‘বাংলাদেশের সরকার শুধুমাত্র ভয়ঙ্কর রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করছে না, একের পর এক এমন কাজ করছে যার মাধ্যমে এটা পরিষ্কার হচ্ছে সরকার চায় সুন্দরবন না থাকুক।’ বৃহস্পতিবার (১৯ এপ্রিল) বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে তেল-গ্যাস-বন্দর ও খনিজ রক্ষা জাতীয় কমিটির সমাবেশে এসব কথা বলেন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।
তিনি বলেন, ‘সরকার বাংলাদেশের জনগণ, বাংলাদেশের ভবিষ্যতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে। কারণ বাংলাদেশে নিরাপত্তা, বাংলাদেশের পরিবেশ ভারসাম্য, বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থ যদি কারও মাথায় ন্যূনতম থাকে তাহলে সুন্দরবনকে রক্ষা করা তার প্রাথমিক দায়িত্ব হবে। সরকার চায় বিভিন্ন দুর্ঘটনার মধ্যে দিয়ে, বিভিন্ন প্রকল্পের কারণে সুন্দরবন শেষ হয়ে যাক। শেষ হয়ে গেলে কয়েক হাজার হেক্টর জমি বাংলাদেশের দস্যু কিংবা ভারতের দস্যুরা দখল করতে পারবে।’
কয়েকদিন আগে কয়েলাবাহী জাহাজ ডুবলো ৭০০ মেট্রিক টন কয়লা নিয়ে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তার আগে ২০১৪ থেকে শুরু করে বেশ কয়েকবার কখনও সিমেন্ট, কখনও ক্লিঙ্কার কখনও তেলবাহী জাহাজ সেখানে ডুবেছে। প্রত্যেকবার সারাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করেছেন। অথচ সরকার কিছুই করে নাই।’
রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে একটা ভয়াবহ বিপদের মধ্যে পড়ছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে একটা পরিবেশ জাতীয় কমিটি আছে, যার প্রধান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটারের মধ্যে যাকে ইকোলজিকালি ক্রিটিক্যাল এরিয়া বলা হয় সেই ১০ কিলোমিটারের মধ্যে লাল তালিকাভুক্ত প্রকল্পকে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এরপর লাল তালিকাভুক্ত প্রকল্পকে বৈধতা দেওয়ার জন্য আবার সেগুলো সবুজ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। তার মানে সরকার চাইলেই লাল, সবুজ হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রী যেখানে বলেন, এই খনিজ কয়লা দিয়ে পানি পরিষ্কার হয় সেখানে বোঝাই যায় যে সুন্দরবন সম্পর্কে তাদের দায়িত্ববোধ কতটা।’
সমাবেশে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, সিপিবিসহ তেল-গ্যাস-বন্দর ও খনিজ রক্ষা জাতীয় কমিটির অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।