অনুমতি না নিয়েই দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি নেতাকর্মীরা কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচি পালন করার কারণেই তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সিবলী নোমান। বিএনপি নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান ব্যবহার করা হলেও লাঠিচার্জ বা টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেনি বলেও জানান তিনি। তবে এ ঘটনায় কতজন আটক বিএনপি নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে, তা পরে জানা যাবে বলে তিনি জানান।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছে জানা গেছে, শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে থাকেন নেতাকর্মীরা। তারা কার্যালয়ের সামনে সড়কে বসে কালো পতাকা প্রদর্শন করতে থাকেন। এ সময় তারা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে স্লোগানও দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ জলকামান দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয় নেতাকর্মীদের। এ সময় বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এডিসি সিবলী নোমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ডিএমপি এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ রয়েছে। কিন্তু নয়াপল্টনে বিএনপি কোনও অনুমতি না নিয়েই রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করে। তারা গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেয়। তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দিতে চাইলে তারা পুলিশের গায়ে জুতা ছুড়ে মেরেছে। আমরা তখন তাদের পানি ছিটিয়ে ছত্রভঙ্গ করেছি।’ কোনও লাঠিচার্জ বা টিয়ারশেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেনি, কেবল পানি ছিটিয়ে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় বিএনপির কতজন নেতাকর্মীকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়েছে জানতে চাইলে এডিসি সিবলী নোমান বলেন, ‘এখনই নির্দিষ্ট কোনও সংখ্যা বলা যাবে না। এখানে পুলিশ ও গোয়েন্দা শাখাসহ (ডিবি) অনেক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কাজ করছে। কতজনকে আটক বা গ্রেফতার করা হয়েছে, তা পরে জানা যাবে।’
এডিসি আরও বলেন, ‘অনেকের নামে মামলা আছে, পলাতক আসামিও রয়েছে। তারা পুলিশের দায়িত্ব পালনে বাধা দিয়েছে। তাই পুলিশ তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিয়েছে।’
এদিকে, পল্টন থানার ডিউটি অফিসার রেজভী আক্তার বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ৩০ জন নারীসহ বিএনপির ৫৭ নেতাকর্মীকে আটক করা হয়েছে। যদিও বিএনপি দাবি করছে, তাদের শতাধিক নেতাকর্মী আটক হয়েছে।
ছবি: নাসিরুল ইসলাম
আরও পড়ুন-
জলকামানে ছত্রভঙ্গ বিএনপির কালো পতাকা কর্মসূচি, আটক ৫৭