বাছাই করে যোগ্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী

ইচ্ছে থাকার পরও অর্থসংকটের কারণে গত ৮ বছরে নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকার এমপিওভুক্ত করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। তিনি বলেন, ‘অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনার ফলে অর্থপ্রাপ্তির আশ্বাস পাওয়া গেছে। এ বছর নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে। কেবল যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষকরাই এমপিওর জন্য বিবেচিত হবেন। নীতিমালার আলোকেই যোগ্য প্রতিষ্ঠান বাছাই করা হবে।’ সোমবার (২৩ জুলাই) দুপুরে শিক্ষা বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ‘অ্যাডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’-্এর (ইরাব) নবনির্বাচিত নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিগগিরই বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় শিক্ষক নিয়োগের সার্কুলার জারি করা হবে। এ লক্ষ্যে জাতীয় শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) প্রস্তুতি নিচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন মহলের বাধা, মামলাসহ নানা জটিলতার কারণে গত প্রায় দুই বছর ধরে এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া যাচ্ছিল না। মেধাতালিকার বাইরে অন্যকোনও তালিকা থেকে এমপিও দেওয়া হবে না। কারণ এমপিওভুক্তির ক্ষেত্রে আমরা একটা স্থায়ী সুশৃঙ্খল ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’
সারাদেশে বর্তমানে প্রায় ৩৮হাজার বেসরকারি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা আছে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ওইসব প্রতিষ্ঠানে গত দুই বছর যাবত সহকারী শিক্ষক ও প্রভাষক পদে নিয়োগ বন্ধ আছে। মৃত্যু, পদত্যাগসহ নানা কারণে ওইসব প্রতিষ্ঠানে ৬০ হাজার শিক্ষকের পদ বর্তমানে খালি। এসব খালি পদে নিয়োগ দেওয়া প্রক্রিয়া খুব শিগগিরই শুরু হবে।’
সভায় শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ‘সাংবাদিকদের কাছ থেকে আমরা কেবল ইতিবাচক খবরই প্রত্যাশা করি না, গঠনমূলক সমালোচনাসহ নেতিবাচক খবরও আশা করি। কারণ, এতে মন্ত্রণালয় ও এর অধীন প্রতিষ্ঠানের ত্রুটিবিচ্যুতি জানতে পারি। ফলে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারি।’ তিনি বলেন, ‘আমরা একটি শিক্ষানীতি করেছি। সেটির অধিকাংশ বাস্তবায়িত হয়েছে। বাকিগুলোও বাস্তবায়নের কাজ চলছে। অংশীজনের অভিমত নিয়ে শিক্ষা আইন চূড়ান্ত হয়েছে। এখন তা সরকারি কমিটিগুলো যাচাইবাছাই করছে। ইউজিসি আইন চূড়ান্ত হয়েছে। শিগগিরই সেটি কেবিনেটে পাঠানো হবে। এ আইনটি চূড়ান্ত হলে ইউজিসি অনেক শক্তিশালী হবে। সরকারি স্কুল ও কলেজে শিক্ষক নিয়োগে পিএসসির সহায়তায় কাজ চলছে।’
মতবিনিময়সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, ইরাব সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান খান, সাধারণ সম্পাদক সাব্বির নেওয়াজ, সিনিয়র সহ-সভাপতি মুসতাক আহমদ, সহ-সভাপতি নিজামুল হক, যুগ্ম সম্পাদক মামুন হোসেন, অর্থ সম্পাদক শরীফুল আলম সুমন, সাংগঠনিক সম্পাদক অভিজিৎ ভট্টাচার্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নূর মোহাম্মদ, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আকতারুজ্জামান, ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদক মুরাদ হোসাইন, কার্যনির্বাহী সদস্য আমানুর রহমান ও সিনিয়র সদস্য এমএইচ রবিন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব নাজমুল হক খান, উপসচিব সুবোধ চন্দ্র ঢালী ও শিক্ষামন্ত্রীর একান্ত সহকারী সচিব জাকির হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।