X
শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪
১২ বৈশাখ ১৪৩১

যেভাবে ভুয়া নামে পাসপোর্ট বানিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় পালিয়ে যায় জঙ্গি তাজউদ্দিন

দীপু সারোয়ার
২১ আগস্ট ২০১৮, ১৫:৫৪আপডেট : ২২ আগস্ট ২০১৮, ১১:৪৮

বাদল নামে ভুয়া পরিচয়ে তাজউদ্দিন

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার অন্যতম পরিকল্পনাকারী মাওলানা তাজউদ্দিন ভয়াবহ ওই ঘটনার দুই বছর পর ২০০৬ সালে দেশ থেকে পালিয়ে যায় ‘বাদল’ ছদ্মনামে। এই ভয়ঙ্কর জঙ্গিকে পালাতে সহযোগিতা করে সরকারের একটি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থার তিন কর্মকর্তা।  গ্রেফতারের বদলে ওই ভুয়া পাসপোর্টসহ সংশ্লিষ্ট কাগজপত্র তৈরি করে তার হাতে তুলে দিয়েছিলেন ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার শুনানি ও গোয়েন্দা সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। সূত্র আরও জানায়, প্রথমে পাকিস্তানে, পরে সেখান থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় পরিচয় গোপন করে পালানো এই আসামিকে শনাক্ত করেছে ইন্টারপোল। কুখ্যাত এই আসামিকে দেশে ফিরিয়ে আনতে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে বহিঃসমর্পণ চুক্তির চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার। এদিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, তাকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়েছে।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে অন্যতম কালো অধ্যায় হিসেবে এরই মধ্যে চিহ্নিত। ওই দিন রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী, ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়।  সেদিন অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতারা।  তবে  এ হামলায় প্রাণ হারান সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন। এ হামলায় ব্যবহার হয় আর্জেস গ্রেনেড, যা মূলত যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে ব্যবহার হয়ে থাকে।

শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে সেই সময়ের বিএনপি-জামাত জোট সরকারের নীতিনির্ধারকদের পৃষ্ঠপোষকতা পায় জঙ্গি তাজউদ্দিন। হামলায় ব্যবহার হওয়া গ্রেনেড সংগ্রহ, বণ্টন ও আর্থিক সহায়তায় মূল ভূমিকাও ছিল তার।

এই গ্রেনেড হামলা মামলার আরেক আসামি ও জঙ্গি তাজউদ্দিনের বড় ভাই তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোটের উপমন্ত্রী বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম পিন্টু।  বিএনপি’র সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত এই বিএনপি নেতা।

পাসপোর্ট ফরমে তাজউদ্দিনের ভুয়া পরিচয় গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনাও হয় ধানমন্ডিতে পিন্টুর সরকারি বাসায়। আর এতে মূল ভূমিকা পালন করে তারই ছোট ভাই তাজউদ্দিন। তাদের আরেক ভাই বাবু ওরফে রাতুল বাবুও গ্রেনেড হামলা মামলার আসামি। তাদের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানার গুলিপেচা গ্রামে।

এ হামলা পুরোপুরি সফল না হওয়ায় তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের সঙ্গে আলোচনা করে ডাইরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স-ডিজিএফআই’র তৎকালীন কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এটিএম আমিন,  লেফটেন্যান্ট কমান্ডার সাইফুল ইসলাম ডিউক ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দার ২০০৬ সালে মাওলানা তাজউদ্দিনকে পাকিস্তানে পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দেন।
২০০৬ সালের ১০ অক্টোবর তাজউদ্দিনকে জিয়া আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিয়ে যান প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদফতরের তৎকালীন কর্মকর্তা মেজর মনিরুল ইসলাম ও লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মিজান। পাকিস্তানের করাচিগামী বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে তুলে দেন তাকে। বাদল পরিচয়ে অনেক আগেই তৈরি করা পাসপোর্টে পাকিস্তানে পাঠানো হয় তাকে। এর আগে তাজউদ্দিনের ভুয়া পাসপোর্ট ও বাংলাদেশ বিমানের করাচি যাওয়ার টিকিট এবং বোর্ডিং কার্ড মেজর মনিরুল ইসলামের হাতে দেন লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাইফুল ইসলাম জোয়ার্দার। পরে পাকিস্তান থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় যায় তাজউদ্দিন।

পলাতক তাজউদ্দিনকে গ্রেফতার করতে ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোল বিশ্বব্যাপী রেড নোটিশ জারি করে। ২০১৪ সালের ১৪ আগস্ট দক্ষিণ আফ্রিকার ইন্টারপোল শাখা এক চিঠিতে বাংলাদেশ পুলিশকে জানায়, তাজউদ্দিন দক্ষিণ আফ্রিকায় নজরদারিতে আছে। এ খবর আসার পর দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের সঙ্গে বহিঃসমর্পণ চুক্তি করতে আগ্রহ প্রকাশ করে বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার এতে রাজিও হয়। চুক্তির খসড়াও পাঠায় দেশটি। এ অবস্থায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বহিঃসমর্পণের আওতায় তাজউদ্দিনকে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে বাংলাদেশে ফেরানোর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুরোধ জানানো হয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, তাকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া অনেকটাই এগিয়েছে। এ বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম  বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন,‘নিকট অতীতে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের মধ্যে কিছুটা অস্থিরতা ছিল। সে কারণে বিষয়টি খুব বেশী এগোয়নি। মন্ত্রী পর্যায়ের সফরও বাতিল করতে হয়েছে, আমার নিজেরই যাওয়ার কথা ছিল সেখানে। সরকার পুনর্গঠিত হওয়ার পরই আলোচনাটি আবারও শুরু হয়েছে। তাদের সরকারের সঙ্গে বাংলাদেশ সরকারের যে আলোচনা হয়েছে, তাতে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে কোনও প্রতিবন্ধকতা নেই। চুক্তির করেই তাকে ফিরিয়ে আনা হবে।’

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার আরেক আসামি তাজউদ্দিনের আরেক ভাই রাতুল বাবুও আফ্রিকায় অবস্থান করছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

আঞ্চলিক অফিসে পাসপোর্টের জন্য আবেদন তদন্ত সংস্থা সিআইডি’র তথ্য আর অনুসন্ধানে জানা যায়, ঢাকার লালবাগ মাদ্রাসা ও মোহাম্মদপুরের শাইখুল হাদিস আল্লামা আজিজুল হকের মাদ্রাসায় পড়াশুনা শেষে উচ্চশিক্ষার জন্য ৯০ দশকে পাকিস্তানে যায় তাজউদ্দিন। পাকিস্তানে পড়াশুনার পাশাপাশি জঙ্গি প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশে ফেরেন ২০০১ সালে। তবে দেশে ফেরার আগেই তাজউদ্দিনের সহযোগীরা বাংলাদেশে জঙ্গি কর্মকাণ্ড শুরু করে দেয়। পরিসংখ্যান বলছে, ১৯৯৯ সালের ১৮ জানুয়ারি কবি শামসুর রাহমানকে হত্যাচেষ্টার মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া এই জঙ্গি কর্মকাণ্ড ২০০৫ সাল পর্যন্ত বিরামহীন চলে। ২০০৫ সালের ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলা ২০টি জঙ্গি হামলা ও হামলাচেষ্টার সঙ্গে জড়িত তাজউদ্দিনরা ১০১ জনকে হত্যা ও ৬০৯ জনকে গুরুতর আহত করার সঙ্গে জড়িত। পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ, লস্কর-ই-তৈয়বা, তেহরিক-ই-জিহাদ আল ইসলাম ও হিযবুল মুজাহিদিনের নেতাকর্মীদের বাংলাদেশে আশ্রয়দাতাও ছিল মাওলানা তাজউদ্দিন। এসব সংগঠনের পাকিস্তান ও  ভারত শাখার নেতাকর্মীদের বাংলাদেশে যাতায়াত, সমুদ্র ও আকাশপথে অস্ত্র এনে বাংলাদেশে মজুতের পর তা ভারতের কাশ্মিরে পাঠানোর দায়িত্বও পালন করতো সে।

পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গি সংগঠনগুলোর মতাদর্শিক, শিক্ষা, সশস্ত্র প্রশিক্ষণ, সামরিক-বেসামরিক ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগের কেন্দ্রভূমি হচ্ছে রাওয়ালপিন্ডি। মাওলানা তাজউদ্দিনের কেন্দ্রও ছিল রাওয়ালপিন্ডি। ২১ আগস্ট হামলা মামলার আসামি কাশ্মিরি জঙ্গি আব্দুল মাজেদ তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তাজউদ্দিনের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। ২০০৯ সালের ৬ ডিসেম্বর আদালতে ওই জবানবন্দি দেয় সে। বাংলাদেশের ভূমি ব্যবহার করে ভারতের জঙ্গিদের কাছে অস্ত্র, গুলি, গ্রেনেড পৌঁছে দেওয়া এবং পাকিস্তানি জঙ্গিদের জন্য বাংলাদেশে ‘শেল্টার হোম’ গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে আব্দুল মাজেদ ভাট ওরফে ইউসুফ ভাটকে বাংলাদেশে পাঠানো হয় ২০০০ সালে। মাজেদ ভাট বাংলা বলতে ও লিখতে পারে। সে বিয়েও করেছে বাংলাদেশে। পাকিস্তানি পাসপোর্টের পরিবর্তে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করতো সে । আর ওই পাসপোর্ট ব্যবহার করে পাকিস্তান আসা যাওয়াও করতো। 

অনুসন্ধানে জানা যায়, ৮ ভাই ২ বোনের মধ্যে মাওলানা তাজউদ্দিন সপ্তম। ২০০১ সালে পাকিস্তান থেকে ফেরার পর মোহাম্মদপুরের একটি মাদ্রাসায় চাকরি নেয় সে । তবে খুব বেশি দিন চাকরি করা হয়নি তার। ঢাকার মোহাম্মদপুরের বছিলায় বিয়ে করে শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে ব্যবসা শুরু করে। সাংগঠনিক কারণের পাশাপাশি আত্মীয়তার সূত্রে বছিলার মাওলানা তাহেরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছিল সে। ২১ আগস্ট হামলা মামলার আরেক আসামি তাহের তাজউদ্দিনের সম্পর্কে ভায়রা ভাই। এ সময় তাহের ও তাজউদ্দিন দুজনই খেলাফত মজলিসের সঙ্গে জড়িত ছিল। অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রকাশ্য সংগঠন খেলাফত মজলিসের সঙ্গে জড়িত থাকা, মাদ্রাসায় চাকরি নেওয়া এবং পরে ব্যবসায় জড়িত হওয়া— সবই ছিল তাজউদ্দিনের সুদূরপ্রসারী জঙ্গি সংগঠন পরিচালনার অংশ। সে চাইতো মানুষের মাঝে তার পরিচিতি হবে সাধারণ, সহজ, সরল আর ধর্মপরায়ণ মানুষ হিসেবে। কিন্তু ২০০৫ সালের ১ অক্টোবর ঢাকায় সহযোগী মুফতি আব্দুল হান্নান গ্রেফতার হলে তাজউদ্দিনের মুখোশ উন্মোচিত হতে শুরু করে।

বাংলাদেশকে ঘিরে তাজউদ্দিনের সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা 

অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০০১ সালে দেশে ফেরার পর মো. বাদল নামে রাজশাহীতে পাসপোর্টের আবেদন করে মাওলানা তাজউদ্দিন। তার জন্ম তারিখ উল্লেখ করা হয় ১ ফেব্রুয়ারি, ১৯৭৩। ওই বছরেরই ৩ জুলাই বাদলের নামে পাসপোর্ট ইস্যুও হয়। পাসপোর্টে ব্যবহার হওয়া মাওলানা তাজের ছবিতে দেখা যায় তার পরনে পাঞ্জাবি, মাথায় সাদা গোল টুপি ও মুখে দাড়ি। বাদল নামে পাসপোর্ট করলেও বাবার নাম সঠিক রাখে সে। তার বাবার নাম ডা. মহিউদ্দিন। তবে গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের গোপালপুর থানার গুলিপেচা গ্রামের ঠিকানা ব্যবহার করা হয়নি পাসপোর্টে। সেখানে ঠিকানা উল্লেখ করা হয়— হেতমখাঁ, পোস্ট : ঘোড়ামারা, থানা: বোয়ালিয়া, জেলা: রাজশাহী। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য ভারতে যাওয়া জরুরি বলে পাসপোর্টের আবেদনে উল্লেখ করা হয়। পেশা হিসেবে ব্যবসা উল্লেখ করেনতাজউদ্দিন। পাসপোর্ট অফিসের কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, নিজের আসল পরিচয় গোপন করে পাসপোর্ট করতে তাজউদ্দিন রাজশাহী নগর বিশেষ শাখা-সিটি এসবি’র সহায়তা পেয়েছিল। উপ-পুলিশ কমিশনার পাসপোর্ট দেওয়া যেতে পারে বলে অনাপত্তিপত্র দিয়েছিলেন। পাসপোর্টের আবেদনপত্রের দুটি পাতা সত্যায়িত করেছেন ডাক্তার আজিজুল হক নামে এক সরকারি কর্মকর্তা।

নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, তাজউদ্দিনের জানা ছিল জঙ্গি কর্মকাণ্ড পরিচালনার একপর্যায়ে তার নাম, ঠিকানা প্রকাশ হয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে নিজের নামে করা পাসপোর্টে দেশের বাইরে যাওয়া সম্ভব হবে না। ভিন্ন নাম, পরিচয় ও ঠিকানায় করা পাসপোর্ট ব্যবহার করে দেশের বাইরে পালানোর চিন্তা থেকেই বাদল নামে পাসপোর্ট রেখেছিল তাজউদ্দিন। তবে তাজউদ্দিনকে আটক না করে তাকে পালাতে সাহায্য করে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা।

দীপু সারোয়ার: গেস্ট রিপোর্টার

/টিএন/
সম্পর্কিত
সর্বশেষ খবর
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
ট্রাকের চাপায় অটোরিকশার ২ যাত্রী নিহত
বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখলে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ
বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখলে আমাদের লজ্জা হয়: শাহবাজ
৬ ম্যাচ পর জয় দেখলো বেঙ্গালুরু 
৬ ম্যাচ পর জয় দেখলো বেঙ্গালুরু 
সাদি মহম্মদ স্মরণে ‘রবিরাগ’র বিশেষ আয়োজন
সাদি মহম্মদ স্মরণে ‘রবিরাগ’র বিশেষ আয়োজন
সর্বাধিক পঠিত
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
দুদকের চাকরি ছাড়লেন ১৫ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
বাংলাদেশ ব্যাংকের চাকরি ছাড়লেন ৫৭ কর্মকর্তা
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
স্কুল-কলেজে ছুটি ‘বাড়ছে না’, ক্লাস শুরুর প্রস্তুতি
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
কেন গলে যাচ্ছে রাস্তার বিটুমিন?
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা
ধানের উৎপাদন বাড়াতে ‘কৃত্রিম বৃষ্টির’ পরিকল্পনা