গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে মঙ্গলবার বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে মুক্তি পেয়েছেন অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদ। কাশিমপুর মহিলা কারাগারের জেলা সুপার শাহ জাহান আহমেদ এই তথ্য বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
এর আগে মঙ্গলবার (২১ আগস্ট) বিকালে তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক দেবব্রত বিশ্বাস শুনানি শেষে মঙ্গলবার পাঁচ হাজার টাকা মুচলেকায় নওশাবাকে জামিন দেন। ২ অক্টোবর পর্যন্ত জামিন বহাল থাকবে বলে আদেশে উল্লেখ করেন। নওশাবার পক্ষে জামিন শুনানি করেন এ এইচ ইমরুল কাওসার। তিনি বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মূলত নওশাবাকে অসুস্থতাজনিত কারণ ও সামনে ঈদ এই বিবেচনায় বিচারক জামিন দেন।’
সোমবার (২০ আগস্ট) মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম চিকিৎসা শেষে নওশাবাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করেন। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। পরে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক মাহমুদা আক্তার শুনানি শেষে কারাগারে রাখার আদেশ দেন। আদালতে সংশ্লিষ্ট থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা শওকত হোসের এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে ১০ আগস্ট দুই দিনের এবং ৫ আগস্ট চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর হাকিম আদালত।রিমান্ড শেষে ১৩ আগস্ট আদালতে পাঠানোর পর নওশাবা অসুস্থ হয়ে পড়েন। আদালতে সোপর্দ করার আগেই তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৪ আগস্ট শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে গুজব ছড়ান অভিনেত্রী নওশাবা আহমেদ। ফেসবুক থেকে তিনি লাইভে বলেন, ‘জিগাতলায় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়েছে।একজনের চোখ উঠিয়ে ফেলেছে এবং চার জনকে মেরে ফেলেছে।’ তার এই উসকানিমূলক বক্তব্যের কারণে র্যা ব-১ এর ডিএডি মো. আমিনুল ইসলাম উত্তরার পশ্চিম থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: জামিন পেলেন নওশাবা
