সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরে যাওয়ার বয়সসীমা ৬০ বছরকে অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধাদের অবসরের বয়সসীমা ৬১ বছর করা উচিত বলেও পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন আদালত। এ সংক্রান্ত জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বুধবার বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি একেএম সাহিদুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় দেন।
পর্যবেক্ষণে আদালত বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরি থেকে অবসরে যাওয়ার বয়সসীমা ৬১ করা উচিত ছিল। কিন্তু তা না করা সংবিধান পরিপন্থী ও বৈষম্যমূলক হয়েছে।
পাশাপাশি এ বিষয়ে ২০১৩ সালের অবসর সংক্রান্ত আইনের সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করেছেন হাইকোর্ট।
আদালতে রিটকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সিদ্দিকুর রহমান খান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এএসএম নাজমুল হক।
প্রসঙ্গত, গণকর্মচারীদের অবসরের বয়স প্রথমবার বাড়ানো হয় ২০০৯ সালের ১৩ ডিসেম্বর। এ সময় ১৯৭৪ সালের ‘পাবলিক সার্ভিস রিটায়ারমেন্ট অ্যাক্ট’ সংশোধন করে মুক্তিযোদ্ধা গণকর্মচারীদের অবসরের বয়স ৫৭ বছর থেকে বাড়িয়ে ৫৯ বছর করা হয়।
এরপর ২০১৩ সালে ‘পাবলিক সার্ভিস রিটায়ারমেন্ট অ্যাক্ট’ পুনরায় সংশোধন করে সব ধরনের গণকর্মচারীর অবসরের বয়স ৫৯ বছর করা হয়। আর মুক্তিযোদ্ধা গণকর্মচারীর অবসরের বয়স করা হয় ৬০ বছর।
পরে সংশোধিত ২০১৩ সালের আইনটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ২০১৬ সালে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন সোনালী ব্যাংকের ডিজিএম মশিউর রহমান ওয়ারেশী ও আনসার-ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার তপন কুমার সাহা। সেই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেছিলেন।
বুধবার (১১ এপ্রিল) সেই রুল যথাযথ ঘোষণা করে ২০১৩ সালের অবসর সংক্রান্ত আইনের সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট।