ঢাকায় পৃথক ঘটনায় পুলিশ, কারারক্ষী, বিদেশ ফেরতসহ অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পরে ৬ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। শনিবার বেলা ১১ টা থেকে বিকালের মধ্যে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করা করা হয়েছে।
তারা হচ্ছেন, মিরপুর থেকে নৌপুলিশ উপপরিদর্শক মো. আনোয়ার হোসেন (৪০), কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে কারারক্ষী আরিফুল ইসলাম (২৫), সায়েদাবাদ থেকে বিদেশ ফেরত মো. কামাল হোসেন (৪০), গুলিস্তান থেকে সিএনজি চালক মো. আলী (৪৫), পল্টন থেকে ব্যাবসায়ী মুক্তার হোসেন (৪৫), ও ফুলবাড়িয়া থেকে ব্যাবসায়ী রাশেদুল ইসলাম রাসেল (২৬)।
এঘটান সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাড়ির উপপরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া।
পুলিশ সদস্যের সহকর্মী মান্নান জানান, আনোয়ার নারায়ণগঞ্জ আড়াই হাজার থানার খাককান্দা নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ। তিনি সকালে অফিসের কাজে মিরপুর ১ নম্বর ডিআইজির অফিসে যাওয়ার পথে অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পরে অচেতন হয়ে পড়েন। পরে তাকে নায়েক মোজাম্মেল তাকে উদ্ধার করে দুপুর আড়াইটায় হাসপাতালে ভর্তি করান। তার কি হারিয়েছে তা এখনও জানা যায়নি।
কারারক্ষী আরিফুল জানান, আমি ১০ দিনের ছুটিতে কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে গাজীপুরের শ্রীপুর গ্রামের বাড়ি যাওয়ার পথে কমলাপুরে সমুচা খাওয়ার কিছুক্ষণ পর আর কিছুই বলতে পারি না। পরে তাকে পথচারীরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন।
বিদেশ ফেরত কামালের স্বজন তুষার জানান, তার বাড়ী কুমিল্লার, বুড়িচং, তিনি দীর্ঘদিন যাবত ওমান ছিলেন, অসুস্থতার কারণে শনিবার সকালে বাংলাদেশে আসেন, বাসে করে সায়েদাবাদ যাওয়ার পথে জনপদ মোড়ে অচেতন হয়ে পরে থাকে, সংবাদ পেয়ে বেলা ১২ টার দিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।
কাপ্তান বাজারের ব্যবসায়ী রাশেদুল সাভার থেকে দোকানে যাওয়ার পথে ফুলবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিসের সামনে অচেতন হয়ে পরে ছিলেন। পরে সংবাদ পেয়ে ভাই মোস্তফা কামাল বেলা ১১ টায় উদ্ধার করে, হাসপাতাল নিয়ে আসেন।
ধোলাইপারের বাসিন্দা সিএনজি চালক মো. আলীকে পথচারীরা উদ্দার করে দুপুরে হাসপাতালে নিয়ে যান। এছাড়াও ব্যাবসায়ী মো. মুক্তার হোসেনকে তার শ্যালক সৌরভ বিকাল পৌনে ৩ টায় পুরানো পল্টন কেএফসি দোকানের সামনে থেকে উদ্ধার করেন। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, তার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা হারিয়েছে। মুক্তার নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার সস্তাপুর থাকেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল জরুরি বিভাগের এক চিকিৎসক জানান, আমাদের এখানে প্রতিদিন যে সমস্ত (আননোন পয়জনিং) রোগী অচেতন অবস্থায় আসে, তাদের অবস্থা জেনে তাদের প্রথমে পাকস্থলী ওয়াসের পর মেডিসিন বিভাগে ভর্তি দেয়া হয়। তিনি বলেন, যে সমস্ত রোগী অজ্ঞান পার্টির খপ্পরে পরে দীর্ঘ সময় পার হয়ে যায়, তাদের সরাসরি ওয়ার্ডে পাঠানো হয়।