গরু মোটা করার ইনজেকশন দেওয়ার অভিযোগে গাবতলী পশুর হাটে দুই ভুয়া পশু চিকিৎসককে এক বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোমবার (২০ আগস্ট) দুপুরের দিকে র্যাব ৪-এর উদ্যোগে গাবতলী পশুর হাটে র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত বসে। র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম এই আদালত পরিচালনা করেন। তাকে সহযোগিতা করেন প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পশু চিকিৎসকরা।
বাংলা ট্রিবিউনকে সারওয়ার আলম বলেন, ‘স্টেরয়েড জাতীয় ইনজেকশন দিয়ে গরু মোটা করার অপরাধে গাবতলীর পশুর হাট থেকে দুই ভুয়া পশু চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছে প্রচুর ইনজেকশন পাওয়া যায়। তারা তাদের দোষ স্বীকার করেছেন। এরপর প্রত্যেককে এক বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দণ্ডপ্রাপ্ত দুই ভুয়া পশু চিকিৎসক হলেন—তরিকুল ইসলাম ও হেকমত আলী।’
তিনি বলেন, ‘একই সময় দুই গরু ব্যবসায়ীকেও দুই মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তারা হলেন মো. আলম ও মো. রুবেল।’
এই অভিযানে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ১২ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অংশ নেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত স্টেরয়েড ইনজেকশন দেওয়া গরুগুলো বাজার থেকে প্রত্যাহার করতে এবং কোথাও বিক্রি না করে বাড়িতে ফেরত নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
এ ধরনের অভিযান অন্যান্য পশুর হাটেও চালানো হবে বলে জানিয়েছেন র্যাবের কর্মকর্তারা।