X
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪
৭ বৈশাখ ১৪৩১

‘মানুষ হত্যা করে বেহেশত পাওয়ার ভাবনা বোকামি’

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ১৯:৫৬আপডেট : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, ২০:০৩

সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের সেমিনারে বক্তব্য রাখছেন অরুণা বিশ্বাস একজন মানুষ অন্য এক মানুষকে হত্যা করে বেহেশত বা স্বর্গে যাবে— এমন ভাবনা বোকামি ছাড়া কিছুই নয়। এমন ভাবনা কোনও ধর্মই সমর্থন করে না। এভাবে যারা মানুষ হত্যা করে, তারা দেশের উন্নয়নেরও বিরোধী।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের জঙ্গিবাদবিরোধী বছরব্যাপী কার্যক্রমের পঞ্চম সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। রাজধানীর খিলক্ষেতের রেসিডেনশিয়াল ল্যাবরেটরি কলেজ অডিটোরিয়ামে ‘জাগো তারুণ্য রুখো জঙ্গিবাদ’ শিরোনামে এই সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
সেমিনারের শুরুতেই শুভেচ্ছা বক্তব্যে রেসিডেনশিয়াল ল্যাবরেটরি কলেজের উপাধ্যক্ষ বিপ্লব নারায়ণ চৌধুরী বলেন, ‘আমরা ইতিহাস থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ছি। নিজের শিকড় ভুলতে বসেছি। এ কারণেই আমাদের মধ্যে জাতিসত্তার পরিচয়ের সংকট দেখা দিচ্ছে। অথচ বাঙালি জাতি হিসেবে রয়েছে আমাদের দীর্ঘদিনের ইতিহাস। ইতিহাস আর ঐতিহ্য থেকে বিচ্ছিন্ন হলেই বিপদ। সেই বিপদের দুর্ভোগই আমরা বহন করছি। কোনোদিনই আমরা জঙ্গিবাদের দিকে যাবো না, যদি মৃত্তিকা সংলগ্ন হই।’
অনুষ্ঠানের অভিনয়শিল্পী অরুণা বিশ্বাস বলেন, ‘আমি সব ধর্মের মানুষকে সম্মান করি। আমার বক্তব্যের মূল জায়গাটি হচ্ছে মানুষ। মানুষকে যে সম্মান করতে পারে না, ভালোবাসতে পারেনা, সে আসলে অমানুষ। এমন কেউ অন্য একজনকে হত্যা করে বেহেশত বা স্বর্গ হাসিল করবে— এমন ভাবনার চেয়ে বোকামির আর কী হতে পারে? মানুষের জন্যই সবকিছু। মানুষের পাশে দাঁড়ানো, সহযোগিতার হাত বাড়ানো— এটাই তো মানুষের সবচেয়ে বড় ধর্ম। মানবতাবাদের চেয়ে বড় আর কী থাকতে পারে?’
তরুণদের উদ্দেশে অরুণা বিশ্বাস আরও বলেন, ‘আসুন, আমরা সবাই মিলে দেশের জন্য আরও বেশি কাজ করি। যার যার জায়গায় শতভাগ সততা, নিষ্ঠা নিয়ে দাঁড়াই। দেশ আরও এগিয়ে যাবে। কারও কথায় বিশ্বাসের দরকার নেই। দেশের যে উন্নয়ন হয়েছে এবং হচ্ছে, তা গুগলে সার্চ দিলে নিজেরাই দেখতে পারবেন। এখন আর তথ্য গোপন রাখার দিন নেই। উন্নয়নের প্রতিবন্ধক জঙ্গিবাদকে আমরা সবাই মিলেই প্রতিহত করবো।’
অনুষ্ঠানে সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের পরিচালক কানতারা খান বলেন, ‘একাত্তরের সময় আর কোনও দল ছিল না, দ্বিধাবিভক্তি ছিল না। দল ছিল একটাই— বাঁচবার ও বাঁচাবার দল। আর অল্প কিছু মানুষ ছিল বিপথগামী। তারা স্বাধীনতা চায়নি। তারা বাংলাদেশ চায়নি। তারাই আজকের বাংলাদেশে বিভ্রান্তি আর বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে।’
কানতারা খান আরও বলেন, ‘হোলি আর্টিজানে যে নিরীহ, নিরাপরাধ মানুষদের হত্যা করা হয়েছে, তাদের অনেকেই মেট্রো রেল প্রকল্পে কাজ করতে এই দেশে এসেছিলেন। কী ছিল তাদের অপরাধ? তারা তো ভিনদেশি। তারা আমাদের উন্নয়নের সহযোগী। যারা তাদের হত্যা করেছে, তারা যে বাংলাদেশের উন্নয়ন চায় না, দেশকে পিছিয়ে দিতে চায়, অন্ধকারে ঠেলে দিতে চায়— তা স্পষ্ট হয়ে গেছে।’
পরে জঙ্গিবাদ নিয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া নিয়ে মতামত পর্ব পরিচালনা করেন সুচিন্তার পক্ষে আশরাফুল আলম। এতে শিক্ষার্থীরা প্রত্যেকেই জঙ্গিবাদকে প্রতিহত করার বিভিন্ন উপায় জানতে চান ও এ বিষয়ে নিজেদের অভিমত জানান। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক ছিলেন ‘আজ সারাবেলা’র সম্পাদক জব্বার হোসেন।

/এসএস/টিআর/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
হাতিরঝিলে ভাসমান অবস্থায় যুবকের মরদেহ
হাতিরঝিলে ভাসমান অবস্থায় যুবকের মরদেহ
ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় রুশ সাংবাদিক নিহত
ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় রুশ সাংবাদিক নিহত
নীলফামারীতে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারিসহ ৩ জন গ্রেফতার
নীলফামারীতে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারিসহ ৩ জন গ্রেফতার
পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতি জাতিসংঘে তুলে ধরলো বাংলাদেশ
পার্বত্য শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের অগ্রগতি জাতিসংঘে তুলে ধরলো বাংলাদেশ
সর্বাধিক পঠিত
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
বাড়ছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি, নতুন যোগ হচ্ছে স্বাধীনতা দিবসের ভাতা
ইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
ইস্পাহানে হামলাইরান ও ইসরায়েলের বক্তব্য অযৌক্তিক: এরদোয়ান
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীকে অপহরণের ঘটনায় ক্ষমা চাইলেন প্রতিমন্ত্রী
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
সংঘাত বাড়াতে চায় না ইরান, ইসরায়েলকে জানিয়েছে রাশিয়া
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি
দেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি