X
মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
১০ বৈশাখ ১৪৩১

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নীতিমালা জারি, কার্যক্রম শুরু ১৩ মে

বাংলা ট্রিবিউন রিপোর্ট
০৮ মে ২০১৮, ১৭:২৭আপডেট : ০৮ মে ২০১৮, ১৭:৩৭

 

 

শিক্ষা মন্ত্রণালয়

দেশের সব সরকারি-বেসরকারি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি কার্যক্রম শুরু হবে আগামী ১৩ মে থেকে। ১ জুলাই থেকে তাদের ক্লাস শুরু হবে। নীতিমালায় গত কয়েক বছরের মতো এবারও মাধ্যমিকের ফলের ভিত্তিতে একাদশ শ্রেণিতে অনলাইনে শিক্ষার্থী ভর্তির বিধান রাখা হয়েছে।

নীতিমালা অনুযায়ী  আটটি সাধারণ বোর্ড এবং মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড থেকে ২০১৬, ২০১৭ ও ২০১৮ সালে মাধ্যমিক উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে পারবেন। আর উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৫, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে উত্তীর্ণরাও ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।

সোমবার (৭ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে ভর্তি নীতিমালা জারি করেছে।

নীতিমালায় বলা হয়েছে, সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বাধ্যতামূলকভাবে অনলাইনে শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে। অনলাইনের (www.xiclassadmission.gov.bd) ওয়েবসাইটের পাশাপাশি টেলিটক মোবাইল থেকে এসএমএস করেও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করা যাবে। আগামী ১৩ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত এ আবেদন করা যাবে। এদিকে যারা ফল পুনঃনিরীক্ষণের আবেদন করেছেন, তাদেরও এই সময়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে।

আরও বলা হয়, আগামী ২৫ থেকে ২৭ মে’র মধ্যে শিক্ষার্থীদের আবেদন যাচাই-বাছাই ও আপত্তি নিষ্পত্তি করা হবে। পুনঃনিরীক্ষণে যাদের ফল পরিবর্তন হবে, তারা ৫ থেকে ৬ জুন পর্যন্ত আবেদন করার সুযোগ পাবেন।

ভর্তি প্রক্রিয়ার ফল প্রকাশের ব্যাপারে বলা হয়, আগামী ১০ জুন প্রথম পর্যায়ে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ করা হবে। প্রথম তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ১১ থেকে ১৮ জুন সিলেকশন নিশ্চয়ন (যে কলেজের তালিকায় নাম আসবে ওই কলেজেই যে শিক্ষার্থী ভর্তি হবেন তা এসএমএসে নিশ্চিত করা) করতে হবে।

আগামী ২১ জুন দ্বিতীয় পর্যায়ে এবং ২৫ জুন তৃতীয় পর্যায়ের ফল প্রকাশ করা হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীরা ২২ ও ২৩ জুন সিলেকশন নিশ্চয়ন এবং তৃতীয় পর্যায়ে তালিকায় থাকা শিক্ষার্থীদের ২৬ জুন সিলেকশন নিশ্চয়ন করতে হবে। আগামী ২৭ থেকে ৩০ জুন শিক্ষার্থী ভর্তি শেষে একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে ১ জুলাই থেকে।

জানা যায়,  একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য অনলাইনে ১৫০ টাকা ফি জমা দিয়ে সর্বনিম্ন ৫টি এবং সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে পছন্দক্রমের ভিত্তিতে আবেদন করা যাবে। তবে অনলাইনে কীভাবে আবেদন করা যাবে সে বিষয়ে নীতিমালায় বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। আন্তঃ শিক্ষা বোর্ড পরে এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করবে।

প্রতি কলেজের জন্য ১২০ টাকা ফি দিয়ে সর্বোচ্চ ১০টি কলেজে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।

একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবেন তার মধ্য থেকে শিক্ষার্থীর মেধা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি কলেজকে তার ভর্তির জন্য নির্ধারণ করা হবে।

কোটার ব্যাপারে নীতিমালায় বলা হয়েছে- বিভাগীয় এবং জেলা সদরের কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কলেজের শতভাগ আসন সবার জন্যই উন্মুক্ত থাকবে, মেধার ভিত্তিতে নির্বাচন করা হবে।

মেধার ভিত্তিতে ভর্তির পরে যদি বিশেষ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত কোনও আবেদনকারী থাকে, তাহলে মোট আসনের অতিরিক্ত ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য, ৩ শতাংশ বিভাগীয় ও জেলা সদরের বাইরের শিক্ষার্থীদের জন্য, ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্ত দফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী এবং স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের সন্তানদের জন্য, দশমিক ৫০ শতাংশ বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)-এর জন্য এবং দশমিক ৫০ শতাংশ প্রবাসীদের সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে। তবে উপযুক্ত কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেল এ আসন কার্যকর থাকবে না।

আরও বলা হয়, বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণরা যে কোনও বিভাগে ভর্তি হতে পারবে। মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণরা মানবিকের পাশাপাশি ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ভর্তি হতে পারবে। ব্যবসায় শিক্ষার শিক্ষার্থীরা ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক বিভাগে ভর্তি হতে পারবেন।

মেধাক্রমের ব্যাপারে বলা হয়, জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে।

বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে সমান জিপিএ প্রাপ্তদের মেধাক্রমের ক্ষেত্রে সাধারণ গণিত, উচ্চতর গণিত অথবা জীববিজ্ঞানে প্রাপ্ত জিপিএ বিবেচনায় আনা হবে। এরপরও একই নম্বরপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের ভর্তির বিষয়ে সুরাহা না এলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়নে প্রাপ্ত নম্বর বিবেচনায় আনা হবে।

আর মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে সমান জিপিএ প্রাপ্তদের ভর্তির ক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলায় অর্জিত গ্রেড পয়েন্ট বিবেচনা করা হবে।

এক বিভাগের প্রার্থী অন্য বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট গ্রেড পয়েন্ট একই হলে পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে অর্জিত পয়েন্ট বিবেচনায় আনতে হবে বলে নির্দেশনায় বলা হয়েছে।

ফি নেওয়ার ব্যাপারে নীতিমালায় বলা হয়েছে, মফস্বল/পৌর (উপজেলা) এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সেশনচার্জসহ সর্বসাকুল্যে এক হাজার টাকা, পৌর (জেলা সদর) এলাকায় দুই হাজার টাকা এবং ঢাকা ছাড়া অন্য মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন হাজার টাকার বেশি ফি নেওয়া যাবে না। ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থী ভর্তিতে পাঁচ হাজার টাকার বেশি নিতে পারবে না।

ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় আংশিক এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও এমপিও বর্হিভূত শিক্ষকদের বেতনভাতা দেওয়ার জন্য ভর্তির সময় মাসিক বেতন, সেশন চার্জ ও উন্নয়ন ফি বাবদ বাংলা মাধ্যমে ৯ হাজার টাকা এবং ইংরেজি মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।

নীতিমালা অনুযায়ী, উন্নয়ন খাতে কোনও প্রতিষ্ঠান তিন হাজার টাকার বেশি নিতে পারবে না। সরকারি কলেজগুলো পরিপত্র অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ফি সংগ্রহ করবে।

দরিদ্র, মেধাবী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী ভর্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে যতদূর সম্ভব ফি মওকুফ করতে বলেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কোনও শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অনুমোদিত ফি’র বেশি নেওয়া যাবে না। অনুমোদিত সকল ফি রশিদের মাধ্যমে গ্রহণ করতে হবে বলেও জানানো হয়েছে।

 

/এসএমএ/এএইচ/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
গরমে রাস্তায় পানি ছিটানোর সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
গরমে রাস্তায় পানি ছিটানোর সুপারিশ সংসদীয় কমিটির
মাটি কাটার সময় বেরিয়ে এলো রাইফেল, গ্রেনেড ও মর্টারশেল
মাটি কাটার সময় বেরিয়ে এলো রাইফেল, গ্রেনেড ও মর্টারশেল
২৩ মিনিটে জামালকে তিন গোল দিয়ে সেমিফাইনালে পুলিশ
২৩ মিনিটে জামালকে তিন গোল দিয়ে সেমিফাইনালে পুলিশ
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে যা জানালেন কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
সর্বাধিক পঠিত
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
আজকের আবহাওয়া: তাপমাত্রা আরও বাড়ার আভাস
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
মাতারবাড়ি ঘিরে নতুন স্বপ্ন বুনছে বাংলাদেশ
অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২৭ কর্মকর্তা
অতিরিক্ত সচিব হলেন ১২৭ কর্মকর্তা
উৎপাদন খরচ হিসাব করেই ধানের দাম নির্ধারণ হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী 
উৎপাদন খরচ হিসাব করেই ধানের দাম নির্ধারণ হয়েছে: কৃষিমন্ত্রী 
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ
সকাল থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছেন না ডাক্তাররা, রোগীদের দুর্ভোগ