খাতভিত্তিক অডিট প্রতিবেদন ও দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধে গবেষণা করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। রবিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুদক কার্যালয়ে নিরীক্ষা আপত্তি ও শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদফতরের ওপর কমিশনের প্রথম গবেষণা কার্যক্রমের বিষয়ে এক সভায় দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষা ,স্বাস্থ্য, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদফতরের কার্যক্রমের ওপর পরিচালিত প্রতিটি অডিট আপত্তিসহ সামগ্রিক অডিট কার্যক্রমে যেসব দুর্নীতি বা অনিয়মের উৎস উন্মোচিত হয় অথবা যেসব দুর্নীতির উৎস অজানা থেকে যায়, সেগুলো ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশনসহ অন্যান্য রিসার্চ টুলস ও কৌশল ব্যবহার করে সুনির্দিষ্টভাবে দুর্নীতির উৎস উন্মোচন করতে হবে এবং তা প্রতিরোধ ও দমনে সুনির্দিষ্ট গবেষণালব্ধ সুপারিশ প্রণয়ন করতে হবে।’
কমিশনের কার্যক্রম সম্পর্কে তিনি বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন শুধু মামলা-মোকদ্দমার মাধ্যমে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কার্যক্রম পরিচালনা করছে না বরং দুর্নীতির বিরুদ্ধে গণসচেতনতা, পদ্ধতিগত সংস্কার, জনগণের অন্তর্ভুক্তিমূলক অভিগমন এবং সর্বশেষ প্রতিষ্ঠানভিত্তিক গবেষণার মাধ্যমে দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করে তা প্রতিরোধে কার্যক্রম পরিচালনা করছে । কমিশন দুর্নীতির বিরুদ্ধে বহুমুখী পদ্ধতি পরিচালনা করছে।
তিনি বলেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের একটি অন্যতম মাধ্যম অডিট । তবে দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য অনেকেই অডিট নিয়ে দুর্নীতি ও অনিয়মেরও অভিযোগ করেন। তাই কমিশনের এই গবেষণাটি হতে হবে নির্মোহ, বস্তুনিষ্ঠ এবং সব ধরনের দুর্নীতির উৎস উন্মোচন, তা প্রতিরোধ এবং দমনের সুনির্দিষ্ট সুপারিশ সংবলিত দলিল। সভায় গবেষক ড. মো. নুরুজ্জামান তার গবেষণার প্রাথমিক তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করেন।
উল্লেখ্য, এই প্রথম দুদক গবেষণা কার্যক্রম হাতে নিয়েছে এবং গবেষক গত মার্চ মাস থেকে গবেষণা কার্যক্রম শুরু করেছে। সভায় বক্তব্য রাখেন দুদক কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম, ড. মো. মোজাম্মেল হক খান, মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) সারোয়ার মাহমুদ, মহাপরিচালক (মানিলন্ডারিং) মো. আতিকুর রহমান খান, গবেষক ড. মো. নুরুজ্জামান প্রমুখ।