছে বলে জানা গেছে।

তবে কয়েকটি খেলাপি প্রতিষ্ঠান বলেছে, সিটি করপোরেশনগুলোর সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মকর্তাদের গাফিলতিতেই এমন ঘটনা ঘটছে। তাগিদ দিলে তারা অবশ্যই বকেয়া পরিশোধ করতেন। আর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর এমন আচরণ আইন ও বিধিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

এ বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এটা স্পষ্টত বড় ধরনের অনিয়ম। নিয়ম হচ্ছে সব হোল্ডিংয়ের ট্যাক্স পরিশোধ করা। সেটা জনগণের হোক বা সরকারের হোক। সরকারের দায়িত্ব আগে নিজেদের ট্যাক্স পরিশোধের মাধ্যমে জনগণকে উৎসাহিত করা। এক্ষেত্রে পাওনাদার প্রতিষ্ঠানকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। এখন যেখানে সরকার নিজেই ট্যাক্স পরিশোধ করছে না সেখানে জনগণ কিভাবে করবে?’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ না করে বিধিমালা ও আইনের লঙ্ঘন করেছে। ট্যাক্স পরিশোধ না করার সংস্কৃতি নৈতিকতার স্খলন।’

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পাঁচটি আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছর পর্যন্ত সরকারি ৩৫টি প্রতিষ্ঠানের এক হাজার ১৮৬টি হোল্ডিংয়ের বিপরীতে ৬০ কোটি ৩১ লাখ ৮৬ হাজার ৯৭১ টাকা পাওনা রয়েছে সংস্থাটির। এই খেলাপির তালিকায় প্রথম অবস্থানে রয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রণালয়ের ৪৮টি হোল্ডিংয়ের বিপরীতে ১১ কোটি ৭২ লাখ ১৮ হাজার ৬২৯ টাকা হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া রয়েছে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রণালয়ের ৪৩৪টি হোল্ডিংয়ের বিপরীতে ৯ কোটি ৯৬ লাখ ৯৭ হাজার ১২৫ টাকা বকেয়া রয়েছে। এর পরের অবস্থানে রয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। এর ১১টি হোল্ডিং থেকে ট্যাক্স বাবদ ছয় কোটি ৮৩ লাখ ৭০ হাজার ৬৭২ টাকা পাবে ডিএসসিসি।

এছাড়া বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগের ৩২টি হোল্ডিং থেকে ৮২ লাখ ৭৪ হাজার ৩৯০ টাকা; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ৪৬টি হোল্ডিং থেকে ৪১ লাখ ৯০ হাজার ৫৬ টাকা; শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ২৮২টি হোল্ডিং থেকে ছয় কোটি ৫৩ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৩ টাকা;  প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ৪৯টি হোল্ডিং থেকে ৫১ লাখ ৫ হাজার ৭৫৮ টাকা; সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের তিনটি হোল্ডিং থেকে ৩৫ লাখ ৪৮ হাজার ৮৮০ টাকা; খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সাতটি হোল্ডিং থেকে ১২ লাখ ৭ হাজার ৪৪৪ টাকা; স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ৩০টি হোল্ডিং থেকে পাঁচ কোটি ২৫ হাজার ৪২ লাখ ৩৭৭টি; আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ১০টি হোল্ডিং থেকে ১৮ লাখ ৪২ হাজার ৯১৪ টাকা; মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তিনটি হোল্ডিং থেকে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ২৩০ টাকা; ভূমি মন্ত্রণালয়ের ৫৫টি হোল্ডিং থেকে এক কোটি ২৬ লাখ ৭০ হাজার ৭৮৩ টাকা; নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের চারটি হোল্ডিং থেকে ৪২ লাখ ৩৭ হাজার ৭৫৯ টাকা, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ১১টি হোল্ডিং থেকে ৯৯ লাখ ৩১ হাজার ৯১৫ টাকা; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ২৪টি হোল্ডিং থেকে ৫৭ লাখ ৭৬ হাজার ৯৭০ টাকা; স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ৬৯টি হোল্ডিং থেকে এক কোটি ৫ লাখ ২৬ হাজার ৮৫৫ টাকা; প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের চারটি হোল্ডিং থেকে চার লাখ ৬৬ হাজা ১৮৬ লাখ ৮০ হাজার টাকা ট্যাক্স বকেয়া রয়েছে।

সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পাঁচটি হোল্ডিং থেকে ৩০ লাখ ১৫ হাজার ৭৭৩ টাকা; ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দুটি হোল্ডিং থেকে পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ১৬৪ টাকা; বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দুটি হোল্ডিং থেকে দুই লাখ ৯১ হাজার ২০৭ টাকা; মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দুটি হোল্ডিং থেকে তিন লাখ ২২ হাজার ৭১৮ টাকা; তথ্য মন্ত্রণালয়ের চারটি হোল্ডিং থেকে ৭৪ লাখ ৭৮ হাজার ৫৬৬ টাকা; মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দুটি হোল্ডিং থেকে দুই কোটি ৫ লাখ ৯৫ হাজার ১৯ টাকা; শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দুটি হোল্ডিং থেকে আট লাখ ৮০ হাজার ৯৮৩ টাকা; পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের একটি হোল্ডিং থেকে ৪১ হাজার ৫৮৭ টাকা; রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তিনটি হোল্ডিং থেকে দুই কোটি ৭২ লাখ ৯৭ হাজার ৭৩১ টাকা; জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দুটি হোল্ডিং থেকে ২৯ লাখ ৯ হাজার ২৯৪ টাকা; বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের ২৪টি হোল্ডিং থেকে ৩ কোটি ৬০ লাখ ৯৮ হাজার ৫৮৫ টাকা; পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দুটি হোল্ডিং থেকে ১২ লাখ ৯২ হাজার ২৮০ টাকা; বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দুটি হোল্ডিং থেকে ৫১ লাখ ৯৮ হাজার ৪২ টাকা; পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের চারটি হোল্ডিং থেকে ৫০ লাখ ৬২ হাজার  ৮৯৯ টাকা; কৃষি মন্ত্রণালয়ের একটি হোল্ডিং থেকে এক কোটি ১ লাখ ৭৯ হাজার ২৩০ টাকা এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের একটি হোল্ডিং থেকে এক কোটি ৩ লাখ ১ হাজার ৪৫০ টাকা বকেয়া রয়েছে।

সব মিলিয়ে ৩৫টি মন্ত্রণালয়ের এক হাজার ১৮৬টি হোল্ডিং থেকে ৬০ কোটি ৩১ লাখ ৮৬ হাজার ৯৭১ টাকা ৪৪ পয়সা হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ বকেয়া রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠানগুলো হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধ করলেও তা নিয়মিত নয়। ফলে এ পরিমাণ অর্থ বকেয়া পড়েছে।

এছাড়া, এসব মন্ত্রণালয়ের যেসব ভবন উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মধ্যে পড়েছে সেগুলোরও হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া রয়েছে বলে জানা গেছে। গত অর্থবছরে এ নিয়ে একটি তালিকা করে সব মন্ত্রণালয়কে ডিও লেটারের মাধ্যমে হোল্ডিং কর পরিশোধের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে কয়েকটি মন্ত্রণালয় কর পরিশোধ করেছে, আবার কয়েকটি চলতি অর্থবছরে পরিশোধের আশ্বাস দিয়েছে। চলতি অর্থবছরে সংস্থার পাঁচটি অঞ্চলে তালিকা হালনাগাদ করার কাজ চলছে। এখন পর্যন্ত কোনও মন্ত্রণালয়কে হোল্ডিং ট্যাক্স চেয়ে ডিমান্ড লেটার পাঠানো হয়নি।

জানতে চাইলে ডিএনসিসির উপ-প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা বেলাল হোসেন মিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘গত অর্থবছরে আমরা ৩৫টি মন্ত্রণালয়ের তালিকা করে সবাইকে ডিও লেটার দিয়েছি। এরপর অনেকেই আমাদের কর পরিশোধ করেন। এখনও অনেক মন্ত্রণালয়ের হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া রয়েছে। এ বছর এখনও তালিকা চূড়ান্ত করা হয়নি। হালনাগাদের কাজ চলছে। কয়েকদিনের মধ্যে তালিকা করে সবাইকে আবার চিঠি দেওয়া হবে।’

তবে রাজস্ব বিভাগের আরেক কর্মকর্তা জানান, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে হোল্ডিং ট্যাক্স বাবদ ডিএনসিসির প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার মতো বকেয়া রয়েছে। এটি তারা করখেলাপি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেওয়ার পর করপোরেশন থেকে আর কোনও যোগাযোগ না করায় বকেয়া আদায় করা যাচ্ছে না।

সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলছেন, আয় বাড়াতে হোল্ডিং ট্যাক্স সমতায়ন, কর খেলাপিদের তালিকাসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ট্যাক্স পরিশোধ না করায় অনেক বাড়িমালিকের বিরুদ্ধে মামলাসহ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মালামাল ক্রোকের প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ক্ষেত্রে তৎপরতা শুধু চিঠির মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে।

শুধুমাত্র ২০১৫ ও ২০১৬ সালে গৃহকর খেলাপি সাধারণ নাগরিকদের বিরুদ্ধে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এক হাজার ৭৪১টি মামলা করে। এরমধ্যে ৬০ লাখ ৪ হাজার ৬০০ টাকা জরিমানা ও ১০ কোটি ৩০ লাখ ৭৬ হাজার ১৫২ টাকার ট্যাক্স আদায় হয়েছে।

