টাঙ্গাইল-৫ আসনের সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেনের স্থানীয় দারুল আলম মাদ্রাসার (আরবি বিশ্ববিদ্যালয়) সভাপতি হওয়াকে অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ‘লিভ টু আপিল’ খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে মাদ্রাসার সভাপতি পদে সংসদ সদস্য ছানোয়ার আর থাকতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা। রবিবার দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন ও মাদ্রাসার পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রেহান হোসেন। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. আশরাফুল ইসলাম। অন্যদিকে, রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী ও আইনজীবী শ. ম. রেজাউল করিম।
পরে ব্যারিস্টার আশরাফুল ইসলাম আদালতের আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, “আদালতে আমরা হেরে যাই। এর পরেও আপিল বিভাগের আদেশের পর আদালতের বাইরে বেরিয়ে রিটকারী কুদরত ইলাহী আমাকে এক সপ্তাহের মধ্যে আমি কতবড় আইনজীবী হয়েছি তা দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। পরে এ বিষয়টি আমি আমার সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রেহান হোসেনের মাধ্যমে দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতিকে অবহিত করলে দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বিষয়টি আমরা দেখছি’।”
তবে এ বিষয়ে কুদরত ইলাহী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি মামলায় জয়লাভ করেছি। তারা হেরে গিয়েছে, তাই মাথা ঠিক নেই। এখন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে। আমি কাউকে কোনও হুমকি দেইনি।’
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ৮ আগস্ট টাঙ্গাইল-৫ আসনের সংসদ সদস্য মো. ছানোয়ার হোসেনকে দারুল আলম মাদ্রাসার সভাপতি মনোনীত করাকে চ্যালেঞ্জ করে আমির কুদরত ইলাহী খান নামে ওই মাদ্রাসা কমিটির এক সদস্য হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। এরপর গত ২৫ অক্টোবর হাইকোর্ট টাঙ্গাইল দারুল আলম মাদ্রাসায় উক্ত সংসদ সদস্যকে সভাপতি মনোনীত করাকে অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন।