ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) তিন শিক্ষার্থীকে র্যাবের তুলে নেওয়ার অভিযোগে বৃহ্স্পতিবার (২২ মার্চ) রাতে ক্যাম্পাসে ব্যাপক বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তবে র্যাব কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এমন ঘটনা ঘটেনি। পরে রাত ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক গোলাম রব্বানী জানান, ওই শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
ওই তিন শিক্ষার্থী হলেন, কাজী তানভীর, ফয়সাল মাহমুদ ও ইমরান হোসেন। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তাদের দুজন বিজয় একাত্তর হলের আবাসিক শিক্ষার্থী এবং একজন সূর্যসেন হলের। রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবন সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
উপাচার্য ভবনের সামনে কয়েকজন র্যাব সদস্যকে শিক্ষার্থীদের মেরে অস্ত্রের মুখে একটি হাইয়েস গাড়িতে তুলে নিয়ে যেতে দেখেছেন বলে জানান কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী। তাদের ধারণা, র্যাবের গাড়িটির সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীদের মোটরসাইকেলের সংঘর্ষের জের ধরে ঘটনাটি ঘটেছে।
শিক্ষার্থীদের তুলে নেওয়ার খবর ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও গাড়ি ভাঙচুর করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফকির রাসেল ও সাধারণ সম্পাদক নয়ন হাওলাদার এসে শিক্ষার্থীদের হলে নিয়ে যান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধান অনুসারে কোনও শিক্ষার্থীকে প্রক্টরের অনুমতি ছাড়া কোনও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আটক করতে পারে না।
তিন শিক্ষার্থীকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে র্যাব। ওই এলাকায় দায়িত্বে থাকা র্যাব-৩ এর সিও লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমরানুল হাসান বলেছেন, এমন কিছু তার টিমের কেউ করেনি। তারা সবাই স্টেডিয়াম এলাকায় ছিলেন।
র্যাব-১০ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি শাহাবুদ্দিন খান বলেন, ‘কাঁটাবন এলাকায় র্যাবের একটি টিম কাজ করছিল। এসময় রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ে কয়েকজনের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়। পরে বিষয়টি মিটমাট হয়ে গেছে। ছাত্রদের কাউকে আটক বা তুলে আনা হয়নি। কেউ হয়তো ভুল খবর ছড়িয়েছিল।’
তবে রাতে শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান বলেন, ‘তুলে নেওয়া শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রব্বানীও বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ঘণ্টাদুয়েক আগে ওই শিক্ষার্থীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’