মিরপুরের মধ্য পীরেরবাগ এলাকায় একটি বাসায় অস্ত্র উদ্ধারে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলার মুখে পড়েছে ডিবি পুলিশের একটি দল। এতে জাহাঙ্গীর ওরফে জালাল উদ্দিন নামে এক পুলিশ পরিদর্শক মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। আশঙ্কাজনক অব্স্থায় তাকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে রাত ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার মাসুদ আহমেদ জানান, সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ওই অভিযান চলাকালে গোলাগুলির এ ঘটনা ঘটে। হামলার মুখে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। পরে সেখান থেকে কমিশনার স্কয়ার হাসপাতালে যান। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আহত পুলিশ পরিদর্শক রাত ২টার দিকে মারা গেছেন।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, মাসখানেক আগে মিরপুর পীরেরবাগ এলাকা থেকে দুই সার্জেন্টের সরকারি অস্ত্র খোয়া যায়। সেই অস্ত্র উদ্ধার করতেই এ অভিযান চালানো হচ্ছিল। গোলাগুলির খবর পেয়ে সোয়াট সদস্যরাও সেখানে যান।
পীরেরবাগে সাংবাদিকদের আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘অভিযান চলছে। ওই বাসাসহ আশপাশের বাসাগুলোয় তল্লাশি চালানো হচ্ছে। অভিযান শেষ হলে আমরা বলতে পারব সন্ত্রাসীরা কারা ছিল।’ তিনি জানান, তারা ধারণা করছেন সন্ত্রাসীরা গোলাগুলির মধ্যেই বাসার পেছনের কোনও একটা জায়গা দিয়ে পালিয়ে যায়।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপের উপ-কমিশনার প্রলয় কুমার জোয়ার্দার জানান, তিনতলা ভবনটির তৃতীয় তলায় সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছিল। ডিবি পুলিশের দলটি তৃতীয় তলায় উঠার মুখে সন্ত্রাসীরা টের পেয়ে তাদের ওপর গুলি ছুড়ে। এ সময় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে।
ডিবির একটি সূত্র জানায়, ওই বাসায় সন্ত্রাসীরা অস্ত্র-বিস্ফোরক নিয়ে অবস্থান করছে—এরকম তথ্যে ডিবি পশ্চিমের সিনিয়র সহকারী কমিশনার শাহাদাত হোসেন সোমার নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। ডিবি পুলিশ সদস্যরা তৃতীয় তলায় ওঠার সময় সন্ত্রাসীরা তাদের ওপর গুলি চালায়। এতে জাহাঙ্গীর ওরফে জালাল উদ্দিন নামে এক পুলিশ পরিদর্শকের মাথায় গুলি লাগে। তখন পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা গুলি ছুড়তে ছুড়তে বাসার পেছনে দিয়ে পালিয়ে যায়। ওই বাসা থেকে নারীসহ সন্ত্রাসীদের কয়েক স্বজনকে আটক করা হয়েছে।