রাজধানীতে পৃথক তিনটি অভিযানে ৮টি চোরাই মোটরসাইকেল, চারটি রিভলবার, ২২ রাউন্ড গুলি ও দেশীয় অস্ত্রসহ ৯ জনকে আটক করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। আটককৃতরা ডাকাতি, ছিনতাই ও মোটরসাইকেল চুরি করে আসছিল। এছাড়া ভুয়া ডিবি পরিচয়েও টাকা হাতিয়ে নিতো এ চক্রের সদস্যরা। রবিবার (২৩ জুন) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) দেবদাস ভট্টাচার্য। তাদেরকে শনিবার রাজধানীর ডেমরা ও পশ্চিম শেওড়াপাড়া এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে।
মোটরসাইকেল চোরচক্রের সদস্যরা হলেন সালিম উদ্দিন আহম্মেদ ওরফে সবুজ, রনি, টিপু, বাপ্পি সরকার ও সালাউদ্দিন ফকির। এই চক্রের সদস্যরা বিভিন্ন বাসাবাড়ি, পার্কিং এলাকা থেকে মোটরসাইকেল লক ভেঙে চুরি করতে। এর পাশাপাশি রাস্তায় অস্ত্র দেখিয়ে গাড়ি ছিনতাই করতো তারা।
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) গাড়ি চুরি প্রতিরোধ টিমের অভিযানে এই চক্রের সদস্যদের আটক করা হয়। দেবদাস ভট্টাচার্য বলেন, ‘এই চক্রের মূলহোতা দ্বীন ইসলাম। সে পলাতক রয়েছে। মোটরসাইকেল চুরির পর গাড়ির ইঞ্জিন ও চেসিস নম্বর পরিবর্তন করে ভুয়া কাগজ তৈরির মাধ্যমে বিক্রি করতো তারা। তাদেরকে ডেমরা এলাকা আটক করা হয়েছে।
একই এলাকা থেকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সিরিয়াস ক্রাইম বিভাগের একটি টিম অভিযান চালিয়ে
৪টি দেশীয় অস্ত্র ও একটি পিকাপসহ ৪ ডাকাতকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন আমজাদ আলমগীর, মুসা মাতব্বর, আলমগীর ও ওমর ফারুক। এই চক্রটি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মাছের ট্রাক ও পিকাপ ভ্যানে ডাকাতি করতো। তাদের কাছ থেকে একটি চাপাতি, দুটি ছোরা, একটি চাকু ও পিকাপ ভ্যান উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার রাতে চালানো অভিযানে রাজধানীর পশ্চিম শেওড়াপাড়া এলাকা থেকে একজন ভুয়া ডিবি সদস্য নুরুল আমীনকে আটক করা হয়েছে। তার কাছ থেকে ১০ রাউন্ড গুলিসহ দুটি রিভলভার উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, নুরুল আমিন ডিবি পরিচয়ে ছিনতাই করতেন। তার কাছ থেকে দুটি রিভলবার উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তার সঙ্গে আর কারা সম্পৃক্ত আছে তাদের ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ করা হবে।