জনসাধারণের সঙ্গে সর্বোচ্চ ভালো ব্যবহার দিয়ে ট্রাফিক আইন প্রয়োগ করতে সব ট্রাফিক বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া। তার ভাষ্য, ‘কেউ আইনের উর্ধ্বে নয়। রাস্তার শৃঙ্খলা ধরে রাখতে ট্রাফিক আইনের যথাযথ প্রয়োগ করতে হবে।’ মঙ্গলবার (১৭ এপ্রিল) ডিএমপি হেডকোয়ার্টার্সে চারটি ট্রাফিক বিভাগের সঙ্গে বিশেষ সভায় এই নির্দেশ দেন তিনি।
ট্রাফিক আইন মেনে গাড়ি চালানো ড্রাইভার, মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনা হওয়া দরকার বলে মনে করেন ডিএমপি কমিশনার। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি না চালাতে সবার প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।
সবাই মিলে ‘টিম ডিএমপি’ হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার সভায় উপস্থিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, “সবাই মিলে দেশ ও দেশের মানুষের জন্য কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে আমি নই, আমরা মিলে ‘টিম ডিএমপি’। কে ট্রাফিকে আছে, আর কে ক্রাইম বিভাগে আছে তা বড় বিষয় নয়। বিপদে সবাই সবাইকে সাহায্য করবে।”
এছাড়া আরও কয়েকটি নির্দেশনা দেন ডিএমপি কমিশনার। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য— ট্রাফিকের ইন্টারসেকশন ম্যানেজমেন্ট, মানুষের সঙ্গে পেশাদার আচরণ, ভিডিও মামলা বেশি করা, নিজে রাগান্বিত না হয়ে ধৈর্য ধরে প্রসিকিউশন দেওয়া এবং গাড়ির চালককে মামলা সম্পর্কে বিস্তারিত বলা, প্রসিকিউশনের জরিমানা কোনও অবস্থায় নগদ গ্রহণ না করা, উল্টো পথে গাড়ি চালালে ট্রাফিক আইনের আওতায় আনা, হুটার-বিকন লাইন ও হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার যাতে করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখা, চেকপোস্টের মাধ্যমে গাড়ির কাগজপত্র যাচাই করা।
ট্রাফিক আইনের প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধি করতে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানে ট্রাফিক সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালনের নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে মঙ্গলবারের সভায়। এ সময় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ ছাড়াও ছিলেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।