X
বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

ঢাবির শিক্ষার পরিবেশ নষ্টকারীদের বিচার দাবি

ঢাবি প্রতিনিধি
২২ জুলাই ২০১৮, ১৪:০১আপডেট : ২২ জুলাই ২০১৮, ১৪:০৩

 

সচেতন শিক্ষক সমাজের মানববন্ধন যেসব শিক্ষক কোটা আন্দোলনকে আবারও উস্কানি দিচ্ছে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে চাচ্ছে সেসব শিক্ষকদের বিচার দাবি করেছে সচেতন শিক্ষক সমাজ। রবিবার (২২ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে শিক্ষকরা বলেন, ‘আমরা যেকোনো ন্যায্য দাবির প্রতি সমর্থন জানিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে থাকবো। কিন্তু ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের অপচেষ্টা আমরা মেনে নেবো না।  কোটা আন্দোলন একটি ন্যায্য দাবি। কিন্তু এ আন্দোলনের নামে বিশ্ববিদ্যালয়কে অচল করতে চায় এক ধরনের অপশক্তি। আমরা এ ধরনের অপশক্তিকে প্রতিহত করব। শিক্ষার্থীদের বলব তোমরা ক্লাসে আসো। আগে তোমাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তোলো। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আগের ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যাবে তখন কি রকম সেশনজট ছিল। আর এখন সেশনজট মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় চলছে। কিন্তু যারা তোমাদেরকে বলে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করতে, তারা তোমাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করতে চায়।’

ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড, এ এস এম মাকসুদ কামাল বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে শিক্ষার্থীদেরকে কিছু শিক্ষক  উস্কে দিয়ে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করতে চাচ্ছে। আমরা তার প্রতিবাদে আজকে এখানে দাঁড়িয়েছি। গত ১৯ তারিখে বটতলাতে শিক্ষকদের যে সংহতি সমাবেশ হয়েছে, সেখানে একজন শিক্ষক বলেছেন— শেখ হাসিনা কি মুক্তিযুদ্ধ করেছে? বঙ্গবন্ধু কি মুক্তিযুদ্ধ করেছে?  তখন আমাদের বুঝতে দেরি হয় না, যে এসব শিক্ষক  কারা। তারেক জিয়া যেভাবে কথা বলে, এইসব শিক্ষকও একইভাবে কথা বলে।  ঢাবি শিক্ষক সমিতি সব সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে পরিচালিত হয়।  আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কাছে এসব শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই। একইসঙ্গে যদি কোনও সাধারণ শিক্ষার্থী পুলিশি হয়রানির শিকার হয়ে থাকে, তাহলে তাদের দিকে খেয়াল রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে আহ্বান জানাই।’

শামসুন্নাহার হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সুপ্রিয়া সাহা বলেন,  ‘আমরা সবাই একটা বিষয় নিয়ে চিন্তিত। বিশ্ববিদ্যালয় যেখানে অত্যন্ত সুশৃঙ্খলভাবে চলছে। সেখানে একটি অপশক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থির করতে চাইছে। কারণ ঢাবিকে অস্থির করতে পারলে সারাদেশকে অস্থির করা যাবে। এই লক্ষ্যে তারা আন্দোলন করছে। আমরা কেউ চাই না বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হোক।’

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবাই মিলে একটি পরিবার। পরিবারের কোনও সমস্যা হলে আমরা তার সমাধান করব। শিক্ষার্থীরা কোটা আন্দোলন করছে। এটি একটি যৌক্তিক আন্দোলন। আমরা এই আন্দোলনকে সমর্থন জানাই। সরকারও তাদের দাবি মেনে নিয়েছে। ইতোমধ্যে সরকার একটি কমিটিও করে দিয়েছে। তারপরও একটি মহল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। ’

/আরএআর/এনআই/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
রাব্বির ব্যাটে শাইনপুকুরকে হারালো শেখ জামাল
রাব্বির ব্যাটে শাইনপুকুরকে হারালো শেখ জামাল
সমবায় সমিতির নামে কোটি টাকার দুর্নীতি: দুদকের অনুসন্ধান শুরু
সমবায় সমিতির নামে কোটি টাকার দুর্নীতি: দুদকের অনুসন্ধান শুরু
পার্বত্য অঞ্চলে অদৃশ্য শক্তি বলে কোনও কথা নেই: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী
পার্বত্য অঞ্চলে অদৃশ্য শক্তি বলে কোনও কথা নেই: পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নারী কর্মচারীর অকস্মাৎ মৃত্যু, অভিযোগ সচিবের দিকে!
জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নারী কর্মচারীর অকস্মাৎ মৃত্যু, অভিযোগ সচিবের দিকে!
সর্বাধিক পঠিত
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা