বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, ‘তরুণরাই বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছে, এই তরুণরাই বাঁচাতে পারে নদী। আমরাই যদি নতুন নেতৃত্ব তৈরি করতে পারি, তাহলে তা আমাদের ও নতুন প্রজন্মের জন্য ভালো। আসুন, নদী বাঁচানোর জন্য সে রকম একটা মহৎ যাত্রায় যোগ দিই।’
রবিবার (২১ জানুয়ারি) ঢাকায় ‘রিভার ক্যাম্প-২০১৮’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
নদী বিষয়ক সংগঠন রিভারাইন পিপলের মহাসচিব শেখ রোকনের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিআইডব্লিউটিএর সাবেক সচিব সৈয়দ মনোয়ার হোসাইন, জল পরিবেশ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ম. ইনামুল হক, জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমির (নায়েম) মহাপরিচালক প্রফেসর মো. হামিদুল হক, সিএনআরএস-এর সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মোখলেসুর রহমান সুমন, অক্সফাম ইন বাংলাদেশের পলিসি-অ্যাডভোকেসি কমিউনিকেশন্স ম্যানেজার জাকিয়া হক। সভা পরিচালনা করেন রিভারাইন পিপলের পরিচালক নূসরাত খান।
আতিউর রহমান বলেন, সব সভ্যতা গড়ে ওঠে নদীর পাড়েই। নদী মরলে সভ্যতা মরে যায়। তাই আমাদের নিজেদের ভালোভাবে বাঁচবার জন্য নদী বাঁচানো প্রয়োজন। আমাদের সীমাহীন লোভের কারণে আমরাই নদীকে মারছি।
শেখ রোকন বলেন, ‘রিভার ক্যাম্পের অংশগ্রহণকারীরা শুধু দেশে নয়, দেশের গণ্ডি পেরিয়ে দক্ষিণ এশীয় নদী বাঁচাতে অনেক বড় ভূমিকা রাখবেন।’ সৈয়দ মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘রিভার ক্যাম্প একটি চমৎকার উদ্যোগ। এরকম উদ্যোগ না নিলে বাংলাদেশের অস্তিত্ব টিকবে না।’
নায়েম-এর কনফারেন্স হলে গত ১৮-২১ জানুয়ারি চার দিনব্যাপী ‘রিভার ক্যাম্প’ অনুষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা অক্সফাম ও সুইডিশ সরকারের সহায়তায় ট্রান্স-বাউন্ডারি রিভার্স ফর আওয়ার সাসটেইনেবল অ্যাডভান্সমেন্ট (ট্রোসা) প্রকল্পের আওতায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ক্যাম্পটির আয়োজন করে রিভারাইন পিপল ও সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএনআরএস)।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সারাদেশ থেকে নির্বাচিত ৩৫ জন তরুণ-তরুণী এই ক্যাম্পে অংশ নিয়েছেন। এই আয়োজনের অংশ হিসেবে রিভার ক্যাম্পের অংশগ্রহণকারীরা গত শনিবার চাঁদপুরে মাঠপর্যায়ের গবেষণা হাতে-কলমে শিখতে গিয়েছিলেন। এর আগে বৃহস্পতিবার নায়েমে অনুষ্ঠিত এই রিভার ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন ড. আইনুন নিশাত।