ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু জীবনের একটি মুহূর্তও অযথা ব্যয় করেননি। তার জীবনাদর্শকে ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে আমাদের। নতুন প্রজন্মের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মূল্যবোধের সেতুবন্ধন তৈরি করে দিতে হবে।’ শনিবার (১৭ মার্চ) বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন।
অধ্যাপক আখতারুজ্জামান উল্লেখ করেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু সত্যের পথে ছিলেন, সত্য থেকে বিচ্যুত হননি। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ জন্মের পর থেকে সংক্ষিপ্ত জীবনে অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে তিনি দেশের জন্য যে অসামান্য অবদান রেখেছেন, তা অনন্য দৃষ্টান্ত। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে তা অব্যাহত রাখা আমাদের দায়িত্ব। এই বোধ থাকা জরুরি।’
বঙ্গবন্ধু সাধারণ মানুষের প্রতি যে মমতা ও অঙ্গীকার রেখেছেন, অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে কাজের মধ্য দিয়ে তা বাস্তবায়নের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান ঢাবি। তার ভাষ্য, ‘একটি কুচক্রী মহল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল। কিন্তু তার আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি কেউ।’
ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাসরীন আহমাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, রেজিস্ট্রার মো. এনামুজ্জামান প্রমুখ।
বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর ৯৯তম জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন করছে ঢাবি কর্তৃপক্ষ। গতকাল দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে কেক কাটা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল— সকালে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা, শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা প্রভৃতি।