সম্প্রতি ঢাকা মহানগরীতে ট্যাক্স সমতায়নের উদ্যোগ নেওয়া হলে নগরবাসীর পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠে, সেবার মান বৃদ্ধি না করে সিটি করপোরেশন হোল্ডিং ট্যাক্স সমতায়নের নামে কর বৃদ্ধি করছে। তবে এক্ষেত্রে নগরবাসী কিছুটা সাড়া দিলেও খোদ সরকারের এসব প্রতিষ্ঠান থেকে কোনও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারি প্রতিষ্ঠান হওয়ায় এগুলোর বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপও নিতে পারছে না সিটি করপোরেশন। তাছাড়া, এ তালিকায় অনেক প্রভাবশালী মন্ত্রণালয়ের নাম রয়েছে। মূলত সে জন্যই কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠানের হোল্ডিং কর বকেয়া রয়েছে আমরা তাদের তালিকা তৈরি করে চিঠি দিয়েছি। আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সেসব প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলো বিষয়টি নিয়ে তৎপর হচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে কী করা যায় আমরা ভেবে দেখছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আসলে সরকারি প্রতিষ্ঠানের হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া থাকা নতুন কিছু নয়। তারা বিভিন্ন সময় পরিশোধও করেছে। অনেকের শুধু এই অর্থবছরের করই বকেয়া আছে। তবে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান আছে যাদের বকেয়া ৫-৭ বছরেরও বেশি সময়ের। আমরা সবার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি।’

তবে তার এমন বক্তব্যের সঙ্গে একমত নয় ৯৯ লাখ ৩১ হাজার ৯১৫ টাকা বকেয়া থাকা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রণালয়ের অতিক্তি সচিব (প্রশাসন) খন্দকার আতিয়ার রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আজ পর্যন্ত আমরা এ বিষয়ে কোনও চিঠি পাইনি। কেউ যোগাযোগও করেনি। তারা কাল চিঠি পাঠাক, আমরা টাকা দিয়ে দেবো। এখন যদি সিটি করপোরেশন চিঠি বা বিল না দেয় তাহলে আমরা কিভাবে টাকা দেব?’

তিনি আরও বলেন, ‘আগে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের ক্ষেত্রে এমন হতো। কিন্তু সম্প্রতি তারা চিঠি দিয়ে পাওনা আদায় করে নিচ্ছে। সিটি করপোরেশন এমন করলে তো আর বকেয়া থাকতে পারে না। আমরা সরকারের টাকা সরকারকে দেবো। তাতে আপত্তি কিসের?’

অভিযোগ রয়েছে, হোল্ডিং ট্যাক্সসহ অন্যান্য খাতের ট্যাক্স বকেয়া থাকার বিষয়টি সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অনেক শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাই জানেন না। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোতে চিঠি পাঠানো হলেও যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হয় না।

জানতে চাইলে বেসরকারি বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া থাকার বিষয়টি আমার জানা নেই। আমি মন্ত্রণালয়ে গিয়ে অবশ্যই খোঁজ নেবো।’ তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর হোল্ডিং বকেয়া থাকার বিষয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘হোল্ডিং ট্যাক্স বকেয়া থাকলে অবশ্যই এগুলোর সবার আগে পরিশোধ করা উচিত।’

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) গোপাল কৃষ্ণ ভট্টাচার্য বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মন্ত্রিপরিষদ থেকে প্রতিটি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দেওয়া আছে যদি সরকারের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে অন্য একটি প্রতিষ্ঠানের কোনও বকেয়া থাকে তাহলে অর্থ বরাদ্দ সাপেক্ষে তা পরিশোধ করতে হবে। আসলে আমাদের কী পরিমাণ বকেয়া আছে তার আমার জানা নেই। খবর নিয়ে বলতে হবে। যদি বকেয়া থাকতে এবং বরাদ্দও থাকে তাহলে অবশ্যই আমরা তা পরিশোধ করে ফেলবো।’

 

/এএম/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ক্যানসারে আক্রান্ত অভিনেতা রুমি, ভর্তি হাসপাতালে
ক্যানসারে আক্রান্ত অভিনেতা রুমি, ভর্তি হাসপাতালে
বুয়েটে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের প্রোগ্রাম, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন শিক্ষার্থীদের
বুয়েটে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের প্রোগ্রাম, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন শিক্ষার্থীদের
শিশুশিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারপিট, মাদ্রাসাশিক্ষক আটক
শিশুশিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারপিট, মাদ্রাসাশিক্ষক আটক
এবার ‘হুব্বা’ নামে হলো গানচিত্র
এবার ‘হুব্বা’ নামে হলো গানচিত্র
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা