আমরণ অনশন করে বেতন-ভাতা বাড়ানো যাবে না। যদি কোনও সমস্যা থাকে তাহলে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তা সমাধান করতে হবে। রবিবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান।
শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেতন বৈষম্য নিরসনের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা আমরণ অনশন করছেন।
এখন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সহকারী শিক্ষকরা ১৪তম গ্রেডে (মূল বেতন ১০ হাজার ২০০ টাকা) বেতন পাচ্ছেন। আর প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন ১০ম গ্রেডে (মূল বেতন ১৬ হাজার টাকা)। সহকারী শিক্ষকরা এই বৈষম্য নিরসন করে প্রধান শিক্ষকদের এক ধাপ নিচে ১১তম গ্রেডে (১২ হাজার ৫০০ টাকা) বেতন চান।
বাংলাদেশ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক মহাজোটের উদ্যোগে এই অনশন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। এতে মহাজোটের অধীনে থাকা ১০টি সংগঠনের শিক্ষকরা অংশ নিচ্ছেন। বেতন বৈষম্য নিরসনের জন্য ২০১৪ সাল থেকে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষকরা।