রাজধানীর পুরানা পল্টনে বিএনপি নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করতে গিয়ে পুলিশের ওপর হঠাৎ চড়াও হয়েছে। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, অনুমতি ছাড়া সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করতে গেলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এতে বিএনপির নেতাকর্মীরা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার আনোয়ার হোসেনকে লক্ষ্য করেও তাদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা গেছে। এ ঘটনায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ পুলিশের অন্তত ৭-৮ জন সদস্য আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সোমবার দপুর ১টা ৫০ মিনিটে রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত এই বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। মিছিল থেকে বিএনপির ১০-১২ জন নেতাকর্মীকে আটক করা হয়।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন,বিএনপি নেতাকর্মীরা দৈনিক বাংলা এলাকায় বিক্ষোভের নামে গাড়ি ভাঙচুর শুরু করে। এসময় তাদের সড়ক থেকে ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এমনকি মতিঝিল বিভাগের ডিসি আনোয়ার হোসেন লক্ষ্য করেও কাছ থেকে ইট ছুঁড়ে মারে। ইটটি তার উরুতে গিয়ে লাগে। পরে ধাওয়া করে ওই যুবককে আটক করা হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার আনোয়ার হোসেন বলেন,‘গণমাধ্যমে একটা ছবি প্রকাশ হয়েছে যে,এক যুবককে চ্যাংদোলা করে নেয়া হচ্ছে। কিন্তু এই ঘটনার আগে ওই যুবক খুব কাছ থেকে আমার মাথা লক্ষ্য করে ইট মেরেছিল। আমি অল্পের জন্য বেঁচে যাই। ইটটি আমার হাঁটুর একটু ওপরে লাগে। আমি সঙ্গে সঙ্গে তাকে ধাওয়া দিলে আমার বডিগার্ড তাকে ধরে ফেলে।’
পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, কোনও ঘটনার আগে-পরে আরও কিছু ঘটনা থাকে। কিন্তু সবসময় পুলিশের বিরুদ্ধে যায় এমন ঘটনাগুলোই ফোকাস করা হয়। সোমবার দুপুরে পল্টনের বিএনপি নেতাকর্মীদের পুলিশের ওপর হঠাৎ চড়াও হওয়ার ঘটনাটিতেও এরকম হয়েছে।
এদিকে পুলিশের অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘মিছিল থেকে তো সাংবাদিকদেরও আটক করা হয়েছে। তারা কি পুলিশকে ইট ছুঁড়েছিল? তাহলে তাদের কেন আটক করা হলো। বিএনপির নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর চড়াও হয়নি। বরং পুলিশ তাদের ওপর চড়াও হয়েছে। তাদের অপকর্ম ঢাকতে বিএনপির ওপর দোষ চাপাচ্ছে।’