৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার আহ্বান জানিয়ে রাজাকারের উত্তরসূরিদের সব চাকরিতে অযোগ্য ঘোষণার দাবি করেছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা। শনিবার (২১ এপ্রিল) সকালে এক গণসমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি এ আহ্বান জানানো হয়। এ সময় মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালসহ ৯ দফা দাবি তুলে ধরেন সংগঠনের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন।
মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহালের দাবিতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এই গণসমাবেশ তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত পুনর্বহাল না করা হলে ৭১’র পরাজিত শক্তি ডুগডুগি বাজাবে। কারণ, তারা দীর্ঘদিন ধরে মুক্তিযোদ্ধাদের অপমান ও অপদস্থ করতে চেয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষণার ফলে তারা আজ উল্লাসে মেতে উঠেছে।’
কোটা সংস্কার আন্দোলনে মুক্তিযোদ্ধাদের কটূক্তি করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আন্দোলনে অনেকে প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়েছে ‘আমি রাজাকারের সন্তান’। এগুলোর বিচার হওয়া উচিত। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশে বর্তমান প্রজন্মের কাছে আমরা এরকম আচরণ আশা করিনি।”
‘আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান’ আয়োজিত এই গণসমাবেশে নেতারা মুক্তিযোদ্ধা কোটা সঠিক বাস্তবায়নে একটি কমিশন গঠনসহ ৯ দফা দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- জাতির পিতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে কটূক্তিকারীদের শাস্তি, ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রেখে তা বাস্তবায়নে কমিশন গঠন করে প্রিলিমিনারি থেকেই কোটা শতভাগ বাস্তবায়ন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চলমান সব নিয়োগ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা, রাষ্ট্রের নিরাপত্তার স্বার্থে স্বাধীনতাবিরোধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করাসহ স্বাধীনতাবিরোধীদের উত্তরসূরিদের সব চাকরিতে অযোগ্য ঘোষণা করা, স্বাধীনতাবিরোধী জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করা, চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা তুলে দেওয়াসহ ইত্যাদি।
সংগঠনের সভাপতি মো. সাজ্জাদ হোসেনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ রাশেদুজ্জামান শাহীনের পরিচালনায় ও দফতর সম্পাদক আহমাদ রাসেলের তত্ত্বাবধানে গণসমাবেশে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক একেএম জামাল উদ্দিন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন ও সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. কাজী সাইফুদ্দীন, শহীদ সংসদ সদস্য নুরুল হক হাওলাদারের মেয়ে ও সংগঠনের প্রেসিডিয়াম সদস্য জোবায়দা হক অজন্তা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম সমন্বয় পরিষদের আহ্বায়ক আসিবুর রহমান খান প্রমুখ।