প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাজেট সমাপনী বক্তব্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণে সুস্পষ্ট ঘোষণা না থাকলে কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম নামে একটি সংগঠন। একই সঙ্গে ‘এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো-২০১৮’ এর বৈষম্যমূলক বিধান সংশোধনের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। শুক্রবার (২৯ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।
সংগঠনের সভাপতি মো. সাইদুল হাসান সেলিম বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সমাপনী বাজেট বক্তব্যে এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের ঘোষণা দেবেন। ইতোপূর্বে আমাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবেন। তা না হলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো।’
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী ১৩ জুলাই সব শিক্ষক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে যুগপৎ আন্দোলনের লক্ষ্যে এবং জোট গঠনের জন্য গোলটেবিল বৈঠক হবে।’
আন্দোলন কর্মসূচি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আগামী ২৩ থেকে ২৬ জুলাই প্রতিটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করা হবে। এছাড়া ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জোটের শরীকদের নিয়ে নতুন কর্মসূচির মাধ্যমে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’
শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ হলে সব অন্যায়, বঞ্চনা, অব্যবস্থাপনার অবসান হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী ফোরামের মহাসচিব মো. আব্দুল খালেক, সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলাম, হারুন অর রশিদ, যুগ্ম মহাসচিব জি এম শাওন, বাংলাদেশ শিক্ষক ইউনিয়নের সভাপতি আবুল বাসার হাওলাদারসহ অনেকে।