X
শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪
১৫ চৈত্র ১৪৩০

সুন্দরবন বিনাশী কার্যক্রম থেকে সরে আসতে সরকারের প্রতি আহ্বান

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
৩১ মার্চ ২০১৮, ১৯:৪১আপডেট : ৩১ মার্চ ২০১৮, ১৯:৪৩

নাগরিক সমাবেশ পরিবেশ, মানবিকতা ও ভবিষ্যত প্রজন্মের স্বার্থে সুন্দরবন বিনাশী সব কার্যক্রম ও পদক্ষেপ বাতিল করে একে রক্ষায় এগিয়ে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনসহ (বাপা) ৫৭টি সদস্য সংগঠন।

আজ শনিবার জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘সুন্দরবন সংরক্ষণে জনগনের দাবি ও ইউনেস্কোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে সরকারের অবহেলার প্রতিবাদে’ এক নাগরিক সমাবেশে এ আহ্বান জানানো হয়।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এম এম আকাশ, সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও বাপার সাধারণ সম্পাদক ডা. মো. আব্দুল মতিন, বাপার যুগ্ম সম্পাদক শরীফ জামিল ও আলমগীর কবির, গ্রিন ভয়েসের সহ-সমন্বয়ক হুমায়ন কবির সুমন, ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের পরিচালক গাউস পিয়ারী, ঢাকা ইয়ুথ ক্লাব ইন্টারন্যাশনালের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ মহাজন, সেভ দ্যা সুন্দরবন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ড. মোজাহেদুল ইসলাম মুজাহিদ, পুরান ঢাকার সংগঠক রাফি চৌধুরী।

রাশেদা কে চৌধুরী বলেন, রামপালে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়ন হলে সুন্দরবনের ক্ষতি হবে এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। সুন্দরবন বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ। এটা কেবল বাংলাদেশের নয়, বিশ্ববাসীর সম্পদ। এই বনকে নিয়ে আমরা গর্ব করি। তাই এর ক্ষতি করার কোনও অধিকারই আমাদের নেই। এই বনকে ঘিরে যেসব সর্বনাশী প্রকল্প ও কার্যক্রম চলছে, তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। দেশের জনগণ এবং ইউনেস্কোও তাদের উদ্বেগের বিষয়টি জানিয়েছে। সুন্দরবন রক্ষায় সরকারকে বেশ কিছু শর্ত দিয়েছে। অথচ জনগণের দাবি ও ইউনেস্কোর সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সরকারের অবহেলা খুবই দুঃখজনক। তিনি আরও বলেন, পরিবেশ ও বনবিনাশী কার্যক্রম বন্ধ না হলে অতি দ্রুতই সুন্দরবন বড় বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে চলে যাবে।’ পরিবেশ, মানবিকতা ও ভবিষ্যত প্রজন্মের স্বার্থে সুন্দরবন বিনাশী সব কার্যক্রম ও পদক্ষেপ বাতিল করে একে রক্ষায় এগিয়ে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান তিনি।

অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, দেশ-বিদেশের আধুনিক জ্ঞান, অভিজ্ঞতাসম্পন্ন বিজ্ঞানী ও ইউনেস্কো পরিষ্কার গবেষণা তথ্যসহ বলেছে, রামপাল প্রকল্প সুন্দরবন বিধ্বংসী হবে। তিনি আরও বলেন, ইউনেস্কো, আর্ন্তজাতিক সংস্থা ও দেশের জনগণের বিরোধিতা সত্ত্বেও রামপাল প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এটা বর্তমান সরকারের জন্য একটি নিন্দনীয় উদাহরণ হয়ে থাকবে।

আব্দুল মতিন বলেন, সারাবিশ্ব কয়লাভিত্তিক প্রকল্প থেকে সরে এসেছে, এমনকি ভারত ও চীন কয়লাভিত্তিক প্রকল্প থেকে সরে আসার জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। অথচ সরকারি ভুল কয়লানীতির কারণে বাংলাদেশ ক্রমশ নোংরা জ্বালানি হিসেবে পরিচিত কয়লার ডাস্টবিনে পরিণত হতে যাচ্ছে। পরিবেশ ও জনস্বার্থে রামপাল প্রকল্প বিষয়ে অনমনীয়তা থেকে সরে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

 

/এসএনএস/এএম/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ওজন কমিয়ে সাকিব পুরো ফিট, সন্তুষ্ট সহকারী কোচ
ওজন কমিয়ে সাকিব পুরো ফিট, সন্তুষ্ট সহকারী কোচ
ক্যানসারে আক্রান্ত অভিনেতা রুমি, ভর্তি হাসপাতালে
ক্যানসারে আক্রান্ত অভিনেতা রুমি, ভর্তি হাসপাতালে
বুয়েটে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের প্রোগ্রাম, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন শিক্ষার্থীদের
বুয়েটে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের প্রোগ্রাম, ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন শিক্ষার্থীদের
শিশুশিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারপিট, মাদ্রাসাশিক্ষক আটক
শিশুশিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারপিট, মাদ্রাসাশিক্ষক আটক
সর্বাধিক পঠিত
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
অ্যাপের মাধ্যমে ৪০০ কোটি টাকার রেমিট্যান্স ব্লক করেছে এক প্রবাসী!
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
প্রথম গানে ‘প্রিয়তমা’র পুনরাবৃত্তি, কেবল... (ভিডিও)
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
বিএনপির ইফতারে সরকারবিরোধী ঐক্য নিয়ে ‘ইঙ্গিতময়’ বক্তব্য নেতাদের
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
নেচে-গেয়ে বিএসএমএমইউর নতুন উপাচার্যকে বরণে সমালোচনার ঝড়
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা
চিয়া সিড খাওয়ার ৮ উপকারিতা