কুমিল্লা নগরীর হাউজিং এস্টেট এলাকায় আমদিঘি নামের একটি দিঘি প্লট দেখিয়ে তা অবৈধভাবে ভরাট বন্ধে সংশ্লিষ্টদের একটি আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সচিব, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, পরিবেশ অধিদফতর, কুমিল্লার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ ১০ জনের প্রতি এই নোটিশ পাঠানো হয়।
রবিবার (২২ এপ্রিল) কুমিল্লা জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অব ঢাকার (সিজেএডি) সাধারণ সম্পাদক মো. দিদারুল আলম দিদারের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া নোটিশটি পাঠান।
পরে আইনজীবী সিদ্দিক উল্লাহ মিয়া সাংবাদিকদের জানান, ঐতিহ্যবাহী ওই দিঘিটি প্লট দেখিয়ে তা ভরাট করা হচ্ছে মর্মে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ওই অবৈধ কার্যক্রম বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নোটিশে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।
নোটিশে দিঘিটি অবৈধভাবে ভরাট বন্ধে বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন, ১৯৯৫ ও জলাধার সংরক্ষণ আইন, ২০০০ অনুযায়ী জনস্বার্থে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে। অন্যথায় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
পরে এ বিষয়ে নোটিশ প্রেরণকারী দিদারুল আলম দিদার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘প্রাচীনকাল থেকে কুমিল্লাকে ট্যাংকের শহর বলা হয়। এ শহরে অসংখ্য দিঘি ও পুকুর রয়েছে। ওই সব দিঘি ও পুকুরের নামে এলাকাগুলো এখনও পরিচিত। তেমনি আমদিঘিও শহরের একটি ঐতিহ্যবাহী দিঘি। ওই দিঘির পাড়েই রয়েছে বাইতুল ফালাহ জামে মসজিদ। মুসল্লিসহ ওই এলাকার বাসিন্দারা দিঘিটি ব্যবহার করেন। হঠাৎ করেই দেখা যায় এটি ভরাট শুরু হয়েছে। পরে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, সেখানে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। অথচ দিঘিটি কোনোভাবেই প্লট বরাদ্দযোগ্য নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘খোঁজ নিয়ে দেখেছি, হাউজিং এস্টেটের নকশাতেও দিঘিটি রয়েছে। তাই পরিবেশ রক্ষা ও জনস্বার্থের বিষয়টি চিন্তা করে সংশ্লিষ্টদের নোটিশ পাঠিয়েছি।’