গণপরিবহন ব্যবস্থায় সংস্কার দরকার। এটা সম্ভব হলে সড়ক নিরাপদ হয়ে উঠবে। বাংলা ট্রিবিউনের সাপ্তাহিক আয়োজন ‘ঢাকার রাস্তায় যত বিপদ’ শীর্ষক বৈঠকিতে এ মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষক ড. শামসুল হক।
ড. শামসুল হক বলেন, ‘বিশৃঙ্খল গণপরিবহনের কারণে রাস্তায় যানজট থেকে শুরু করে সব ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। একসময় ঢাকায় ঘণ্টায় গাড়ির গতি নির্ধারিত ছিল ২৫ কিলোমিটার। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে ততই এই গতি কমছে। এখন ঘণ্টায় গাড়ির গতিবেগ মাত্র সাত কিলোমিটার। তারপরও দুর্ঘটনা আগের চেয়ে অনেক বেশি ঘটছে। এর কারণ একটাই, বিশৃঙ্খলা।’
তিনি বলেন, ‘গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকলেও দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। হয়ত পেছন থেকে কেউ ধাক্কা মারছে না। এর মানে গাড়ি স্থির থাকলে বা গতিতে চললেই যে দুর্ঘটনা ঘটে তা কিন্তু নয়। মূলত এই দুর্ঘটনা হয় বিশৃঙ্খলার কারণে।’
বুয়েটের এই শিক্ষক বলেন, ‘বনানীতে খেয়াল করে দেখবেন, কোনও গাড়ির গায়ে আঁচড় আছে কিনা? কোনও ড্রাইভার কোনও যাত্রীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে কিনা? কোনও যাত্রী রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে হাত তুললে গাড়ি থামে কিনা? এসব কিছুই হবে না। তার মানে কড়া পরিস্থিতি তৈরি করলে সবকিছু সুশৃঙ্খল করা সম্ভব। যেমন, উবারে যে গাড়ি চালায় সে কিভাবে উবারের আওতায় আসায় ভদ্র হয়ে যায়? কারণ সে জানে, তার আচরণ মনিটরিং হচ্ছে, তার এক জায়গায় দায়বদ্ধতা আছে। তার মানে গণপরিবহন ব্যবস্থায় সংস্কার দরকার। এটা সম্ভব হলে সড়ক নিরাপদ হয়ে উঠবে।’
বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) বিকাল ৪টায় বাংলা ট্রিবিউনের কার্যালয়ে এ বৈঠকি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সাংবাদিক মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় বৈঠকিটি এটিএন নিউজ চ্যানেল ও বাংলা ট্রিবিউনের ফেসবুক পেজে সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।
বৈঠকিতে আলোচক হিসেবে আরও উপস্থিত আছেন– ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মো. বিলাল, ফায়ার সার্ভিস মহা-পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহাম্মেদ খান, অ্যাকশন এইড কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবীর, বুয়েটের শিক্ষক ড. শামসুল হক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক নঈম গওহার ওয়ারা এবং বাংলা ট্রিবিউনের হেড অব নিউজ হারুন উর রশীদ।
আরও পড়ুন-
‘প্রয়োজন নয়, পয়সা আয় হবে ভেবেই প্রকল্প নেওয়া হয়’
‘বৃষ্টির মৌসুমে প্রয়োজন না হলে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি উচিত নয়’