কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় বিভিন্ন নাশকতা ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া অভিযোগে শাহবাগ থানার দুই মামলায় সাধারণ ছাত্র পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসানসহ তিন নেতাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। অন্য দুই আসামি হলেন, জসিম উদ্দিন ও মশিউর রহমান। দুই দিনের রিমান্ড শেষে আসামিদের শনিবার (১৪ জুলাই) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করেন মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। আসামিদের জামিনের আবেদন করেন আইনজীবী জাহিদুর রহমান। শুনানি শেষে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াসির আহসান চৌধুরী জামিন। আদালতে সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) মাহমুদুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য জানান।
এর আগে মঙ্গলবার (১০ জুলাই) আসামিদের দুই দিনের রিমান্ডে পাঠান ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আব্দুল আল মাসুদ ।
প্রসঙ্গত, গত ৮ এপ্রিল রাত ১টার দিকে সহস্রাধিক বিক্ষোভকারী ভিসির বাসভবনে প্রবেশ করে। তারা মূল গেট ভেঙে ফেলে এবং দেয়াল টপকে বাসায় ঢুকে পড়ে। তাদের হাতে রড, হকিস্টিক, লাঠি ও বাঁশ দিয়ে বিভিন্ন নাশকতা মূলক কর্মকাণ্ড করে। পাশাপাশি পুলিশের কর্তব্য কাজে বাধা দেয়। রাস্তায় জনসংযোগ করে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করে। সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের নামে উসকানিমূলক বিবৃতি দিয়ে সাধরণ মানুষের ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। ওই ঘটনায় শাহবাগ থানায়( উপ-পরিদর্শক) রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে দুটি মামলা দায়ের করেন।