জাতীয়করণসহ ১১ দফা দাবিতে সারাদেশে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লাগাতার ধর্মঘটের পাশাপাশি বুধবার (১৪ মার্চ) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ করবেন শিক্ষকরা। ‘শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটি’র ব্যানারে এ সমাবেশ শুরু হবে সকাল ৯টা থেকে।
সংগ্রাম কমিটির সমন্বয়কারী অধ্যক্ষ আসাদুল হক এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘মহাসমাবেশের সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বুধবার সকাল ৯টা থেকে মহাসমাবেশ শুরু হবে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত জানুয়ারি জাতীয়করণের আন্দোলন পরিচালনার জন্য দেশের ৯টি শিক্ষক-কর্মচারী সংগঠনের নেতাদের সমন্বয়ে ২৭ সদস্যের যৌথ ‘শিক্ষক-কর্মচারী সংগ্রাম কমিটি’ গঠন করা হয়। ইতোমধ্যে এই কমিটি কিছু কর্মসূচিও পালন করেছে। মঙ্গলবার (১৩ মার্চ) থেকে চলছে লাগাতার ধর্মঘট।
সরকার সমর্থিত শিক্ষকদের এই মোর্চা বুধবারের মহাসমাবেশকে সফল করতে গত ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ৮ মার্চ পর্যন্ত সব জেলা-উপজেলায় সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় জেলা প্রতিনিধিদের মতবিনিময় এবং সব উপজেলায় শিক্ষক কর্মচারী সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ১১ দফা
> শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণ।
> সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের মতো পাঁচ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধি, পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, বাংলা নববর্ষ ভাতা, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা প্রদান।
> অনুপাত প্রথা বিলুপ্ত করে সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতি চালু।
> প্রধান ও সহকারী প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুরূপ করা।
> অবসর সুবিধা বোর্ড ও কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে আর্থিক সুবিধা প্রদানের পরিবর্তে অবিলম্ব পূর্ণাঙ্গ পেনশন চালু।
> নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং অনার্স ও মাস্টার্স কোর্সে পাঠদানকারী শিক্ষকসহ বিধি মোতাবেক নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের এমপিওভুক্ত করা।
> শিক্ষাখাতে জিডিপির ছয় শতাংশ এবং জাতীয় বাজেটের ২০ শতাংশ বরাদ্দ রাখা।
> বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জনবল কাঠামো যুগোপযোগীকরণ ও সরকারি প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের চাকরি বিধিমালা বাস্তবায়ন।
> শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সব দফতরে বেসরকারি শিক্ষকদের ৩৫ শতাংশ প্রেষণে নিয়োগ দেওয়া।
> কারিগরি শিক্ষা উন্নয়নের লক্ষ্যে একটি কারিগরি ও ভোকেশনাল বিশ্ব বিদ্যালয় স্থাপন করা।
> জাতীয় শিক্ষানীতি-২০১০ বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করা।