X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১১ বৈশাখ ১৪৩১

টাকা আত্মসাতের মামলা: ফারমার্স ব্যাংকের এক কর্মকর্তা দ্বিতীয় দফা রিমান্ডে, তিনজন কারাগারে

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
১৯ এপ্রিল ২০১৮, ১৬:৪৭আপডেট : ১৯ এপ্রিল ২০১৮, ১৭:০২





ফারমার্স ব্যাংক ফারমার্স ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় ব্যাংকের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতীর ওরফে বাবুল চিশতীকে আবারও দুই দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার ( ১৯ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক ফাহাদ বিন আমিন চৌধুরি এ আদেশ দেন।
পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. সামছুল আলম মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আবারও পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করে মাহবুবুল হক চিশতীকে আদালতে হাজির করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক ফাহাদ বিন আমিন চৌধুরি দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গতকাল বুধবার (১৮ এপ্রিল) চার দিনের রিমান্ড শেষে তিন আসামিকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন দুদকের ওই তদন্ত কর্মকর্তা। পরে ঢাকা মহানগর হাকিম রায়হানুল ইসলামের আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যানের ছেলে রাশেদুল হক চিশতী, ফার্স্ট প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান খান ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জিয়া উদ্দিন আহমেদ।
এর আগে গত ১০ এপ্রিল এই তিন আসামির চার দিন করে রিমান্ড এবং মাহবুবুল হক চিশতীর পাঁচ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ১০ এপ্রিল রাজধানীর গুলশান থানায় মানিল্ডারিং আইনে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ছয়জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। ওই দিনই রাজধানীর সেগুনবাগিচার সেগুন হোটেল থেকে আসামিদের গ্রেফতার করে দুদকের উপপরিচালক মো. সামছুল আলমের নেতৃত্বাধীন একটি দল।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন মাহবুবুল হক চিশতীর স্ত্রী রুজী চিশতী এবং ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান করপোরেট শাখার সাবেক ব্যবস্থাপক ও বর্তমান সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট দেলোয়ার হোসেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ব্যাংকের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে মাহবুবুল হক চিশতী গুলশান শাখায় সঞ্চয়ী হিসাব খুলে বিপুল পরিমাণ অর্থ নগদে ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে জমা ও উত্তোলন করেছেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে তার স্ত্রী, ছেলে-মেয়েদের ও তাদের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন শাখার ২৫টি হিসাবে বেশিরভাগ অর্থ নগদ ও পে-অর্ডারের মাধ্যমে মোট ১৫৯ কোটি ৯৫ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪২ টাকা সন্দেহজনক লেনদেন করেন।

 

/টিএইচ/এইচআই/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ছাত্রলীগের ‘অনুরোধে’ গ্রীষ্মকালীন ছুটি পেছালো রাবি প্রশাসন
ছাত্রলীগের ‘অনুরোধে’ গ্রীষ্মকালীন ছুটি পেছালো রাবি প্রশাসন
সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত বেড়ে ৯
সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহত বেড়ে ৯
বার্সেলোনার সঙ্গে থাকছেন জাভি!
বার্সেলোনার সঙ্গে থাকছেন জাভি!
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
চার বছরেও পাল্টায়নি ম্যালেরিয়া পরিস্থিতি, প্রশ্ন নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি নিয়ে
সর্বাধিক পঠিত
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
সিয়াম-মেহজাবীনের পাল্টাপাল্টি পোস্টের নেপথ্যে…
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
‘মারামারি’র ঘটনায় মিশা-ডিপজলের দুঃখপ্রকাশ
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
মিয়াবতী থেকে পিছু হটলো মিয়ানমারের বিদ্রোহীরা?
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
আজকের আবহাওয়া: কোথায় কেমন গরম পড়বে
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী
ছয় দিনের সফরে ব্যাংকক গেলেন প্রধানমন্ত্রী