ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) দুর্যোগ বিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এহসান রফিকের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত সাতজনকে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। এদের সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের ছাত্র এবং হল শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতা। তাদের হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারও করা হচ্ছে।
এরা হচ্ছে মার্কেটিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মো. ওমর ফারুক (সলিমুল্লাহ মুসলিম হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক), লোকপ্রশাসন বিভাগ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ফারদিন আহমেদ (হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক), গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মো. রুহুল আমিন (হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক), সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সামিউল ইসলাম সামি (হল শাখা ছাত্রলীগ কমিটির সদস্য), দর্শন দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আহসান উল্লাহ (হল শাখা ছাত্রলীগের কমিটির সদস্য), উর্দু দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র মো. মেহেদি হাসান হিমেল (হল শাখা ছাত্রলীগের উপ-প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক) এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র মো. আরিফুল ইসলাম।
এদের মধ্যে মো. ওমর ফারুককে ঢাবি থেকে স্থায়ীভাবে, মো. আরিফুল ইসলামকে এক বছর ও বাকিদের দুই বছরের জন্য বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুসারে তাদের আজ দুপুরে শৃঙ্খলা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি তাদের সবাইকে হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। আগামীকাল সিন্ডিকেট এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।’
প্রসঙ্গত, গত ৬ ফেব্রুয়ারি নিজের ধার দেওয়া ক্যালকুলেটর ফেরত চাওয়ায় সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এহসান রফিকের ওপর হামলা চালায়। এতে মারাত্মকভাবে আহত হন তিনি। চিকিৎসক বলেছেন, এহসানের চোখের কর্নিয়া মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ঘটনায় হল প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। এরই মধ্যে এ ঘটনার অভিযুক্তদের ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ৷