পুলিশের বাধায় পণ্ড হয়েছে জাতীয় ইমাম সমাজ বাংলাদেশের মার্কিন দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি। জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণার প্রতিবাদে এ কর্মসূচি দিয়েছিল সংগঠনটি। শুক্রবার জুমার নামাজের পর রাজধানীর পলাশী মোড়ে পুলিশের ব্যারিকেডে পণ্ড হয় তাদের দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর থেকেই ঢাকেশ্বরী রোডে ঢাকার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, খতিব ও মুসল্লিরা জড়ো হন। সেখানে ট্রাকে অস্থায়ী মঞ্চে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। দুপুর ২টা ৩০ মিনিটের দিকে মার্কিন দূতাবাস ঘেরাও মিছিল বের করা হয়। জাতীয় ইমাম সমাজ বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা আবুল হোসেনের নেতৃত্বে মিছিলটি আজিমপুর থেকে পলাশী মোড়ে এসে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। এসময় মার্কিন সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে স্লোগান দেন ইমামরা।
পরে বেলা ৩টার দিকে সংগঠনের সভাপতি মাওলানা আবুল হোসেনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল মার্কিন দূতাবাসে স্মারকলিপি প্রদানের জন্য যাত্রা করেন।
মিছিল পূর্ব সমাবেশে ইমাম সমাজের সভাপতি মাওলানা আবুল হোসেন বলেন, ‘পবিত্র ভূমি জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণার সিদ্ধান্ত থেকে আমিরেকান প্রেসিডেন্টকে সরে আসতে হবে। অন্যথায় মুসলিম বিশ্ব মার্কিনদের প্রতিহত করবে। সিদ্ধান্ত বাতিল না বাংলাদেশ থেকে মার্কিন দূতাবাস সরিয়ে দেবে এ দেশের জনগণ।’
বিক্ষোভ সমাবেশে ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব ও হেফাজতের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, ‘মুসলিম দেশগুলোর জোট ওআইসি এবং ২০০ কোটি মুসলমানের দাবি মেনে পূর্ব জেরুজালেমকে অবশ্যই ফিলিস্তিনের রাজধানীর স্বীকৃতি দিতে হবে।’
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষণাকে প্রত্যাখ্যান করে তিনি বলেন, “জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে, মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ গটিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন ‘বড় ধরণের অপরাধ’ করেছে। আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন করে মধ্যপ্রাচ্য শান্তি আলোচনায় ওয়াশিংটনের বিশ্বাসযোগ্য মধ্যস্থতাকারী থাকতে পারে না। জেরুজালেম ফিলিস্তিনের রাজধানী। এটি সবসময় ফিলিস্তিনেরই রাজধানী থাকবে। শুধু মধ্যপ্রাচ্য নয়, বিশ্বশান্তির জন্য এটি এখন সময়েরই দাবি।”