X
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় গলায় ফাঁস দিয়ে ৩ জনের মৃত্যু

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১২ এপ্রিল ২০১৮, ২৩:২৫আপডেট : ১২ এপ্রিল ২০১৮, ২৩:৪৮

রাজধানীতে পৃথক ঘটনায় গলায় ফাঁস দিয়ে ৩ জনের মৃত্যু

রাজধানীতে পৃথক স্থানে পৃথক ঘটনায় গলায় ফাঁস দিয়ে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজধানীর বাড্ডা, গেণ্ডারিয়া ও কলাবাগান এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে। সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (১২ এপ্রিল) ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহতরা হলেন- বাড্ডায় কলেজ ছাত্র মমিনুল ইসলাম (২২), গেণ্ডারিয়ায় গৃহবধূ তাহমিনা ইসলাম তন্নী (২২) ও কলাবাগানের মুসফিকুর রহমান (৩৫)।   

বাড্ডা থানার শাহীন আলম জানান, মমিনুল ইউআইটিএস ইউনিভারসিটিতে ( ত্রিপলি) লেখাপড়া করতো। তার বাবার নাম মো. গোলাম মোস্তফা। তাদের গ্রামের বাড়ি পাবনা সদরে। বর্তমানে শ-১১১/২, হাসান উদ্দিন রোড, উত্তর বাড্ডায় ষষ্ঠ তলার মেসে থাকতো। বুধবার রাতে প্রেম ঘঠিত কারণে ফ্যানের সঙ্গে গামছা পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহটি ঢামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। পরে তার বাবার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কোনও অভিযোগ না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।

এদিকে গেণ্ডারিয়া থানার উপ-পরিদর্শক সৈয়দ আব্দুল মন্নান জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে গলায় ফাঁস দেয় তন্নী। ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ ঢামেক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহত তন্নীর স্বামী ব্যাংকার শেখ মনিরুজ্জামান ৩৬ সামিবাগ গেণ্ডারিয়া থাকেন, তাদের একটি ৩ বছরের পুত্রসন্তান রয়েছে। বুধবার পাশের ফ্ল্যাটে দাওয়াত খেতে যাওয়ার কথা ছিল, কোনও কারণে যাওয়া হয়নি। পরে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়, রাত সাড়ে ১০ টার দিকে তন্নী তার ছেলেকে নিয়ে বেডরুমে চলে যায়। আর স্বামী ড্রইংরুমে বসে টিভি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়েন। রাত ১২টার দিকে ঘুম ভেঙে গেলে তিনি রুমে গিয়ে দেখেন তার স্ত্রী ফ্যানের সঙ্গে ওড়না দিয়ে ফাঁস দিয়েছে। পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক রাত ১টায় তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বৃহস্পতিবার বিকালে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনরা লাশ নিয়ে যান। 

অপরদিকে কলাবাগানের ২৫ ফ্রি স্কুল স্ট্রিট কাঠালবাগানের বাসায় গলায় ফাঁস দেন মুসফিকুর রহমান (৩৫)। পরে নিহতের শ্যালক ফুহাদ ও কালবাগান থানার উপ-পরিদর্শক মো. বিল্লাল তাকে উদ্ধার করে ঢামেক হাসপাতালে নিলে ডাক্তাররা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের শ্যালক জানিয়েছেন- তিনি (মুসফিকুর) ঋণগ্রস্ত ছিলেন, এ নিয়ে তিনি হতশাগ্রস্ত হয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন। তিনি স্ত্রী ও এক সন্তান নিয়ে আদাবর শেখেরটেক ভাড়া থাকতেন। তিনি ধানমন্ডির একটি প্রতিষ্ঠানের মার্কেটিং কর্মকর্তা ছিলেন। নিহত মুসফিকুর দিনাজপুর জেলার ফুলবাড়ির মশিউর রহমানের ছেলে।

 

 

/এআইবি/এমএ/এএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
লেবাননে এক হিজবুল্লাহ কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
লেবাননে এক হিজবুল্লাহ কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের
মুজিবনগর দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী
মুজিবনগর দিবসে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী
আইইউবিতে অনুষ্ঠিত হলো জলবায়ু বিজ্ঞানী সালিমুল হক স্মারক বক্তৃতা
আইইউবিতে অনুষ্ঠিত হলো জলবায়ু বিজ্ঞানী সালিমুল হক স্মারক বক্তৃতা
আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
আগামী সপ্তাহে থাইল্যান্ড যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
সর্বাধিক পঠিত
ঘরে বসে আয়ের প্রলোভন: সবাই সব জেনেও ‘চুপ’
ঘরে বসে আয়ের প্রলোভন: সবাই সব জেনেও ‘চুপ’
ডাবের পানি খাওয়ার ১৫ উপকারিতা
ডাবের পানি খাওয়ার ১৫ উপকারিতা
ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো ১৩ জনের
ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেলো ১৩ জনের
প্রকৃতির লীলাভূমি সিলেটে পর্যটকদের ভিড়
প্রকৃতির লীলাভূমি সিলেটে পর্যটকদের ভিড়
চুরি ও ভেজাল প্রতিরোধে ট্যাংক লরিতে নতুন ব্যবস্থা আসছে
চুরি ও ভেজাল প্রতিরোধে ট্যাংক লরিতে নতুন ব্যবস্থা আসছে