X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেড কেন নয়: হাইকোর্ট

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৫ মার্চ ২০১৮, ২২:০৬আপডেট : ০৫ মার্চ ২০১৮, ২২:২৮

সুপ্রিম কোর্ট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেড কেন নয় তা জানতে চেয়ে সরকারের প্রতি রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও বিচারপতি জাফর আহমেদের বেঞ্চ সোমবার (৫ মার্চ) শুনানি শেষে এ রুল জারি করেন।

সোমবার (৫ মার্চ) রাতে সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট চিত্রা মহালদার বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানান।

বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সমিতির মুখপাত্র এসএম ছায়িদ উল্লা বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষকদের ২০১৪ সালের ৯ মার্চ থেকে ১০ম গ্রেডসহ গেজেটেড পদমর্যাদা প্রদানের আবেদন জানিয়ে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়। পিটিশন দায়ের করেন বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজ। আবেদনে স্বাক্ষর করেন রিয়াজ পারভেজ, রিট পরিচালনা কমিটির প্রধান সমন্বয়ক মো. নুরে আলম সিদ্দিকী, উদ্যোক্তা মো. আলাউদ্দিন মোল্লা, মো. নজরুল ইসলাম ও খায়রুল ইসলামসহ ৪৫ জন।

এ বিষয়ে সমিতির সভাপতি রিয়াজ পারভেজ বলেন, ‘১০ম গ্রেড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের ন্যায্য অধিকার। এই অধিকার আদায়ে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি জন্মলগ্ন থেকে কাজ করে যাচ্ছে। সবশেষ আমরা আদালতের শরণাপন্ন হয়েছি। আজকের এই রুল জারিকে একটি মাইলফলক হিসেবেই দেখছি।’

২০১৪ সালের ৯ মার্চ প্রধান শিক্ষকদের দ্বিতীয় শ্রেণির পদমর্যাদা ঘোষণার পর থেকেই ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলন করে আসছে বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক সমিতি।

সমিতির সদস্যরা জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদটি ২০১৪ সালে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীত করেছিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু তখন মন্ত্রণালয় কৌশলে প্রধান শিক্ষকদের বেতন নির্ধারণ করে ১১তম (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) ও ১২তম গ্রেডে (প্রশিক্ষণবিহীন)। অথচ নন-ক্যাডার দ্বিতীয় শ্রেণির পদে অন্যান্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগের কর্মকর্তারা জাতীয় বেতন স্কেলের ১০ম গ্রেডে বেতন পান।

রিটে আরও দাবি করা হয়, বিদ্যমান প্রত্যেক প্রধান শিক্ষকদের নাম উল্লেখ করে গেজেট নোটিফিকেশন জারি করতে হবে। এছাড়াও রিটে হিসাবরক্ষণ অফিস থেকে বেতন-বিল আহরণের জন্য সেলফ ড্রয়িং ক্ষমতা হিসেবে প্রতিষ্ঠান প্রধান আয়-ব্যয় কর্মকর্তার ক্ষমতা পাওয়ার দাবি করা হয়।

 

 

 

/এসএমএ/এএম/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
উপজেলা নির্বাচনে নেই বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল
উপজেলা নির্বাচনে নেই বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল
মিরপুরে ‘হারল্যান স্টোর’-এর উদ্বোধন করেন নুসরাত ফারিয়া, পণ্য কিনে হতে পারেন লাখপতি
মিরপুরে ‘হারল্যান স্টোর’-এর উদ্বোধন করেন নুসরাত ফারিয়া, পণ্য কিনে হতে পারেন লাখপতি
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে: রায়হান রাফী
রাঙামাটিতে হলো সংসদীয় কমিটির বৈঠক
রাঙামাটিতে হলো সংসদীয় কমিটির বৈঠক
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা