জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সাবেক স্পিকার প্রয়াত হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গী হিসেবে আগরতলা মামলার আসামি প্রয়াত সার্জেন্ট জহরুল হকসহ বিশিষ্ট ১৬ জনকে স্বাধীনতা পুরস্কার দিচ্ছে সরকার। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করা হয়। মনোনীতদের মধ্যে দশজনকে দেওয়া হচ্ছে মরণোত্তর পুরস্কার।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৫ মার্চ রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ পুরস্কার দেবেন।
সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। স্বাধীনতা পদকের ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে ১৮ ক্যারেট মানের পঞ্চাশ গ্রাম স্বর্ণের পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা, তিন লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।
স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য এবার মরণোত্তর সম্মাননায় মনোনীত সাবেক স্পিকার হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী মুক্তিযুদ্ধের সময় দিল্লিতে বাংলাদেশ মিশনের প্রধান ছিলেন।
এছাড়া মরণোত্তর এ সম্মাননা পাচ্ছেন শহীদ বুদ্ধিজীবী এম এম এ রাশীদুল হাসান, বঙ্গবন্ধুর সহচর সাবেক সংসদ সদস্য শংকর গোবিন্দ চৌধুরী, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাবেক সাংসদ এম আব্দুর রহিম, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম আসামি ভূপতি ভূষণ চৌধুরী (মানিক চৌধুরী)।
মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কারে মনোনীতদের মধ্যে আরও রয়েছেন শহীদ লেফটেন্যান্ট মো. আনোয়ারুল আজিম, শহীদ আমানুল্লাহ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, শহীদ মতিউর রহমান মল্লিক, শহীদ সার্জেন্ট জহরুল হক এবং কাজী জাকির হাসান।
সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল সুলতান মাহমুদ বীর উত্তম ও সাবেক কূটনীতিক আমজাদুল হকও স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য এ পুরস্কারে মনোনীত হয়েছেন।
এছাড়া চিকিৎসাবিদ্যায় অধ্যাপক ডা. এ কে এমডি আহসান আলী, সমাজসেবায় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান, সাহিত্যে সেলিনা হোসেন এবং খাদ্য নিরাপত্তায় ড. মো. আব্দুল মজিদ এবার স্বাধীনতা পুরস্কারে মনোনীত হয়েছেন।